Prerona Academy https://preronaacademy.com/ Just another WordPress site Sun, 26 Jan 2025 06:37:07 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.1 https://preronaacademy.com/wp-content/uploads/2022/10/cropped-PA-Favicon-32x32.png Prerona Academy https://preronaacademy.com/ 32 32 অদল বদল গল্প থেকে বাছাই করা MCQ । মাধ্যমিক বাংলা 2025 https://preronaacademy.com/adal-badal-golpo-theke-mcq/ https://preronaacademy.com/adal-badal-golpo-theke-mcq/#respond Sun, 26 Jan 2025 06:31:22 +0000 https://preronaacademy.com/?p=691 অদল বদল গল্প থেকে বাছাই করা MCQ মাধ্যমিক বাংলা 2025 ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : ১. ‘অদল বদল’ শব্দের

The post অদল বদল গল্প থেকে বাছাই করা MCQ । মাধ্যমিক বাংলা 2025 appeared first on Prerona Academy.

]]>

অদল বদল গল্প থেকে বাছাই করা MCQ

মাধ্যমিক বাংলা 2025

ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :

(ক) সদলবলে
(খ) দল-মাদল-কামান
(গ) দলাদলি করা
(ঘ) বিনিময়

উত্তরঃ- (ঘ) বিনিময়

(ক) পান্নালাল ভট্টাচার্য
(খ) পান্নালাল সরখেল
(গ) পান্নালাল প্যাটেল
(ঘ) পান্নালাল যোশী

উত্তরঃ- (গ) পান্নালাল প্যাটেল

(ক) নিম গাছের তলায়
(খ) মাঠে
(গ) গলির মধ্যে
(ঘ) অমৃতদের উঠোনে

উত্তরঃ-(ক) নিম গাছের তলায়

(ক) বল খেলা করছিল
(খ) ক্রিকেট খেলা করছিল
(গ) কাবাডি খেলছিল
(ঘ) ধুলো ছোড়াছুড়ি করে খেলছিল

উত্তরঃ-(ঘ) ধুলো ছোড়াছুড়ি করে খেলছিল

(ক) অমৃত ও ইসাব দৌড়োতে দৌড়োতে খেলতে এল
(খ) অমৃত ও ইসাব হাত ধরাধরি করে ওদের কাছে এল
(গ) অমৃত ও ইসাব দুজনের গায়েই সেদিনকার তৈরি নতুন জামা ছিল
(ঘ) অমৃত ও ইসাবদের বাড়ি দুটো পরস্পর মুখোমুখি ছিল

উত্তরঃ-(ক) অমৃত ও ইসাব দৌড়োতে দৌড়োতে খেলতে এল

(ক) অমৃতের বাবা দিনমজুর
(খ) ইসাবের বাবা চাষি
(গ) অমৃত ও ইসাবের বাবা উভয়েই অবস্থাপন্ন
(ঘ) ইসাবের অনেক ভাইবোন আছে

উত্তরঃ-(খ) ইসাবের বাবা চাষি

(ক) জামা দুটো খুলে তাদের একবার পরতে দিয়ে বলেছিল
(খ) জামা দুটো পরস্পর পালটা-পালটি করে পরার বলেছিল
(গ) জামা দুটো বাড়িতে খুলে রেখে আসতে বলেছিল
(ঘ) দুজনকে পরস্পরের সঙ্গে কুস্তি করতে বলেছিল

উত্তরঃ-(ঘ) দুজনকে পরস্পরের সঙ্গে কুস্তি করতে বলেছিল

(ক) সময় মতো খেলা থেকে ফিরে না আসতে পারদে
(খ) নতুন জামা ময়লা করলে বা ছিঁড়ে ফেললে।
(গ) ইসাবের সঙ্গ্যে বেশি মেশামিশি করলে
(ঘ) পুনরায় নতুন জামার জন্য বায়না ধরলে

উত্তরঃ-(খ) নতুন জামা ময়লা করলে বা ছিঁড়ে ফেললে

(ক) ইসাবের মতো জামা না পেলে সে খেলতে যাবে না
(খ) ইসাবের মতো জামা না পেলে সে পড়তে বসবেন
(গ) ইসাবের মতো জামা না পেলে সে স্কুলে যাবে না
(ঘ) ইসাবের মতো জামা না পেলে সে কিছু খাবে না

