Class 11 bengali Archives - Prerona Academy https://preronaacademy.com/category/class-11-bengali/ Just another WordPress site Tue, 12 Nov 2024 16:34:57 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.1 https://preronaacademy.com/wp-content/uploads/2022/10/cropped-PA-Favicon-32x32.png Class 11 bengali Archives - Prerona Academy https://preronaacademy.com/category/class-11-bengali/ 32 32 বিদ্যাপতির ভাব সম্মিলন কবিতার উৎস ,কবি পরিচিতি, ব্যাখা ও বিষয়বস্তু আলোচোনা https://preronaacademy.com/vidyapatir-vab-sonmiloni/ https://preronaacademy.com/vidyapatir-vab-sonmiloni/#respond Tue, 12 Nov 2024 16:34:37 +0000 https://preronaacademy.com/?p=668 ১। বৈষ্ণব পদ কী ? মধ্যযুগে রচিত রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক ছোটো ছোটো কবিতা বা গানগুলিকে বলা হয় বৈষ্ণব পদ। ২। ভাব

The post বিদ্যাপতির ভাব সম্মিলন কবিতার উৎস ,কবি পরিচিতি, ব্যাখা ও বিষয়বস্তু আলোচোনা appeared first on Prerona Academy.

]]>

মধ্যযুগে রচিত রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক ছোটো ছোটো কবিতা বা গানগুলিকে বলা হয় বৈষ্ণব পদ।

বৈষ্ণব পদাবলির বিভিন্ন রসপর্যায় রয়েছে। রাধাকৃষ্ণের মিলন, বিরহ , অভিমান এরকম বিভিন্ন মানসিক অবস্থা নিয়ে রচিত রসপর্যায় গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – পূর্বরাগ , অনুরাগ , মান , অভিসার , মাথুর , ভাবোল্লাস , মিলন ইত্যাদি।

এই পর্যায়গুলির মধ্যে একটি পর্যায় হল ভাবোল্লাস বা ভাব সম্মিলন। ভাব সম্মিলন হল শ্রীকৃষ্ণ মথুরা চলে যাবার পরে রাধার মনে প্রিয় বিরহের যন্ত্রণা বা মাথুর শুরু হয় সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে রাধা ভাবে সা কল্পনাতে শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে মিলিত হন এবং বিরহের বদলে এক আনন্দের অনুভূতি লাভ করেন। এই ভাব কল্পনায় মিলনের পদগুলিই হল ভাবোল্লাস বা ভাব সম্মিলনের পদ।

মনে রেখো ভাব সম্মিলন এই কবিতার নাম নয় , এটি একটি বৈষ্ণবপদের রস পর্যায়ের নাম । এরকম আরো অনেক কবির অনেক ভাবোল্লাসের পদ রয়েছে।

কবি বিদ্যাপতির জন্ম দ্বারভাঙা জেলার মধুবনী পরগনার বিসফী গ্রামের এক বিদগ্ধ ব্রাহ্মণ পরিবারে। তার কৌলিক উপাধি ঠক্কুর বা ঠাকুর। তিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। মিথিলার ছয়জন রাজা ও একজন রানীর পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিলেন। তাঁর রচনাবলির মধ্যে রয়েছে ‘কীর্তিলতা’ ‘ভূপরিক্রমা’, ‘কীর্তিপতাকা’, ‘পুরুষ পরীক্ষা’, ‘শৈবসর্বস্বসার’, ‘গঙ্গাবাক্যাবলি’, ‘বিভাগসার’, ‘দানবাক্যাবলি’, লিখনাবলি, দুর্গাভক্তিতরঙ্গিনী। তিনি রাধাকৃষ্ণবিষয়ক প্রায় আট শ’ পদ রচনা করেন। জীবৎকালে বিখ্যাত কবি ও পণ্ডিতরূপে তার প্রতিষ্ঠা ছিল। তাঁর পদগুলি মিথিলা ছাড়িয়ে বাংলা দেশেও বেশ জনপ্রিয়তালাভ করেছে।

ব্রজবুলি মূলত এক ধরণের কৃত্রিম মিশ্রভাষা। মৈথিলি ও বাংলার মিশ্রিত রূপ হলো ব্রজবুলি ভাষা। ব্রজবুলি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের দ্বিতীয় কাব্যভাষা বা উপভাষা। এই ভাষায় শব্দগুলি খুব শ্রুতিমধুর। কঠিন শব্দগুলি ভেঙে মিস্টিভাবে উচ্চারিত হয়। এজন্যে ব্রজবুলি খুব মিষ্টি, সুরময়, গীতিময় ভাষা। বিদ্যাপতির ব্রজবুলি ভাষার পদগুলি বাংলা সাহিত্য সমাজে খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। রবীন্দ্রনাথও এই ব্রজবুলি ভাষায় ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ রচনা করেন।

কংস বধের জন্য কৃষ্ণ বৃন্দাবন ছেড়ে মথুরায় চলে গেলে রাধা প্রিয়তমের জন্য বিচ্ছেদ বেদনায় কাতর হয়ে পড়েন । শ্রীকৃষ্ণ আর বৃন্দাবনে ফিরে আসেননি, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণকে পাওয়ার জন্য ভাবের জগতে হারিয়ে গিয়েছিলেন শ্রীরাধিকা। তাই মনোজগতে ভাব কল্পনায় শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন তিনি। প্রবল বিরহ-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে অন্তরের মধ্যেই নিত্যদিন মিলনের আশায় থাকতেন রাধা। এই মিলনে শ্রীকৃষ্ণকে হারিয়ে ফেলার কোনো ভয় নেই। দীর্ঘদিন কৃষ্ণকে কাছে না পেয়ে বিরহে কাতর রাধা, কৃষ্ণকে নিজের অন্তরের মধ্যে ফিরে পাওয়ার পর, তাঁর মনে মিলনের যে উল্লাস জেগে
উঠেছে, সেই আনন্দ প্রকাশ করতেই বিদ্যাপতি এই পদ রচনা করেন। রাধা তাঁর সেই আনন্দ উপলব্ধি প্রকাশ করেছেন তাঁর সখীদের কাছে । বিদ্যাপতির এই কবিতাটি সেই কথাকেই তুলে ধরছে আমাদের কাছে।

কহব : কহিব, বলিব।
চিরদিনে : দীর্ঘ দিনে / দীর্ঘদন পর
মন্দিরে : ঘরে
সুধাকর : চাঁদ
পিয়া-মুখ-দরশনে : প্রিয়তমর মুখ দেখে
ভেল : হল
মহানিধি : মহামূল্যবান রত্ন
গীরিষির : গ্রীষ্মের / গরমকালের
বরিষার : বর্ষার
দরিয়া : নদীর
ভণয়ে : বলছে
দুখ : দুঃখ
বরনারি : শ্রেষ্ঠা নারী বা সুন্দরী
ওর : অন্ত, পার, সীমা
মাধব : শ্রীকৃঘ্ন।
দেল : দিল
আঁচর : আঁচল
তব : তাহলেও, তবুও
ওঢ়নী : ওড়না / চাদর
বা : বাতাস
ছত্র : ছাতা
না : নৌকা
সুজনক : সুন্দর বা ভালো মানুষ
দিবস দুই-চারি : দু-চারদিন

Read More : ছুটি গল্পের বিষয়বস্তু | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | একাদশ শ্রেণি বাংলা

উত্তর: ‘সুধাকর’ শব্দের অর্থ হল চাঁদ । সুধাকরকে পাপী বলার কারণ হল প্রিয়তম কৃষ্ণের বিরহে রাধিকা যখন দুঃখে কাতর
তখন চাঁদের মায়াবী জ্যোৎস্না যেন আরও বেশি করে তাঁকে কৃষ্ণের কথা মনে করাচ্ছে। অথচ তিনি শ্রীকৃষ্ণের কাছে যেতে পারছেন না। শ্রীরাধিকার
বিচ্ছেদ বেদনাকে বড় করে তোলার জন্য সুধাকরকে পাপী বলা হয়েছে।

উত্তর: শ্রীরাধিকাকে ফেলে রেখে প্রিয় কৃষ্ণ গিয়েছেন মথুরায়। সমগ্র বৃন্দাবন বিরহে কাতর হয়ে উঠেছে। রাধিকার বিরহ-কাতরতায় বৃন্দাবনের বক্ষে নেমে আসা মায়াবী চাঁদের জ্যোৎস্নালোক সেই বেদনাকে
দ্বিগুণ করেছে। চাঁদের প্রতি তাই শ্রীরাধিকার মনে বড়োই আক্রোশ জন্মেছে প্রিয়-বিচ্ছেদে তিনি বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন। প্রিয়-মিলনের পূর্বে রাধার
এরূপ অবস্থার বর্ণনাতেই ‘যতদুখ’ শব্দবন্ধটির অবতারণা।

উত্তর: বৈষ্ণব পদকর্তা বিদ্যাপতি ‘মহানিধি’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ বুঝিয়েছেন মহৈশ্বর্য বা মহামূল্যবান সম্পদ। পার্থিব ধনরাশি, যা মানুষকে বিত্তশালী, লোভী ও স্বার্থপর করে তোলে।

অন্তর্নিহিত অর্থ: পাঠ্যানুসারে ‘মহানিধি’ শব্দটির অন্তর্নিহিত অর্থ স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ। রাধিকার কাছে শ্রীকৃয় হলেন মহামূল্যবান রত্ন সমান, তাঁর হৃদিমাণিক্য, তাঁর অভিন্ন সত্তা।

উত্তর : শ্রীকৃষ্ণ মথুরা চলে যাওয়ার পর শ্রীরাধিকা যে বিরহ
যন্ত্রণায় দগ্ধ হচ্ছিলেন, সেই অন্তরের বিরহ ক্লেশ কাটিয়ে উঠেছেন। যে শারীরিক বিচ্ছেদ রাধিকাকে পীড়িত করছিল, সেই বিচ্ছেদ-বেদনা রাধিকার
মানসলোকে এসে হঠাৎই প্রশমিত হয়েছে। রাধা ভাবলোকে অনুভব
করেছেন শ্রীকৃষ্ণকে। তাঁরা এখন অভিন্ন সত্তা। মানসলোকে ঘটেছে যুগল কোনো মহৈশ্বর্যের বিনিময়েই তিনি আর তাঁকে দূরদেশে চলে যেতে দেবেন না।

উত্তর : কবি বিদ্যাপতি রচিত ‘ভাব সম্মিলন’ কবিতায় আলোচ্য অংশে কবি বুঝিয়েছেন প্রিয়তম শ্রীকৃষ্ণ, কেবল শ্রীরাধিকার প্রেমিকই নন, তিনি তাঁর ত্রাতাস্বরূপ। রাধার জীবনে কৃষ্ণের গুরুত্ব কতখানি, তা বোঝাতে কবি বিদ্যাপতি কথাটি ব্যবহার করেছেন।

দীর্ঘদিনের কৃষ্ণবিচ্ছেদ শ্রীরাধিকাকে বিরহে কাতর করে তুলেছিল। প্রিয়তমকে মানসলোকে পেয়ে তাঁর আনন্দের আর সীমা নেই।
ভাবের অতিশয্যে ভেসেছেন শ্রীরাধিকা। সখীর কাছে সেই আনন্দ ব্যক্ত করছেন, নানা অলংকার-উপমায় ভরিয়ে তুলছেন শ্রীকৃষ্ণকে। শ্রীকৃষ্ণ যে
তাঁর কাছে কতটা মূল্যবান, তা বোঝাতে কী বলবেন, কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। তিনি সখীকে বলছেন, ওড়না বা উত্তরীয় যেমন শীতের প্রকোপ থেকে শরীরকে রক্ষা করে তেমনই শ্রীকৃষ্ণ যেন শ্রীরাধিকার অসময়ের রক্ষক, আবার প্রবল গ্রীষ্মের দিনে সুশীতল বাতাসের মতো শ্রীকৃষ্ণ শ্রীরাধিকার জীবনে আনেন প্রশান্তি। কৃষ্ণ যেমন ছাতার ন্যায় প্রতিকূলতার ধারা বর্ষণ থেকে রাধিকাকে রক্ষা করেন, তেমনই কৃষ্ণই তাঁর জীবন নদী পারাপারের নৌকা। দুর্গম ভব পারাবারের কাণ্ডারি। রাধার জীবনে তিনি নিশ্চিন্ত আশ্রয় ও শান্তি এ কথাই আলোচ্য অংশে উপমায় তুলে ধরা হয়েছে।

The post বিদ্যাপতির ভাব সম্মিলন কবিতার উৎস ,কবি পরিচিতি, ব্যাখা ও বিষয়বস্তু আলোচোনা appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/vidyapatir-vab-sonmiloni/feed/ 0
ছুটি গল্পের বিষয়বস্তু | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | একাদশ শ্রেণি বাংলা 2nd Semester https://preronaacademy.com/chuti-golper-bishoybastu-alochona/ https://preronaacademy.com/chuti-golper-bishoybastu-alochona/#respond Thu, 31 Oct 2024 16:35:34 +0000 https://preronaacademy.com/?p=662 গল্প :- ‘ ছুটি ’ লেখক:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উৎস:- ‘ছুটি’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক বাংলা ভাষায় রচিত একটি ছোটগল্প। এটি ১২৯৯

The post ছুটি গল্পের বিষয়বস্তু | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | একাদশ শ্রেণি বাংলা 2nd Semester appeared first on Prerona Academy.

]]>

লেখক:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

‘ছুটি’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক বাংলা ভাষায় রচিত একটি ছোটগল্প। এটি ১২৯৯ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে রচিত। ১৮৯২ সালে ডিসেম্বর মাসে ” সাধনা” পত্রিকায় ‘ ছুটি ‘ গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয়। পরে গল্পটি ‘ গল্পগুচ্ছ ‘ গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়।

ফটিক:- ১৩-১৪ বছর বয়সের এই ছেলেটি গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র।
মাখনলাল:- ফটিকের একমাত্র কনিষ্ঠ ভাই।
বিশ্বম্ভরবাবু:-ফটিকের মামা।
অন্যান্য চরিত্র :- ফটিকের মা এবং ফটিকের মামী।

রবীন্দ্রনাথের ‘ ছুটি ‘ গল্পটি একটি গ্রাম্য বালকের মর্মযন্ত্রণার করুন কাহিনি। এখানে দেখা যায় প্রকৃতির কোল ছিন্ন ক’রে গ্রাম্য প্রকৃতির রাজ্যে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা একটি সন্তানকে শহরের যান্ত্রিক পরিবেশে নিয়ে যাওয়া হয়। এর ফলে সে জীবন যন্ত্রণায় কাতর হয়ে মুক্তির সন্ধান করে। কিন্তু উন্নতির প্রতিভূ যান্ত্রিক জীবন থেকে মুক্তি পাওয়া কখনোই সম্ভব হয় না । আর তাই শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে প্রকৃতির কোলে মুক্তি পেতে হয়েছে তাকে। গল্পটির কাহিনি শুরু হয়েছে এইভাবে –

‘ছুটি’ গল্পে ফটিক এক ডানপিটে গ্রাম্য ছেলে। সে সেখান থেকে মামার সাথে শহরে আসে ঘটনাচক্রে। কৈবর্তের গ্রাম থেকে শহর কলকাতায় এসে তার মানসিক দুরবস্থা এবং পরিণতিতে মৃত্যু আগাগোড়া একটা মনস্তাতত্ত্বিক বিষয়ের উপর দাঁড়ানো। গল্পটিতে বয়ঃসন্ধিকালীন ছেলেটির মনস্তাত্ত্বিক বিভিন্ন দিক ফুটে উঠেছে।। গ্রামের বালকদের সর্দার ছিল দুরন্ত স্বভাবের ফটিক। ফটিকের নেতৃত্বেই গ্রামের ছেলেরা নতুন নতুন খেলার উদ্ভাবন করত। এরকমই একদিন নদীর ধারে রাখা শালগাছের গুঁড়িকে নিয়ে খেলার সময় ফটিকের ছোটোভাই মাখনলাল তার ওপরে চেপে বসে। তখন মাখনলালকে সুদ্ধ সেই শালকাঠের গুঁড়িটিকে গড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং মাখন মাটিতে পড়ে যায়। কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরে গিয়ে সে মার কাছে ফটিকের নামে অভিযোগ করে যে, ফটিক তাকে মেরেছে। ফটিকের মার নির্দেশে ফটিককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। ফটিক ভাইকে মারার কথা অস্বীকার করে, কিন্তু মাখন মারার অভিযোগ জারি রাখে। ক্রুদ্ধ ফটিক মিথ্যে কথা বলার জন্য এবার মাখনকে সত্যিই চড় মারে। এই পরিপ্রেক্ষিতে মা ফটিককে পালটা চড় মারলে ফটিক মা-কে ঠেলে দেয়। এই নিয়ে যখন গোলযোগ চলছে, তখনই ফটিকদের বাড়িতে আগমন ঘটে তার মামা বিশ্বম্ভরবাবুর, যিনি পশ্চিমে কাজের জন্য বহুদিন বাইরে ছিলেন। তার আসার ফলে বাড়িতে বেশ সমারোহ হয়। বিদায় নেওয়ার কয়েকদিন আগে বিশ্বম্ভরবাবু তাঁর বোনের কাছে যখন ভাগিনাদের পড়াশোনার খবর নেন, তখন ফটিকের মা মাখনের প্রশংসা করলেও, ফটিকের ব্যাপারে নানা অভিযোগ জানান। বিশ্বম্ভরবাবু ফটিককে উপযুক্ত লেখাপড়া শেখানোর জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। ফটিকের মা তাতে সম্মতি দেন। ফটিকও এই প্রস্তাবে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে। সে যাওয়ার সময় তার সমস্ত খেলার জিনিসগুলি মাখনলালকে উদারভাবে দান করে দিয়ে যায়। কিন্তু মামার বাড়িতে মামির তরফ থেকে সে প্রত্যাশিত অভ্যর্থনা পায় না, তার মামি তাকে নিজের সংসারে অবাঞ্ছিত মনে করেন। ফটিকের যে বয়স অর্থাৎ কৈশোর এবং যৌবনের মধ্যবর্তী সময়কাল, তা সাধারণভাবে সমাজে খুব গ্রহণযোগ্য হয় না। ফটিকের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নানা কারণে নানাভাবে তাকে একাধিকবার তিরস্কৃত হতে হয়। ধীরে ধীরে বাড়ির জন্য, গ্রামের জন্য মন খারাপের এক অনুভূতি ফটিকের সমস্ত মনকে অধিকার করে নেয়, সেইসঙ্গে তার অসহায় মন মা-র জন্য আকুল হয়ে ওঠে। স্কুলে পাঠ অমনোযোগী ফটিককে প্রায় নিয়মিত শিক্ষকের মার খেতে হত। বই হারিয়ে ফেলার ঘটনায় তার সমস্যা আরও বেড়ে যায়। কারণ, স্কুলের পড়া তৈরি করে আসা তার পক্ষে সম্ভব হয় না।
গ্রাম্য বালকের মনের গভীরে কষ্টের কথা কেউ জানতে পারল না। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছোয় যে, তার মামাতো ভাইরা তার সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করতে লজ্জাবোধ করত, বরং কোনোভাবে ফটিক অপ্রস্তুত হলে তারা আনন্দ উপভোগ করত। একদিন মামির কাছে নিরুপায় হয়ে বই হারানোর কথা বললে ফটিককে আবারও তিরস্কৃত হতে হয়। অভিমানী ফটিকের মনে হয় পরের পয়সা নষ্ট করে সে অনুচিত কাজ করছে। মায়ের প্রতি তার অভিমান তীব্রতর হয়। এই সময়েই একদিন ফটিক স্কুল থেকে ফেরার পরে অসুস্থ বোধ করে। তার জ্বর আসে। সে বুঝতে পারে যে এই অসুস্থতা তার মামির কাছে এক অনাবশ্যক উপদ্রব হয়ে উঠতে পারে, আর সে কারণেই পরদিন সকালে ফটিক নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। চারপাশে তার খোঁজ পাওয়া যায় না। ফটিক আসলে মুক্তির জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। এইসব যন্ত্রণায় ভরা যান্ত্রিক জীবন ফটিককে ব্যথিত করে। সে পালিয়ে মুক্তি পেতে চায় । অবশেষে ফটিকের কোনো সন্ধান না পেয়ে বিশ্বম্ভরবাবু পুলিশে খবর দিতে বাধ্য হন। সন্ধ্যার সময় পুলিশের গাড়িতে ফটিককে ফিরিয়ে আনা হয়। এই সময় বৃষ্টিতে ভেজার কারণে তার জ্বর আসে। জ্বরের ঘোরে প্রলাপ বকতে থাকে ফটিক । ডাক্তারবাবুও শঙ্কা প্রকাশ করেন।