উত্তরঃ-(গ) ইসাবের মতো জামা না পেলে সে স্কুলে যাবে না

(ক) কুস্তি লড়তে গিয়ে
(খ) বাবর কাছে মার খেতে গিয়ে
(গ) খেতে কাজ করতে গিয়ে
(ঘ) গাছে চড়তে গিয়ে

উত্তরঃ-(গ) খেতে কাজ করতে গিয়ে

(ক) পরে নতুন জমা দেবেন
(খ) নতুন জামা না নিলে তাকে ভালো জিনিস খেতে দেবেন
(গ) নতুন জামা নিলে তাকে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে দেওয়া হবে না
(ঘ) নতুন জামা নিলে তাকে ইসাবের মতোই মার খেতে হবে

উত্তরঃ-(ঘ) নতুন জামা নিলে তাকে ইসাবের মতোই মার খেতে হবে

(ক) অমৃত স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল
(খ) অমৃত খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল
(গ) অমৃত রাতে বাড়ি ফেরা ছেড়ে দিয়েছিল
(ঘ) উপরের তিনটি কাজই করেছিল

উত্তরঃ-(ঘ) উপরের তিনটি কাজই করেছিল

(ক) এক বন্ধুর বাড়িতে
(খ) ইসাবদের বাড়িতে
(গ) ইসাবদের গোয়ালঘরে
(ঘ) কালিয়াদের বাড়িতে

উত্তরঃ-(গ) ইসাবদের গোয়ালঘরে

(ক) ইসাবের সঙ্গে কুস্তিতে হেরে যাবে বলে
(খ) জামা নোংরা হতে পারে বা ছিঁড়ে যেতে পারে এই আশঙ্কায়
(গ) কুস্তি করা অমৃতর বাবা পছন্দ করত না বলে
(ঘ) কুস্তি করা অমৃতর মা পছন্দ করত না বলে

উত্তরঃ-(খ) জামা নোংরা হতে পারে বা ছিঁড়ে যেতে পারে এই আশঙ্কায়

(ক) ইসার
(খ) কালিয়া
(গ) অমৃত ও ইসাবের এক প্রতিবেশী
(ঘ) কেউই নয়

উত্তরঃ-(খ) কালিয়া

(ক) ছ-ইঞ্চি
(খ) চার ইঞ্চি
(গ) তিন ইঞ্চি
(ঘ) দু-ইঞ্চি

উত্তরঃ-(ক) ছ-ইঞ্চি

(ক) নতুন জামা যাতে নোংরা না হয় তার জন্য
(খ) নতুন জামা ছিঁড়ে যেতে পারে এই আশঙ্কায়
(গ) ইসাবের সঙ্গে জামা পালটা-পালটি করার জন্য
(ঘ) মা তাকে নতুন জামা খুলে রাখবে বলেছিলেন বলে

উত্তরঃ-(গ) ইসাবের সঙ্গে জামা পালটা- পালটি করার জন্য

(ক) অমৃতের মায়ের কাছ থেকে
(খ) গ্রাম-প্রধানের কাছ থেকে
(গ) সুদখোরের কাছ থেকে
(ঘ) সমিতি থেকে

উত্তরঃ-(গ) সুদখোরের কাছ থেকে

(ক) মায়ের ভরসায়
(খ) বাবার ভরসায়
(গ) ইসাবের ভরসায়
(ঘ) ভাইদের

উত্তরঃ-(ক) মায়ের ভরসায়

(ক) অমৃতকে শাস্তি দিলেন
(খ) অমৃতকে ক্ষমা করে দিলেন।
(গ) নতুন জামা ছেঁড়ার জন্য ইসাবকে দোষ দিলেন
(ঘ) নতুন জামা ছেঁড়ার জন্য কালিয়াকে বকাবকি করলেন

উত্তরঃ-(খ) অমৃতকে ক্ষমা করে দিলেন

(ক) কালিয়ার সঙ্গে কুস্তি করা
(খ) হোলির দিনের বস্তাধস্তি
(গ) ইসাবের সঙ্গে খেলা
(খ) মাটিতে বাঙের মত পড়ে যাওয়া