Read More : ছুটি গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর || একাদশ শ্রেণি বাংলা 2nd Semester

অবশেষে তার মাকে খবর দেওয়া হয়। মা এলেও ফটিকের জ্ঞান ফেরে না । ফটিকের অসুস্থতায় তিনি আর্তনাদ করে ওঠেন। ফটিক কাউকে লক্ষ না করেই পাশ ফিরে মৃদুস্বরে মা-কে উদ্দেশ্য করে বলে যে তার ছুটি হয়েছে, সে বাড়ি যাচ্ছে। গভীর জ্বরের ঘোরে সে মুক্তির প্রত্যাশা করে । শেষ পর্যন্ত সে ছুটি পায় জীবন থেকে ও জীবনের যন্ত্রণা থেকে । এভাবেই সমাপ্ত হয়েছে ছুটি গল্পটি। এই গল্প আসলে প্রকৃতির কোলচ্যুত একটি বালকের কাহিনি । জীবাত্মার সঙ্গে মানবাত্মার এক চিরন্তন সম্পর্কের কাহিনি। যে বন্ধন কখনোই জোর করে ছিন্ন করা উচিত নয়।

The post ছুটি গল্পের বিষয়বস্তু | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | একাদশ শ্রেণি বাংলা 2nd Semester appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/chuti-golper-bishoybastu-alochona/feed/ 0
ছুটি গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর || একাদশ শ্রেণি বাংলা 2nd Semester https://preronaacademy.com/chuti-golpo-boro-proshnottor/ https://preronaacademy.com/chuti-golpo-boro-proshnottor/#respond Mon, 28 Oct 2024 04:59:38 +0000 https://preronaacademy.com/?p=657 ছুটি গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন: রবীন্দ্রনাথের ‘ছুটি’ গল্পের ফটিক চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো। ৫ উত্তর:- রবীন্দ্রনাথের ‘ছুটি’ গল্পে প্রকৃতির কোল

The post ছুটি গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর || একাদশ শ্রেণি বাংলা 2nd Semester appeared first on Prerona Academy.

]]>

ছুটি গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর

উত্তর:- রবীন্দ্রনাথের ‘ছুটি’ গল্পে প্রকৃতির কোল বিচ্যুত এক বালকের মর্মযন্ত্রণার কাহিনি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই গল্পের সেই অসহায় কেন্দ্রীয় চরিত্রটির নাম ফটিক। মানব-প্রকৃতির রূপকার রবীন্দ্রনাথ আলোচ্য ছোটোগল্পে ফটিক চরিত্রের মধ্যে কতগুলি বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তুলেছেন। সেগুলি হল –

১। নেতৃত্বদানকারী
২। স্বাধীনচেতা
৩। প্রকৃতির সন্তান
৪। সত্যবাদী
৫। স্নেহের কাঙাল
৬। আত্ম মর্যদাসম্পন্ন
৭। নিঃসঙ্গ

গল্পের শুরুতেই দেখা যায় গল্পের নায়ক ফটিক তার খেলার সাথীদের নিয়ে উন্মুক্ত প্রকৃতির বুকে স্বাধীনভাবে খেলা করছিল। তার সঙ্গীদের কাছে সেই ছিল নেতা। বালকদের মধ্যে এই নেতৃত্বদানের গুন সকলের থাকে না। ফটিক শুরু থেকেই এই গুণের অধিকারী।

ফটিক যে স্বাধীনচেতা সে বিষয়ে সংশয় নেই। ঘুড়ি ওড়ানো, নদীতে সাঁতার কাটা,‘তাইরে নাইরে নাইরে না’ বলে ঘুরে বেড়ানোর মধ্য দিয়ে তার মন আনন্দরসে পরিপূর্ণ হয়ে উঠত। তার স্বাধীন মন কখন কারো তোয়াক্কা করে নি ।

‘পথের পাঁচালী’র অপু , ‘পুঁইমাচা’ গল্পের খেন্তির মতই ফটিকও ছিল প্রকৃতির সন্তান। প্রকৃতির কোলে লালিত সন্তান ফটিক কলকাতায় মামা ও মামির আশ্রয়ে এসে প্রথম উপলব্ধি করে, নাগরিক জীবনে সে কতটা অবাঞ্ছিত। ফটিকের গ্রামে ফিরে যাওয়ার ব্যাকুলতা শুধু মায়ের জন্য নয়,
তার অন্তরাত্মার সঙ্গে প্রকৃতির এক নিবিড় একাত্মতার কারণে। শিশুর শিক্ষালাভে যান্ত্রিক পরিবেশ যে প্রতিবন্ধকতাস্বরূপ, সেই মনোভাবই সহানুভূতির সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ এই গল্পে তুলে ধরেছেন।

ফটিক চরিত্রের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল তার সত্যবাদী স্বভাব। ফটিক তার ভাই মাখনলালের গালে চড় মেরে ভাইয়ের মিথ্যাচারিতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। আবার সে কলকাতা যাত্রার পূর্বে খেলার ঘুড়ি, লাটাই, ছিপ ভাইকেই সমর্পণ করে তা সম্পূর্ণ ভোগের অধিকার দিয়ে যায়। গল্পের কোথাও ফটিকের মিথ্যাবাদের দৃষ্টান্ত নেই।

ফটিক আসলেই স্নেহের কাঙাল। আলোচ্য গল্পে দেখা যায়, পিতৃহীন ফটিক তার
মায়ের স্নেহ-মমতা-ভালোবাসা থেকে অনেকটাই বঞ্চিত। সে বোঝে তার মায়ের হৃদয়ের অধিকাংশটাই জুড়ে রয়েছে ভাই মাখন। তাই মামা বিশ্বম্ভরবাবুর সস্নেহ প্রস্তাবে রাজি হয়ে সে কলকাতা চলে যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে মামির স্নেহহীন সান্নিধ্য তাকে পীড়িত করে। তাই স্নেহবুভুক্ষু ফটিক শেষপর্যন্ত মামারবাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। স্নেহ বঞ্চিত ফটিককে কেউ কখনো বুঝতে পারে নি।

ফটিক ভীষণ আত্ম মর্যদাসম্পন্ন । খেলতে খেলতে পড়ে গিয়ে মাখন
যখন তাকে মেরে বাড়ি চলে গিয়েছে, তখন অভিমানে সে আনমনে বসে থেকেছে। মাখনের মিথ্যে অভিযোগে মা যখন তাকে প্রহার করেছে, সেই মুহূর্তে মৃদু প্রতিবাদ করলেও মায়ের উপর তার অভিমান হয়েছে। আপাত মাতৃস্নেহবিহীন গৃহ পরিবেশে উপেক্ষিত ফটিক তাই মামার প্রস্তাবে সহজেই কলকাতা যেতে রাজি হয়ে গিয়েছে। আবার কলকাতা গিয়ে মামির হৃদয়হীন আচরণে অভিমান করে সে বাড়ি ছেড়েছে। তার ভেতরের যন্ত্রণার কথা কাউকেই বলে নি। নিজে কষ্ট পেলেও কাউকেই কষ্ট যন্ত্রণা দেয় নি। এটা তার আত্মসম্মানে বাঁধে।

এই বয়েসের বালকেরা থাকে বয়ঃসন্ধিকালীন সমস্যায় জর্জরিত। বয়ঃসন্ধিকালীন অবস্থায় নানা ব্যর্থতা কিশোর-কিশোরীদের অন্তরকে পীড়িত করে। ‘ছুটি’ গল্পে ফটিকের প্রতি মামির রূঢ় আচরণ, শিক্ষকের প্রহার, বই হারিয়ে ফেলা, মামাতো ভাইদের নির্মম ব্যবহার, বন্ধুত্বহীন নিঃসঙ্গ জীবন ইত্যাদি ঘটনার ফলে মানসিক দ্বন্দ্বে ক্ষতবিক্ষত ফটিকের অন্তরাত্মা। বয়ঃসন্ধিতে দাঁড়িয়ে নিজেকে বুঝতে না পারার অক্ষমতাই তাকে অবসাদগ্রস্ত করে তুলেছে। কারও সহৃদয়তা তাকে বুকে টেনে নেয় নি। তাই আগাগোড়াই সে ছিল নিঃসঙ্গ।

আলোচ্য গল্পে রবীন্দ্রনাথ ফটিকের জীবনের কাহিনি তুলে এনে কিশোর মনের সমস্যাকে যেমন তুলে ধরেছেন, তেমনই দেখিয়েছেন প্রকৃতির সঙ্গে যার অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক; প্রকৃতির সঙ্গে বিচ্ছেদে তার অস্তিত্ত্ব কীভাবে সংকটে পড়ে যায় । ফটিকের এই মর্মান্তিক কাহিনি বাংলা সাহিত্যে এক দীর্ঘশ্বাস হয়ে আমাদের মনে থেকে যাবে চিরকাল।

সমস্ত ক্লাসগুলি নিয়মিত ভিডিও আকারে পেতে চলে আসো আমাদের YouTube Channel এ।

The post ছুটি গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর || একাদশ শ্রেণি বাংলা 2nd Semester appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/chuti-golpo-boro-proshnottor/feed/ 0
ভারতের ভাষাপরিবার ও বাংলা ভাষা MCQ। একাদশ শ্রেণি বাংলা। 1st Semester https://preronaacademy.com/bharater-bhasa-o-bangla-bhasa-mcq/ https://preronaacademy.com/bharater-bhasa-o-bangla-bhasa-mcq/#respond Tue, 10 Sep 2024 18:02:51 +0000 https://preronaacademy.com/?p=633 ভারতের ভাষা পরিবার ও বাংলা ভাষা MCQ ১. ভাষাগত দিক থেকে ভারত সম্বন্ধে প্রচলিত প্রথম অভিধানটি হল ‘ভারত ভাষার অরণ্য’

The post ভারতের ভাষাপরিবার ও বাংলা ভাষা MCQ। একাদশ শ্রেণি বাংলা। 1st Semester appeared first on Prerona Academy.

]]>

ভারতের ভাষা পরিবার ও বাংলা ভাষা MCQ

ক) ভারত ভাষার নদী
খ) ভারত চার ভাষাববংশের দেশ
গ) ভারত দুই ভাষাবংশের দেশ
ঘ) ভারত ভাষার সমুদ্র

উত্তরঃ-খ) ভারত চার ভাষাববংশের দেশ

ক) Linguistic Survey of Bengal
খ) Linguistic Survey of Europe
গ) Linguistic Survey of India
ঘ) Linguistic Survey of England

উত্তরঃ- গ) Linguistic Survey of India

১৯০৩-১৯২৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ইংরেজরা এই ভাষা সমীক্ষাটি চালিয়েছিল।

ক) ১৫০টি ভাষা ও ৫০০টি উপভাষা
খ) ১৭৯টি ভাষা ও ৫৪৪টি উপভাষা
গ) ২০০টি ভাষা ও ৬০০টি উপভাষা
ঘ) ২৫০টি ভাষা ও ৫৮০টি উপভাষা

উত্তরঃ- খ) ১৭৯টি ভাষা ও ৫৪৪টি উপভাষা

ক) উইলিয়াম জোন্স
খ) লর্ড গ্রিয়ার্সন
গ) জর্জ গ্রিয়ার্সন
ঘ) ড. সুকুমার সেন

উত্তরঃ-গ) জর্জ গ্রিয়ার্সন

ক) ১৫৫২টি
খ) ১৬৫২টি
গ) ১৭৫২টি
ঘ) ১৮৫২টি

উত্তরঃ-খ) ১৬৫২টি

ক) ৫৩০টি
খ) ৪৫০টি
গ) ৬৫০টি
ঘ) ৩৩০টি

উত্তরঃ-ক) ৫৩০টি

ক) ২০৪টি
খ) ১৪০টি
গ) ১৮০টি
ঘ) ১০৩টি

উত্তরঃ-ঘ) ১০৩টি

বাকি সব ভাষাগুলি আসলে চারটি ভাষাবংশের অন্তর্গত। ইন্দো-ইউরোপীয়, অস্ট্রিক,দ্রাবিড় ও ভোটচিনা।

ক) চারটি পরিবারে ভাগ করা যায়
খ) পাঁচটি পরিবারে ভাগ করা যায়
গ) ছয়টি পরিবারে ভাগ করা যায়
ঘ) সাতটি পরিবারে ভাগ করা যায়

উত্তরঃ-ক) চারটি পরিবারে ভাগ করা যায়

ক) মুন্ডা
খ) আদি অস্ত্রাল
গ) নিগ্রোবটু বা নেগ্রিটো
ঘ) চিনা

উত্তরঃ-গ) নিগ্রোবটু বা নেগ্রিটো

ক) সুকুমার সেন
খ) ড. মহম্মদ শহীদুল্লাহ
গ) গোপালকৃষ্ণ হালদার
ঘ) গোপাল হালদার

উত্তরঃ-ঘ) গোপাল হালদার

ক) প্যাঁচা
খ) ইঁদুর
গ) বাদুড়
ঘ) মাছি

উত্তরঃ-গ) বাদুড়

ক) অস্ট্রিক
খ) দ্রাবিড়
গ) ভোটচিনা
ঘ) ইন্দো-ইউরোপীয়

উত্তরঃ-ক) অস্ট্রিক

প্রত্ন-অস্ত্রালদের ভাষার নাম অস্ট্রিক।
বর্তমান ভারতে অস্ট্রিক ভাষাবংশের অন্তর্গত ভাষা সংখ্যা হল ৬৫টি।

Read More : বিশ্বের ভাষা ও পরিবার MCQ

ক) ইন্দো-ইরানীয় ভাষাগোষ্ঠী
খ) ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠী
গ) দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠী
ঘ) অস্ট্রিক ভাষাগোষ্ঠী

উত্তরঃ-ঘ) অস্ট্রিক ভাষাগোষ্ঠী

ক) পাঁচটি ভাগ
খ) দুটি ভাগ
গ) ছয়টি ভাগ
ঘ) তিনটি ভাগ

উত্তরঃ-খ) দুটি ভাগ

ক) পাকিস্তানে
খ) আরবে
গ) ইউরোপে
ঘ) ইন্দোনেশিয়ায়

উত্তরঃ-ঘ) ইন্দোনেশিয়ায়

ইন্দোনেশিয়া ছাড়া অস্ট্রিক ভাষা ভারতের বাইরে কম্বোডিয়ায় বিস্তার লাভ করেছে।

অস্ট্রিক ভাষার দুটি শাখার মধ্যে একটি হলো অস্ট্রো- এশিয়াটিক আর অন্যটি হলো অস্ট্রোনেশীয়।

অস্ট্রোনেশীয় শাখাটি মূলত ছড়িয়ে গেছে ভারতের বাইরে যেমন-ক) ইন্দোনেশিয়ার নানা ভাষার মধ্যে অন্যতম ভাষাটি হলো ‘মালয়’।

খ) মেলানীশিয় ভাষাগোষ্ঠী, যেগুলি দেখা যায় ফিজি প্রভৃতি দ্বীপে।

গ) ক্যারোলাইন প্রভৃতি দ্বীপপুঞ্জের ভাষা, যেগুলি মাইক্রোনেশিয়ান ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।

ঘ) পলিনেশীয় ভাষা। যার মধ্যে সামোয়া, তাহিতি, হাওয়াই দ্বীপের অধিবাসীদের ভাষা।

ক) মেলানেশীয়
খ) অস্ট্রো-এশিয়াটিক
গ) মাইক্রোনেশীয়
ঘ) পলিনেশীয়

উত্তরঃ-খ) অস্ট্রো-এশিয়াটিক

অস্ট্রো-এশিয়াটিকের তিনটি ধারা ভারতে প্রচলিত। যথা-
ক) পশ্চিমা
খ) মধ্যদেশীয়
গ) পূর্বী

অস্ট্রো-এশিয়াটিকের পশ্চিমা ধারাটি বৃহত্তম।
অস্ট্রো-এশিয়াটিকের পশ্চিমা ধারার অন্তর্ভুক্ত ভাষার সংখ্যা ৫৮টি।

ক) ঝাড়খন্ড ও বিহার
খ) বিহার ও ওড়িশা
গ) সাঁওতাল পরগনা ও ছোটনাগপুর
ঘ) পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা

উত্তর:-গ) সাঁওতাল পরগনা ও ছোটনাগপুর

সাঁওতালি ভাষায় দশ রকমের ভাষা বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়।

সাঁওতালি লোককথা ও পুরান সংকলনে অবদান আছে পি .ও বোর্ডিং- এর।

সাঁওতালি ভাষা লেখা হতো বাংলা অথবা রোমক লিপিতে।

বর্তমান সাঁওতালি লিপির নাম ‘অলচিকি’। এবং এই লিপির উদ্ভাবক ‘রঘুনাথ মুর্মু’।

‘মুন্ডারি এনসাইক্লোপিডিয়া’ ফাদার হফম্যান সম্পাদনা করেন।

ফাদার হফম্যানের সম্পাদনায় সম্পাদিত ‘মুন্ডারি এনসাইক্লোপিডিয়া’ ১৩টি খন্ডে সংকলিত।

ক) সাঁওতালি
খ) মুন্ডা
গ) কোল
ঘ) অলচিকি

উত্তরঃ-খ) মুন্ডা

অস্ট্রিক ও আর্য ভাষার পারস্পরিক যোগাযোগের কারণে বেশ কিছু মুন্ডা শব্দ সংস্কৃত ভাষায় এসে গেছে।

ক) সাঁওতালি
খ) হো
গ) মুন্ডারি
ঘ) খাসি

উত্তরঃ-(ঘ) খাসি

খাসি ভাষা পূর্বে বাংলা হরফে লেখা হত। এখন লেখা হয় রোমক লিপিতে।

The post ভারতের ভাষাপরিবার ও বাংলা ভাষা MCQ। একাদশ শ্রেণি বাংলা। 1st Semester appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/bharater-bhasa-o-bangla-bhasa-mcq/feed/ 0
বিশ্বের ভাষা ও পরিবার MCQ || একাদশ শ্রেণি বাংলা 1st Semester https://preronaacademy.com/bangla-bhasa-o-paribar/ https://preronaacademy.com/bangla-bhasa-o-paribar/#respond Sun, 01 Sep 2024 18:15:30 +0000 https://preronaacademy.com/?p=629 বিশ্বের ভাষা ও পরিবার MCQ ১. ভাষাবিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীতে কত সংখ্যক ভাষার মধ্যে বৈচিত্র্য রয়েছে ? (ক) তিন হাজার(খ) পাঁচ

The post বিশ্বের ভাষা ও পরিবার MCQ || একাদশ শ্রেণি বাংলা 1st Semester appeared first on Prerona Academy.