উত্তরঃ-(খ) হোলির দিনের ধস্তাধস্তি

(ক) রং খেলতে চলে যায়
(খ) হোলির বাজি আর বুড়ির ঘর পোড়ানো দেখতে যায়।
(গ) গ্রাম-প্রধানের বাড়ি মিষ্টিমুখ করতে যায়।
(খ) গ্রামের নদীতে গায়ের রং তুলতে চলে যায়।

উত্তরঃ-(খ) হোলির বাজি আর বুড়ির ঘর পোড়ানো দেখতে যায়

(ক) ইসাবের বাবা
(খ) অমৃতর মা
(গ) কালিয়া
(ঘ) একটি ছেলে

উত্তরঃ-(ঘ) একটি ছেলে

(ক) গ্রাম-প্রধান অমৃতকে ‘অদল’ আর ইসাবকে ‘বদল’ বলে ডাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন
(খ) ওরা অমৃত ইসাবের জামা অদল-বদলের ঘটনা জেনে ফেলেছিল
(গ) অমৃত ইসাবের মত জামা তৈরি করেছিল
(ঘ) অমৃত আর ইসাব তাদের বইয়ের ব্যাগ পালটে ফেলেছিল

উত্তরঃ-(খ) ওরা অমৃত-ইসাবের জামা অদল- বদলের ঘটনা জেনে ফেলেছিল

(ক) অমৃতর মা তাদের বকবে এই অশঙ্কায়
(খ) ইসাবের বাবা তাদের বকতে পারে এই আশঙ্কায়
(গ) অমৃতর বাবা তাদের বকতে পারে এই আশঙ্কায়
(ঘ) ছেলেদের চ্যাঁচামেচির কারণে জানা অদল-বদলের
কথা উভয়ের বাবা জেনে ফেলবে এই আশঙ্কায়

উত্তরঃ-(ঘ) ছেলেদের চ্যাঁচামেচির কারণে জামা অদল-বদলের কথা উভয়ের বাবা জেনে ফেলবে এই আশঙ্কায়

(ক) অমৃতর বাবা
(খ) গ্রাম-প্রধান
(গ) ইসাবের বাবা
(ঘ) সুদখোর মহাজন

উত্তরঃ-(গ) ইসাবের বাবা

(ক) খেলার সময় অমৃত ইসাবের জন। অন্য ছেলেদের সঙ্গে লড়াই করেছে বলে
(খ) ইসাবকে তার নতুন জামা দেওয়ার জন্য
(গ) অমৃত দেখতে খুব সুন্দর ছিল বলে
(ঘ) অমৃত ও ইসাবের মধ্যে বন্ধুত্বের গভীরতা দেখে

উত্তরঃ-(ঘ) অমৃত ও ইসাবের মধ্যে বন্ধুত্বের গভীরতা দেখে

(ক) সাত
(ক) আট
(গ) নয়
(ঘ) দশ

উত্তরঃ-(ঘ) দশ

(ক) পাঠান
(খ) মোগল
(গ) জাঠ
(ঘ) শিখ

উত্তরঃ-(ক) পাঠান

(ক) ছেলেদের খেলাধুলার গল্প
(খ) রূপকথার গল্প
(গ) অমৃত ও ইসাবের জামা অদল-বদলের গল্প
(ঘ) গ্রামের পুরোনো দিনের গল্প

উত্তরঃ-(গ) অমৃত ও ইসাবের জামা অদল- বদলের গল্প

(ক) অমৃতর জামা আদায় করার গল্প
(খ) অমৃত ও ইসাবের পরস্পরের প্রতি ভালবাসার গল্প
(গ) কালিয়ার সঙ্গে ইসাবের কুস্তির গল্প
(ঘ) মায়ের প্রতি অমৃতর আস্থার গল্প

উত্তরঃ-(খ) অমৃত ও ইসাবের পরস্পরের প্রতি ভালোবাসার গল্প

(ক) গ্রামের মেলা
(খ) বাজি ও বুড়ির বাড়ি পোড়ানো
(গ) গ্রামের অন্য ছেলেদের খেলা
(ঘ) কোনোটিই নয়