]]>

(ক) তিন হাজার
(খ) পাঁচ হাজার
(গ) ছয় হাজার
(ঘ) আট হাজার

উত্তরঃ-(ক) তিন হাজার

(ক) দশ লক্ষ
(খ) দশ লক্ষ থেকে কয়েকশোর মধ্যে
(গ) দশ লক্ষ থেকে কয়েকশো বেশি
(ঘ) বারো লক্ষ

উত্তরঃ-(খ) দশ লক্ষ থেকে কয়েকশোর মধ্যে

(ক) শুলৎস ও ক্যারদ্যুও
(খ) উইলিয়াম জোন্স
(গ) ওটো ইয়েসপারসন
(ঘ) জামেনহফ

উত্তরঃ-ক) শুলৎস ও ক্যারদ্যুও

শুলৎস জার্মান দেশের ভাষাবিদ ছিলেন। ক্যারদ্যুও ছিলেন ফরাসি ভাষাবিদ।

(ক) শুলৎস
(খ) ক্যারদ্যুও
(গ) জামেনহফ
(ঘ) উইলিয়াম জোন্স

উত্তরঃ- ঘ) উইলিয়াম জোন্স

(ক) পাঁচটি
(খ) ছ-টি
(গ) সাতটি
(ঘ) দশটি

উত্তর:- (খ) ছ-টি

(ক) আফ্রিকান ভাষায়
(খ) জার্মান ভাষাগোষ্ঠীর ভাষায়
(গ) চিনা ভাষাগোষ্ঠীর ভাষায়
(ঘ) ইরানীয় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষায়

উত্তরঃ-গ) চিনা ভাষাগোষ্ঠীর ভাষায়

(ক) মুক্তান্বয়ী
(খ) অত্যন্বয়ী
(গ) অনন্বয়ী বা অসমবায়ী
(ঘ) সমন্বয়ী

উত্তর:-(গ) অনন্বয়ী বা অসমবায়ী

(ক) অনন্বয়ী বর্গ
(খ) অত্যন্বয়ী বর্গ
(গ) সমন্বয়ী বর্গ
(ঘ) মুক্তান্বয়ী বর্গ

উত্তরঃ-(ঘ) মুক্তান্বয়ী বর্গ

তুর্কি ও আফ্রিকার সোয়াহিলি ভাষা মুক্তান্বয়ী বর্গের অন্তর্ভুক্ত।

(ক) উপসর্গ-অনুসর্গের ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে
(খ) ভাষা-উপভাষার ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে
(গ) কারক-বিভক্তির ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে
(ঘ) ধাতু ও ক্রিয়া ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে

উত্তরঃ-ক) উপসর্গ-অনুসর্গের ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে

(ক) মুক্তান্বয়ী
(খ) অত্যন্বয়ী
(গ) অনন্বয়ী
(ঘ) সমন্বয়ী

উত্তরঃ-(খ) অত্যন্বয়ী

(ক) সমন্বয়ী
(খ) মুক্তান্বয়ী
(গ) অত্যন্বয়ী
(ঘ) অনন্বয়ী

উত্তরঃ-ক) সমন্বয়ী

(ক) ২৫ /২৬ টি
(খ) ১০/১১ টি
(গ) ১৫ /১৬ টি
(ঘ) ২০/২১ টি

উত্তরঃ-(ক) ২৫/২৬ টি

(ক) গোষ্ঠীভুক্ত ভাষা
(খ) অগোষ্ঠীভুক্ত ভাষা
(গ) সমগোত্রজভাষা
(ঘ) বিভাষা

উত্তরঃ-(খ) অগোষ্ঠীভুক্ত ভাষা

(ক) ইন্দো-ইরানীয়
(খ) ইরানীয় আর্য
(গ) ভারতীয় আর্য
(ঘ) ইন্দো-ইউরোপীয়

উত্তরঃ-ঘ) ইন্দো-ইউরোপীয়

(ক) ১৪টি
(খ) ১২টি
(গ) ১০টি
(ঘ) ১১টি

উত্তরঃ-(খ) ১২টি

(ক) ৯টি
(খ) ১০টি
(গ) ১১টি
(ঘ) ১২টি

উত্তরঃ-(ক) ৯টি

(ক) লাতিন
(খ) হিব্রু
(গ) আবেস্তীয়
(ঘ) গ্রিক

উত্তরঃ-(ঘ) গ্রিক

(ক) ১৩৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের
(খ) ১৪০৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দের
(গ) ১৪৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের
(ঘ) ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের

উত্তরঃ-(গ) ১৪৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের

(ক) পোর্তুগিজ
(খ) ফ্লেমিশ
(গ) আইরিশ
(ঘ) বুলগেরীয়

উত্তরঃ-(গ) আইরিশ

(ক) ৬টি
(খ) ৮টি
(গ) ৪টি
(ঘ) ২টি

উত্তরঃ-(ঘ) ২টি

একটি শাখা ‘ইরানীয় আর্য’ হিসেবে ইরানে প্রবেশ করে অন্যটি ‘ভারতীয় আর্য’ নামে ভারতে চলে আসে।

(ক) সতম্
(খ) কেন্তুম
(গ) হিট্টি
(ঘ) কোনোটিই নয়

উত্তরঃ-(ক) সতম্

(ক) কেন্তুম্
(খ) সতম্
(গ) হিট্টি
(ঘ) কোনোটিই নয়

উত্তরঃ-(ক) কেন্তুম্

(ক) জার্মানিক শাখা থেকে
(খ) ইন্দো-ইরানীয় শাখা থেকে
(গ) ইরানীয় শাখা থেকে
(ঘ) ভারতীয় আর্য শাখা থেকে

উত্তরঃ- (গ) ইরানীয় শাখা থেকে

(ক) ত্রিপিটক
(খ) বাইবেল
(গ) জেন্দ্ আবেস্তা
(ঘ) তোখারীয়

উত্তরঃ-(গ) জেন্দ্ আবেস্তা

জেন্দ্ আবেস্তা আবেস্তীয় ভাষায় রচিত।
জেন্দ্ আবেস্তা ইরানীয় শাখার প্রাচীনতম নিদর্শন।

(ক) কিচুয়া
(খ) বেলুচি
(গ) পুশতু
(ঘ) পহ্লবী

উত্তরঃ- (গ) পুশতু

বেলুচিস্তানের ভাষা হল বেলুচি।

(ক) হিব্রু, আরবি ভাষা
(খ) নিয়াঞ্জা,জুলু ভাষা
(গ) হিব্রু, কাবিল ভাষা
(ঘ) গ্রিক ও ইংরেজি ভাষা

উত্তরঃ-(ক) হিব্রু, আরবি ভাষা

(ক) হিব্রু
(খ) ল্যাটিন
(গ) গ্রিক
(ঘ) ইতালীয়

উত্তরঃ-(ক) হিব্রু

(ক) আধুনিক ফরাসি
(খ) আধুনিক আরবি
(গ) আধুনিক হিব্রু
(ঘ) আধুনিক ইংরেজি

উত্তরঃ- (গ) আধুনিক হিব্রু

(ক) বান্টু
(খ) হামীয়
(গ) কঙ্গো
(ঘ) তোখোরীয়

উত্তরঃ-(ক) বান্টু

(ক) এস্কিমোদের
(খ) হাঙ্গেরীয়দের
(গ) এস্তোনিয়াদের
(ঘ) পিগমিদের

উত্তরঃ-ঘ) পিগমিদের

(ক) ফিনল্যান্ড
(খ) হাঙ্গেরির
(গ) এস্তোনিয়া
(ঘ) সাইবেরিয়ার

উত্তরঃ-(খ) হাঙ্গেরির

ফিনল্যান্ডের ভাষা ফিনিস।
এস্তোনিয়ার ভাষা এস্তোনীয়।
সাইবেরিয়ার মরু অঞ্চলের ভাষা সাময়েদ।

(ক) উত্তর আমেরিকায়
(খ) দক্ষিণ আমেরিকায়
(গ) এশিয়ায়
(ঘ) আফ্রিকায়

উত্তরঃ-(ক) উত্তর আমেরিকায়

দক্ষিণ আমেরিকার প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ সভ্যতাটির নাম- ইনকা।

(ক) এস্কিমোরা
(খ) হাঙ্গেরীয়রা
(গ) ইতালীয়রা
(ঘ) ইনকারা

উত্তরঃ- (ঘ) ইনকারা

(ক) সেমীয় ও হামীয়
(খ) আলতাইক
(গ) উরালীয়
(ঘ) ককেশীয়

উত্তরঃ-(ঘ) ককেশীয়

(ক) অবর্গীভূত ভাষা
(খ) এসপেরান্তো ভাষা
(গ) কৃত্রিম ভাষা
(ঘ) মিশ্র ভাষার পারিভাষিক শব্দ

উত্তরঃ-(ঘ) মিশ্র ভাষার পারিভাষিক শব্দ

পিজিন ইংলিশের ‘পিজিন’ শব্দটি ইংরেজি বিজনেস শব্দের চিনীয় উচ্চারণ থেকে এসেছে।

(ক) ভারত মহাসাগরের মরিশাস দ্বীপে
(খ) পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে
(গ) উত্তর আমেরিকায়
(ঘ) মাদাগাসকার দ্বীপে

উত্তরঃ-(খ) পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে।

প্রাচীন মিশ্র ভাষাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিচ-লা-মার, পিজিন-ইংরেজি, মরিশাস ক্রেওল এবং চিনুক।

বিচ- লা-মার হল ইংরেজি ভাষার সঙ্গে স্পেনীয় ও পর্তুগিজ ভাষার মিশ্রণ।

ফরাসি ও মাদাগাসকারি ভাষার মিশ্রণে তৈরি হয়েছিল মরিশাস ক্রেওল।

অষ্টাদশ শতকে উত্তর আমেরিকার ওরেগণ অঞ্চলে জন্ম হয়েছিল চিনুকের।

(ক) মার্টিন শ্লেইয়ার
(খ) ফ্রান্সিস বেকন
(গ) জন উইলকিন্স
(ঘ) রেনে দেকার্ত

উত্তরঃ- (ক) মার্টিন শ্লেইয়ার

(ক) ফ্রান্সিস বেকন
(খ) রেনে দেকার্ত
(গ) এল.এল.জামেনহফ
(ঘ) মার্টিন শ্লেইয়ার

উত্তরঃ-(গ) এল.এল.জামেনহফ

‘এসপেরান্তো’:-
১৮৮৭ সালে পোল্যান্ডের চক্ষু চিকিৎসক এল এল জামেনহফ ‘এসপেরান্তো’ এই কৃত্রিম ভাষাটি
তৈরি করেন। রুশ ভাষায় তিনি যে প্রস্তাবটি লেখেন সেখানে তিনি ব্যবহার করেন ছদ্মনাম Doktoro Esperanto, যার অর্থ Doctor Hopeful.

বর্তমান পৃথিবীতে প্রায় কুড়ি লক্ষ মানুষ এই ভাষায় কথা বলতে পারে, যার মধ্যে প্রায় এক হাজার লোকের মাতৃভাষা ‘এসপেরান্তো’।

‘এসপেরান্তো’ ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগুলির উপর ভিত্তি করেই গড়ে তোলা হয়েছে।
‘এসপেরান্তো’ এই কৃত্রিম ভাষাটির ‘ধ্বনির’ ক্ষেত্রে ‘স্লাভ’ এবং ‘রূপতত্ত্বের’ ক্ষেত্রে ‘রোমান’ ও ‘জার্মানিক’ ভাষার প্রভাব পড়েছে।

‘এসপেরান্তো’ ভাষায় ব্যঞ্জনধ্বনির সংখ্যা ২৩ টি।
‘এসপেরান্তো’ ভাষায় স্বরধ্বনির সংখ্যা ৫টি।
‘এসপেরান্তো’ ভাষায় অর্ধস্বর ২টি।
‘এসপেরান্তো’ ভাষায় যৌগিক স্বরধ্বনি আছে ৫টি।
‘এসপেরান্তো’ ভাষায় ৯২১ টি শব্দমূলের সঙ্গে বিভিন্ন প্রত্যয়/বিভক্তি যোগ করে শব্দ তৈরি হয়।
‘এসপেরান্তো’ ভাষায় শব্দসংখ্যা ৬০০০-এরও বেশি।

(ক) ১২টি
(খ) ১৩টি
(গ) ১৫টি
(ঘ) ১৬টি

উত্তরঃ-(ঘ) ১৬টি

(ক) বধিরদের জন্য
(খ) অন্ধদের জন্য
(গ) মূকদের জন্য
(ঘ) মূক ও বধিরদের জন্য

উত্তরঃ-(ঘ) মূক ও বধিরদের জন্য

‘Sign Language’ তৈরি হয়েছিল- ১৭৭৫ সালে। ফরাসি শিক্ষাবিদ Abb’e charles Michel de l’ Epe’e প্রথম এই ধরণের ভাষার উদ্ভাবন করেছিলেন।

Sign Language-এর মধ্যে অন্যতম পদ্ধতি – ‘Paget Gorman’।

The post বিশ্বের ভাষা ও পরিবার MCQ || একাদশ শ্রেণি বাংলা 1st Semester appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/bangla-bhasa-o-paribar/feed/ 0
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কবিতার MCQ |একাদশ শ্রেণি বাংলা 1st Semester https://preronaacademy.com/ishwar-chandra-vidyasagar-poem-mcq/ https://preronaacademy.com/ishwar-chandra-vidyasagar-poem-mcq/#comments Tue, 27 Aug 2024 09:17:18 +0000 https://preronaacademy.com/?p=623 ‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর’ কবিতা কবিতা :- ‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর’কবি :- মাইকেল মধুসূদন দত্তউৎস:- মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর’ কবিতাটি তার ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’(১৮৬৬)

The post ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কবিতার MCQ |একাদশ শ্রেণি বাংলা 1st Semester appeared first on Prerona Academy.

]]>

কবিতা :- ‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর’
কবি :- মাইকেল মধুসূদন দত্ত
উৎস:- মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর’ কবিতাটি তার ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’(১৮৬৬) কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। এই গ্রন্থেরই ৮৬ সংখ্যক কবিতাটি হল ‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর’।

(ক) বীরাঙ্গনা কাব্য
(খ) মেঘনাদবধ কাব্য
(গ) চতুৰ্দ্শপদী কবিতাবলী
(ঘ) ব্রজাঙ্গনা কাব্য।

উত্তরঃ-(গ) চতুৰ্দ্শপদী কবিতাবলী

(ক) ৬৮ সংখ্যক
(খ) ৭৫ সংখ্যক
(গ) ১৮ সংখ্যক
(ঘ) ৮৬ সংখ্যক

উত্তরঃ-(ঘ) ৮৬ সংখ্যক

(ক) সনেট
(খ) পত্রকাব্য
(গ) ব্যঙ্গ কবিতা
(ঘ) গীতিকবিতা

উত্তরঃ-(ক) সনেট

সনেট হলো এক বিশেষ ধরনের চোদ্দো পংক্তির গীতি কবিতা। এর প্রথম আটটি পংক্তি নিয়ে গঠিত স্তবকে অষ্টক এবং পরবর্তী ছ-টি পংক্তি নিয়ে গঠিত স্তবক কে বলে ষটক। বাংলা ভাষায় সনেট রচনার প্রথম শিল্পী হলেন মধুসূদন দত্ত।

(ক) বিহারীলাল চক্রবর্তী
(খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(গ) সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
(ঘ) মাইকেল মধুসূদন দত্ত

উত্তরঃ:- (ঘ) মাইকেল মধুসূদন দত্ত

(ক) ত্রিপদী
(খ) অমিত্রাক্ষর
(গ) মহাপয়ার
(ঘ) মুক্তক ছন্দ

উত্তরঃ-(খ) অমিত্রাক্ষর

(ক) দয়ার সাগর হিসেবে
(খ) বিদ্যার সাগর হিসেবে
(গ) করুণার সিন্ধু হিসেবে
(ঘ) দীনের বন্ধু হিসেব

উত্তরঃ- (খ) বিদ্যার সাগর হিসেবে

(ক) ভগিনী নিবেদিতা
(খ) স্বামী বিবেকানন্দ
(গ) শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসকে
(ঘ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

উত্তরঃ- (ঘ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

(ক) মধুসূদন
(খ) বিদ্যাসাগর
(গ) তরুদল
(ঘ) হেমাদ্রি

উত্তরঃ-(ক) মধুসূদন

(ক) মাইকেল মধুসূদন দত্ত
(খ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
(গ) কাজী নজরুল ইসলাম
(ঘ) রাজনারায়ণ বসু

উত্তর:- (খ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

(ক) উজ্জ্বল নক্ষত্র
(খ) সোনার খনি
(গ) স্বর্ণাভ পর্বত
(ঘ) আগ্নেয় পর্বত

উত্তরঃ-(গ) স্বর্ণাভ পর্বত

স্বর্ণাভ পর্বতের স্বর্ণাভ দেহ। এক্ষেত্রে বিদ্যাসাগরকে স্বর্ণাভ পর্বতের সাথে তুলনা করা হয়েছে।

(ক) সূর্যের কিরণে
(খ) শিশিরে
(গ) তুষারাচ্ছাদনে
(ঘ) জ্যোৎস্নায়

উত্তরঃ-(ক) সূর্যের কিরণে

Read More : চারণ কবি ভারভারা রাও | চারণ কবি কবিতার MCQ

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের তীক্ষ্ণ জ্ঞানবেত্তা ও হৃদয় বোধকে হিমাদ্রির হেমকান্তি বলে বোঝাতে চেয়েছেন কবি।

(ক) হিমালয়কে
(খ) মৈনাককে
(গ) বিদ্যাসাগরকে
(ঘ) এভারেস্টকে

উত্তর:-(গ) বিদ্যাসাগরকে

(ক) মহাপর্বতের সুবর্ণ চরণে
(খ) তরুদলের শীতল ছায়ায়
(গ) সিন্ধুতীরে
(ঘ) গহন অরণ্যে

উত্তরঃ:-(ক) মহাপর্বতের সুবর্ণ চরণে

(ক) যে জন আশ্রয় লয় সুবর্ণচরণে
(খ) দীন যে দিনের বন্ধু
(গ) দীর্ঘ- শিরঃ তরু-দল
(ঘ) দানে বারি নদীরূপ বিমলা কিঙ্করী

উত্তরঃ-(ক) যে জন আশ্রয় লয় সুবর্ণচরণে

(ক) গিরীশের
(খ) সাগরের
(গ) বনস্পতির
(ঘ) অমৃত ফলের

উত্তরঃ-ক) গিরীশের

(ক) দেব গৃহে প্রার্থনা করাকে
(খ) বনচ্ছায়ায় আশ্রয় নেওয়া কে
(গ) হিমালয়ের সুবর্ণচরণে আশ্রয় নেওয়া কে
(ঘ) রাজ দরবারে ধরনা দেওয়াকে

উত্তর:-(গ) হিমালয়ের সুবর্ণচরণে আশ্রয় নেওয়া কে

(ক) স্রোতস্বিনী
(খ) বিমলা কিঙ্করী
(গ) পতিতপাবনী
(ঘ) স্বচ্ছতোয়া

উত্তরঃ-খ) বিমলা কিঙ্করী

Read More : সাম্যবাদী কবিতার MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । সাম্যবাদী কবিতা

(ক) রানী
(খ) জায়া
(গ) দাসী
(ঘ) ধাত্রী

উত্তরঃ-(গ) দাসী

নদী যেমন দাসীর মতো স্বচ্ছ জল দান করে মানুষের উপকার করে বিদ্যাসাগরও তেমনি সর্বদা মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকতেন।