উত্তরঃ-(খ) বাজি ও বুড়ির বাড়ি পোড়ানো

(ক) অমৃত ও ইসাবকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়ার কথা
(খ) অমৃত ও ইসাবকে ‘গ্রামের গৌরব’ বলার কথা
(গ) অমৃতকে ‘অদল’ ও ইসাবকে ‘বদল’ বলে ডাকার কথা
(ঘ) কোনোটিই নয়

উত্তরঃ-(গ) অমৃতকে ‘অদল’ ও ইসাবকে ‘বদল’ বলে ডাকার কথা

(ক) অমৃত-ইসাব অদল-অদল, বদল-বদল
(খ) ইসাব-অমৃত অদল-বদল, অদল-বদল
(গ) অমৃত-ইসাব অদল-বদল, অদল-বদল
(ঘ) অমৃত-ইসাব বদল-অদল, বদল-অদল

উত্তরঃ-(গ) অমৃত-ইসাব অদল-বদল, অদল- বদল

Follow Us on YouTube : –

The post অদল বদল গল্প থেকে বাছাই করা MCQ । মাধ্যমিক বাংলা 2025 appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/adal-badal-golpo-theke-mcq/feed/ 0
গণনাট্য আন্দোলন সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো। [WBCHSE Sample Question] https://preronaacademy.com/gananatya-somporke-alochona-qna/ https://preronaacademy.com/gananatya-somporke-alochona-qna/#respond Sun, 29 Dec 2024 18:00:42 +0000 https://preronaacademy.com/?p=680 প্রশ্ন : গণনাট্য আন্দোলন সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো। উত্তর : সূচনা: সাহিত্য হল সমাজের দর্পণ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সারা পৃথিবীজুড়েই

The post গণনাট্য আন্দোলন সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো। [WBCHSE Sample Question] appeared first on Prerona Academy.

]]>

উত্তর :

সূচনা: সাহিত্য হল সমাজের দর্পণ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সারা পৃথিবীজুড়েই দেখা দেয় অস্থিরতা। এই অস্থিরতা মূলত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অব্যবস্থার ফলশ্রুতি। আর সেই অব্যবস্থার প্রত্যক্ষ প্রভাবে শুরু হয় অর্থনৈতিক মন্দা। এর ফলে পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলির দুর্বলতা সকলের সামনে চলে আসে। দেশাত্মবোধের মুখোশ পরে ইটালি, জার্মানি, স্পেন, গ্রিস, জাপান ইত্যাদি দেশে একনায়কতন্ত্র ও স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শক্তিগুলির উত্থান ঘটে। ফেদেরিকো লোরকা, র‍্যালফ্ ফক্স-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ফ্যাসিস্ট শক্তির নিন্দা করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-সহ রোমা রোলাঁ, আঁদ্রে জিদ, এপকেনস্টাইন প্রমুখ পৃথিবীর শুভবুদ্ধিসম্পন্ন বুদ্ধিজীবীরা গণতন্ত্র ও মানবিকতা হত্যার বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তোলার শপথ নেন। এইসময় সোভিয়েত রাশিয়ায় সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা উৎসাহ-উদ্দীপনার সঞ্চার ঘটায় এবং একই সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদ তথা ফ্যাসিবাদের প্রতি তীব্র ধিক্কার জানায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতবর্ষে গণনাট্য আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। আদর্শ বামপন্থী সাংস্কৃতিক মঞ্চ IPTA (Indian People’s’ Theatre Association) গড়ে ওঠে। এ ছাড়াও গড়ে ওঠে ফ্যাসিবিরোধী লেখক-শিল্পী সংঘ।আর এই মনোভাবের প্রকাশ ঘটে নাট্য শিল্পেও। তাই এই প্রতিবাদী , জনগণের পক্ষে , শোষণের বিরুদ্ধে যে নাট্যধারা গড়ে ওঠে তাই হল গণনাট্য আন্দোলন।

১। যে-কোনো শিল্পে বাস্তব জীবন সমস্যার ছবি ফুটিয়ে তোলা। তাই নাটকেও স্তব জীবন সমস্যার কথা তুলে ধরা।