(ক) দীর্ঘ-শিরঃ তরু-দল
(খ) সহচরীরা
(গ) মন্দিরের পূজারিরা
(ঘ) দোকানদারেরা

উত্তরঃ-(ক) দীর্ঘ-শিরঃ তরু-দল

(ক) প্রাণদানকারী ফল
(খ) সুস্বাদু খাদ্য
(গ) বিদ্যাসাগরের অকৃপণ দান
(ঘ) সবকটিই সঠিক।

উত্তরঃ-(গ) বিদ্যাসাগরের অকৃপণ দান

(ক) উদ্ধত
(খ) রণ
(গ) দাস
(ঘ) সাধু

উত্তরঃ-(গ) দাস

(ক) পরিমলে
(খ) সুবিমলে
(গ) সুকোমলে
(ঘ) সুবাসে

উত্তরঃ-(ক) পরিমলে

‘পরিমল’ শব্দটির অর্থ সুগন্ধ।

(ক) নদীর সুবিমল জল
(খ) হেমাদ্রি
(গ) পর্বতের সুবর্ণ চরণ
(ঘ) বনেশ্বরী

উত্তরঃ- (ঘ) বনেশ্বরী

(ক) শীতল ছায়া
(খ) অমৃত ফল
(গ) সুশান্ত নিদ্রা
(ঘ) ক্লান্তি

উত্তরঃ:-(গ) সুশান্ত নিদ্রা

The post ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কবিতার MCQ |একাদশ শ্রেণি বাংলা 1st Semester appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/ishwar-chandra-vidyasagar-poem-mcq/feed/ 1
বিড়াল প্রবন্ধ MCQ| বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | বিড়াল প্রবন্ধটি থেকে গুরুত্বপূর্ণ MCQ https://preronaacademy.com/biral-class-xi-mcq-bankimchandra/ https://preronaacademy.com/biral-class-xi-mcq-bankimchandra/#respond Sat, 10 Aug 2024 18:00:06 +0000 https://preronaacademy.com/?p=612 প্রবন্ধ:- বিড়ালপ্রাবন্ধিক:- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়উৎস:- ‘বিড়াল’ প্রবন্ধটি ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় ১২৮১ বঙ্গাব্দের ‘চৈত্র’ সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ গ্রন্থে ত্রয়োদশ

The post বিড়াল প্রবন্ধ MCQ| বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | বিড়াল প্রবন্ধটি থেকে গুরুত্বপূর্ণ MCQ appeared first on Prerona Academy.

]]>

প্রবন্ধ:- বিড়াল
প্রাবন্ধিক:- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
উৎস:- ‘বিড়াল’ প্রবন্ধটি ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় ১২৮১ বঙ্গাব্দের ‘চৈত্র’ সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ গ্রন্থে ত্রয়োদশ সংখ্যক রচনা হিসেবে এটি সংকলিত হয়।

(ক) বিবিধ প্রবন্ধ
(খ) লোকরহস্য
(গ) কমলাকান্তের দপ্তর
(ঘ) কৃষ্ণ চরিত্র

উত্তর:- (গ) কমলাকান্তের দপ্তর

(ক) ১৩
(খ) ১৪
(গ) ১১
(ঘ) ৯

উত্তরঃ- (ক) ১৩

(ক) দিগদর্শন
(খ) বঙ্গদর্শন
(গ) নবপর্যায় বঙ্গদর্শন
(ঘ) তত্ত্ববোধিনী।

উত্তরঃ- (খ) বঙ্গদর্শন

(ক) বিড়াল
(খ) প্রসন্ন
(গ) শ্রীকমলাকান্ত চক্রবর্তী
(ঘ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

উত্তরঃ- (গ) শ্রীকমলাকান্ত চক্রবর্তী

(ক) নসীরামবাবু
(খ) কমলাকান্ত চক্রবর্তী
(গ) প্রসন্ন
(ঘ) নেপোলিয়ন

উত্তরঃ- (খ) কমলাকান্ত চক্রবর্তী

(ক) পাষাণবৎ
(খ) জলবৎ
(গ) প্রেতবৎ
(ঘ) মনুষ্যবৎ

উত্তরঃ- (গ) প্রেতবৎ

(খ) দুগ্ধ শেষ
(ক) আফিং শেষ
(ঘ) আহার প্রস্তুত হয়নি
(গ) ক্ষুধা পায়নি

উত্তরঃ- (ঘ) আহার প্রস্তুত হয়নি

(ক) ওয়েলিংটনের যুদ্ধ
(গ) রাশিয়ার যুদ্ধ
(খ) পেনিনসুলারের যুদ্ধ
(ঘ) ওয়াটার্লুর যুদ্ধ

উত্তরঃ- (ঘ) ওয়াটার্লুর যুদ্ধ

নেপোলিয়ন বলতে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট এর কথা বলা হয়েছে। যিনি ফ্রান্স দেশের যোদ্ধা ছিলেন। ওয়াটার্লুর যুদ্ধে নেপলিয়ন পরাজিত হয়েছিলেন।

(ক) দুগ্ধ
(খ) জ্ঞান
(গ) অর্থ
(ঘ) আফিং

উত্তরঃ- ঘ) আফিং

(ক) ঘেউ!
(গ) কুউ!
(খ) মেও!
(ঘ) চুপ্!

উত্তর:- খ) মেও!
ডিউক শব্দটির অর্থ হল রাজা।

(ক) নসীরামবাবুর
(খ) প্রসন্নের
(গ) বিড়ালের
(ঘ) কমলাকান্তের
উত্তর:- (ঘ) কমলাকান্তের

(ক) কমলাকান্তের রাতের খাবার
(খ) মাছের টুকরো
(গ) প্রসন্নের রেখে যাওয়া দুধ
(ঘ) ধেড়ে ইঁদুর

উত্তরঃ- (গ) প্রসন্নের রেখে যাওয়া দুধ

(ক) এক মাঘে শীত যায় না
(খ) কেহ মরে বিল ছেঁচে কেহ খায় কই।
(গ) নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা
(ঘ) কষ্ট বিনা কেষ্ট মেলে না

উত্তর:- (খ) কেহ মরে বিল ছেঁচে কেহ খায় কই।

(ক) প্রসন্ন গোয়ালিনি
(খ) মঙ্গলা গাভী
(গ) তিনি নিজে
(ঘ) কেউই নয়
উত্তরঃ- (খ) মঙ্গলা গাভী

(ক) কমলাকান্ত
(খ) নসীরাম
(গ) প্রসন্ন
(ঘ) মার্জার
উত্তরঃ- (ক) কমলাকান্ত

চিরাগত প্রথাটি হল- বিড়াল দুধ খেলে বিড়ালকে তাড়িয়ে মারতে হয়।

কিন্তু চিরাগত প্রথা অবমাননা করলে মনুষ্যকূলে কমলাকান্ত কুলাঙ্গার হিসাবে পরিচিত হবেন।

চিরাগত প্রথা অবলম্বন না করলে মার্জারি তার স্বজাতি মন্ডলে কমলাকান্ত কে কাপুরুষ বলে উপহাস করবে।
অতএব পুরুষের ন্যায় আচরণ করাই বিধেয় বলে মনে করেছেন কমলাকান্ত। পুরুষের ন্যায় আচরণটি হল- দুধ চুরি করে খেলে বিড়ালকে মারা।

(ক) মার্জারির সাহসী।
(খ) মার্জারী কমলাকান্ত কে চিনত।
(গ) কমলাকান্তের মধ্যে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
(ঘ) মার্জারী কাউকে তোয়াক্কা করে না।

উত্তরঃ- (খ) মার্জারী কমলাকান্ত কে চিনত।

কমলাকান্ত মার্জারীর কথা বুঝতে পেরেছিল দিব্যকর্ণ প্রাপ্তির ফলে আর কমলাকান্ত বিড়াল কে মারতে পারেনি কারণ বিড়ালের কথা সে বুঝতে পেরেছিল।

(ক) সমাজের রাজনৈতিক সমস্যা
(খ) সমাজের বর্ণ বৈষম্য
(গ) সমাজের অবক্ষয় জনিত সমস্যা
(ঘ) সমাজের শ্রেণিবৈষম্য

উত্তরঃ- ঘ) সমাজের শ্রেণিবৈষম্য

(ক) বিড়াল
(খ) মানুষ
(গ) চোর
(ঘ) অধার্মিক

উত্তরঃ- (খ) মানুষ

বিড়ালের উক্তি:- (এখান থেকেও MCQ আসতে পারে তাই বিড়ালের মুখে বলা উক্তি গুলো তোমাদের জন্য সাজিয়ে দেওয়া হল)

“তোমাদের ক্ষুৎপিপাসা আছে – আমাদের কি নাই?

‘তোমরা আমার কাছে কিছু উপদেশ গ্রহণ কর।’

‘দেখো শয্যাশায়ী মনুষ্য! ধর্ম কি? পরোপকারই পরম ধর্ম।’

‘ আমি চুরি করি আর যাই করি আমি তোমার ধর্ম সঞ্চয়ের মূলীভূত কারণ।’

‘দেখ, আমি চোর বটে, কিন্তু আমি কি সাধ করিয়া চোর হইয়াছি।’

‘তাঁহারা অনেকে চোর অপেক্ষাও অধার্মিক।’’

“আমার মতো দরিদ্রের ব্যাথায় ব্যথিত হওয়া,লজ্জার কথা সন্দেহ নাই।”

“যে কখনও অন্ধকে মুষ্টি-ভিক্ষা দেয় না, সেও একটা বড় রাজা ফাঁপরে পড়িলে রাত্রে ঘুমায় না।’

‘তবে আমার বেলায় লাঠি কেন?’

“অনাহারে মরিয়া যাইবার জন্য এ পৃথিবীতে কেহ আইসে নাই।”

(ক) কৃপণদের
(খ) বিড়ালের
(গ) শিরোমণিদের
(ঘ) বড় বড় সাধুদের

উত্তরঃ- (ঘ) বড় বড় সাধুদের

(ক) পুলিশ
(খ) চৌকিদার
(গ) কৃপণ ধনী
(ঘ) কমলাকান্ত

উত্তরঃ- গ) কৃপণ ধনী

(ক) ক্ষতিপূরণ চাইতেন
(খ) থানায় খবর দিতেন
(গ) জোড়হাতে আর একটু এনে দেওয়ার কথা বলতেন
(ঘ) মানহানির মামলা করতেন

উত্তরঃ- গ) জোড়হাতে আর একটু এনে দেওয়ার কথা বলতেন

(ক) আহারের অভাবে
(খ) পুষ্টির অভাবে
(গ) পরিবেশের অভাবে
(ঘ) অসুখের কারণে

উত্তরঃ- (ক) আহারের অভাবে

(ক) রিয়েলিস্টিক
(খ) সোশিয়ালিস্টিক
(গ) আইডিয়ালিস্টিক
(ঘ) মেটেরিয়েলিস্টিক

উত্তরঃ- খ) সোশিয়ালিস্টিক

(ক) তিন দিন
(খ) চার দিন
(গ) পাঁচ দিন
(ঘ) ছয় দিন

উত্তরঃ- ক) তিন দিন

(ক) মার্জারের
(খ) কমলাকান্তের
(গ) নসীরাম বাবুর
(ঘ) প্রসন্নের

উত্তর:- (খ) কমলাকান্তের

(ক) দি কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো
(খ) ওল্ড টেস্টামেন
(গ) মহাভারত
(ঘ) নিউম্যান ও পার্কারের গ্রন্থ

উত্তর:- (ঘ) নিউম্যান ও পার্কারের গ্রন্থ

The post বিড়াল প্রবন্ধ MCQ| বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | বিড়াল প্রবন্ধটি থেকে গুরুত্বপূর্ণ MCQ appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/biral-class-xi-mcq-bankimchandra/feed/ 0
ভাষা ও উপভাষা || ভাষা ও উপভাষা সম্পর্কে ধারণা ||উপভাষার শ্রেণিবিভাগ || সাধু ও চলিত ভাষা কাকে বলে https://preronaacademy.com/bhasha_o_upobhasha/ https://preronaacademy.com/bhasha_o_upobhasha/#respond Thu, 01 Aug 2024 18:15:16 +0000 https://preronaacademy.com/?p=605 ভাষা ও উপভাষা, ভাষা ও উপভাষা সম্পর্কে ধারণা ,উপভাষার শ্রেণিবিভাগ, সাধু ও চলিত ভাষা কাকে বলে , WBCHSE , একাদশ

The post ভাষা ও উপভাষা || ভাষা ও উপভাষা সম্পর্কে ধারণা ||উপভাষার শ্রেণিবিভাগ || সাধু ও চলিত ভাষা কাকে বলে appeared first on Prerona Academy.

]]>

ভাষা ও উপভাষা, ভাষা ও উপভাষা সম্পর্কে ধারণা ,উপভাষার শ্রেণিবিভাগ, সাধু ও চলিত ভাষা কাকে বলে , WBCHSE , একাদশ শ্রেণির প্রথম সেমিস্টার এর বাংলা সিলেবাস , ভাষা থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ আলোচনা এখানে করা হল। Class 11 Bengali syllabus

ভাষা ও উপভাষা

ভাষা:- মানুষের কন্ঠ নিঃসৃত বহুজন বোধ্য ধ্বনির সমষ্টিকে ভাষা বলে, যেমন বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি জার্মান, ইত্যাদি।

উপভাষা:- কোন ভাষার প্রত্যক্ষ ব্যবহারিক রূপকে তার উপভাষা বলে। ভাষাকে দুটোভাবে ব্যবহার করা যায় যথা –

 i) মুখে মুখে

ii) লিখে লিখে

তাই উপভাষা হলো দুই প্রকার –

ক) কথ্য উপভাষা ও

খ) লেখ্য উপভাষা

বাংলা উপভাষার শ্রেণিবিভাগটি দেখে নাও-

কথ্য উপভাষা:- কোন একটি অঞ্চলের কথ্য ভাষার আঞ্চলিক যে ভাষাছাদ, তাকেই কথ্য উপভাষা বলে। বাংলা কথ্য উপভাষা পাঁচটি- রাঢ়ী, বরেন্দ্রী, ঝাড়খন্ডি, কামরূপী, বঙ্গালি।

** এখানে বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে যে, কথাটি আগেরকার দিনে অর্থাৎ ডক্টর সুকুমার সেনের আমলে কথ্য উপভাষাকেই সরাসরি উপভাষা বলা হয়েছে।

কিন্তু বর্তমানে উপভাষা হল কোন ভাষার প্রত্যক্ষ ব্যবহারিক রূপ। আর ড: সেন উপভাষার যে সংজ্ঞা দিয়েছেন সেটা এখন কথ্য উপভাষার সংজ্ঞা। – এই নতুনত্বটি মাথায় রাখতে হবে।

বাংলা কথ্য উপভাষা গুলির ভৌগোলিক এলাকা ও সাধারণ পরিচয়:-

– ভাষাতত্ত্ববিদরা বাংলা কথ্য উপভাষার প্রধান পাঁচটি ভাগের কথা বলেছেন। যথা-

১.রাঢ়ী

২.ঝাড়খণ্ডী

৩.বরেন্দ্রী

৪.কামরূপী বা রাজবংশী

৫. বঙ্গালী

এবার লেখ্য উপভাষা ও তাদের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো দেখে নিই চলো-

গদ্য উপভাষা :- লেখ্য উপভাষার ক্ষেত্রে গদ্য রচনার জন্য যে রূপটি ব্যবহৃত হয় তাকে গদ্য উপভাষা বলে । গদ্য উপভাষা দুই প্রকার-

i) সাধু ও

Ii) চলিত

সাধুভাষা:- লেখার জন্য যে কৃত্রিম ও গাম্ভীর্যপূর্ণ ভাষারূপ ব্যবহৃত হয় তাকে সাধু ভাষা বলে। যেমন – তাহারা সকলে আসিয়া উপস্থিত হইলেন।

সাধু রীতির বৈশিষ্ট্যগুলো:

১.তৎসম ও সংস্কৃত শব্দের প্রাধান্য বেশি।

২.সন্ধি ও সমাসবদ্ধ দীর্ঘাকৃতি পদের প্রয়োগ।

৩.ক্রিয়াপদের পূর্ণাঙ্গ রূপ ব্যবহৃত হয়। যেমন: করিয়াছি, গিয়াছি।

৪.সর্বনাম পদের পূর্ণাঙ্গ রূপ। যেমন: তাহারা, তাহার, তাহাদের।

৫.অনুসর্গের পূর্ণাঙ্গরূপের ব্যবহার দেখা যায়। যেমন: হইতে, দিয়া প্রভৃতি।

৬ ভাষায় গাম্ভীর্য ও আভিজাত্যের প্রকাশ।

৭. বাক্য গঠনে ও পদবিন্যাসে নিয়মবদ্ধ রীতির অনুসরণ, যেমন- কর্তা কর্মের ক্রমবিন্যাসের পর বাক্যের শেষে ক্রিয়া পদের ব্যবহার ইত্যাদি।

৮. সাধু ভাষার একটি বৈশিষ্ট্য হলো এটি লেখ্য ভাষা।

চলিতভাষা :- রাঢ় অঞ্চলের ভাগীরথী তীরবর্তী এলাকায় প্রচলিত কথ্য উপভাষাকে মানদণ্ড করে যে কথ্য ভাষার অনুগামী লেখ্য উপভাষা চালু হয়েছে তাকে প্রচলিত ভাষা বা সংক্ষেপে চলিত ভাষা বলে। যেমন – সবাই এসে উপস্থিত হলেন।

চলিত ভাষার বৈশিষ্ট্য:-

(১) ভাষায় তদ্ভব, দেশি ও বিদেশি শব্দের প্রাধান্য। ।

(২) অসমাপিকা ক্রিয়ার সংক্ষিপ্ত রূপ, যেমন-করে (< করিয়া), বসে (< বসিয়া), রয়ে (< রহিয়া), চেয়ে (< চাহিয়া), নিয়ে (< লইয়া) ইত্যাদি; সমাপিকা ক্রিয়ার সংক্ষিপ্ত রূপ, যেমন-ছুটছে (< ছুটিতেছে), চলত (< চলিত), পাচ্ছে (< পাইতেছে), করছেন (< করিতেছেন) ইত্যাদি।

(৩) সর্বনাম পদের সংক্ষিপ্ত রূপ, যেমন-তার (< তাহার), তারা (< তাহারা), যারা (< যাহারা) ইত্যাদি।

(৪) অনুসর্গের সংক্ষিপ্ত রূপ, যেমন-বাইরের (< বাহিরের), কাছে (< নিকটে), থেকে (< থাকিয়া), মাঝে (< মধ্যে) ইত্যাদি।

(৫) পদবিন্যাস ও বাক্যগঠনভঙ্গি বিশেষ প্রকৃতির।

(৬) ভাষা কিছুটা লঘু, সাবলীল ও স্বচ্ছন্দ গতিময় যেন জীবন্ত।

পদ্য উপভাষা:-

কাব্য রচনা জন্য যে লেখ্য ভাষারূপে সর্বনাম ও ক্রিয়া পদের বিশেষ পদ্যরূপ ব্যবহৃত হয় তাকে পদ্য উপভাষা বলে। যেমন –

মম(আমার) তব (তোমার), নারি (না পারি), করিনু(করলাম) ইত্যাদি।

পদ্য উপভাষার বৈশিষ্ট্য :-

১। পদ্যের ক্ষেত্রে বাক্যের সাধারণ বিন্যাসক্রম বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রক্ষিত হয় না।

২। পদ্যের ভাষা ছন্দবদ্ধ কাব্যভাষা।

৩। পদ্যে সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণ লক্ষিত হয়।

৪। ছন্দ কবিতায় অন্ত্যমিল থাকে।

The post ভাষা ও উপভাষা || ভাষা ও উপভাষা সম্পর্কে ধারণা ||উপভাষার শ্রেণিবিভাগ || সাধু ও চলিত ভাষা কাকে বলে appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/bhasha_o_upobhasha/feed/ 0