২। জনগণের সম্মিলিত প্রতিরোধ ও প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে সেই সমস্যা সমাধানের পথ দেখানো।

৩। ব্যক্তিচরিত্রকে বিশিষ্ট শ্রেণির অন্তর্গত করে প্রদর্শিত করা এবং সেই শ্রেণির মানসিকতাও চিত্রিত করা।

৪। ব্যক্তিমানুষের নয়, সমবেত মানুষের স্বার্থের কথা তুলে ধরা।

৫। সাধারণ জনতার মনোরঞ্জন এর সঙ্গে সঙ্গে জনশিক্ষা ও সচেতনতার উদ্দেশ্যে নাটক রচনা।

৬। লোকসংস্কৃতি ও লোকশিল্পকে সামনে তুলে আনা।

৭। নগরজীবনের মধ্যবিত্ত মানসিকতা পরিত্যাগ করে শ্রমজীবী এবং গ্রামীণ সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরা।

৮। রাজনৈতিক , সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবকে মানুষের সামনে তুলে ধরা।

৯। নাট্য শিল্পকে বিত্তবান মানুষের বিনোদনের বিষয় না রেখে সাধারণ মানুষের স্তরে নামিয়ে আনা।

The post গণনাট্য আন্দোলন সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো। [WBCHSE Sample Question] appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/gananatya-somporke-alochona-qna/feed/ 0
বাংলা শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস । নবজাগরণ কাকে বলে ?একাদশ শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার https://preronaacademy.com/class-11-banglar-nabajagoron-proshnottor/ https://preronaacademy.com/class-11-banglar-nabajagoron-proshnottor/#respond Sun, 15 Dec 2024 16:47:13 +0000 https://preronaacademy.com/?p=675 প্রশ্ন: নবজাগরণ বলতে কী বোঝো এবং কোন্ সময়কে ‘ বাংলার নবজাগরণের কাল’ বলা হয় ? নবজাগরণের ফলে বাঙালির মনে বৌদ্ধিক

The post বাংলা শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস । নবজাগরণ কাকে বলে ?একাদশ শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার appeared first on Prerona Academy.

]]>

প্রচলিত ধর্মের ও সমাজের শাসনে আবদ্ধ মানুষের জীবনে বিদ্রোহ সঞ্চারিত হলেই নবজাগরণের সূত্রপাত ঘটে। আমাদের দেশে ঊনবিংশ শতকে ইউরোপীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির স্পর্শে বাঙালি মানসে যে সর্বাত্মক ভাববিপ্লব ঘটে, তারই প্রভাবে বাংলার সাহিত্য ও সংস্কৃতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে এক নতুন ধ্যান ধারণায়। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে এই যে প্রচলিত ধ্যান ধারণার আমূল পরিবর্তন , একেই রেনেসাঁস বা নবজাগরণ বলা হয়। আর এই নবজাগরণের সঙ্গেই বাংলা তথা ভারতে যথাযথ আধুনিক যুগের সূত্রপাত ঘটে ।

বাংলায় সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলনের সময়পর্বকেই ‘নবজাগরণের কাল’ বলা হয়। বাংলার এই নবজাগরণের প্রভাব ক্রমশ সমগ্র ভারতে ছড়িয়ে পড়েছিল। অনেকের মতে রামমোহন রায়ের সময় থেকে রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু পর্যন্ত সময় হল বাংলার নবজাগরণের কাল ।

Read More : বিদ্যাপতির ভাব সম্মিলন কবিতার উৎস ,কবি পরিচিতি, ব্যাখা ও বিষয়বস্তু আলোচোনা

একথা সত্যি যে ঊনবিংশ শতকেই ইউপরীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির স্পর্শে বাঙালি মধ্যবিত্ত শ্রেণির মনে প্রথমে ভাবান্তর ঘটেছিল। এরফলেই বাঙালি জীবনে প্রচলিত মধ্যযুগীয় ধ্যান ধারণার বিপরীতে বিজ্ঞান ও যুক্তিসম্মত এক আধুনিক মানসিকতার প্রবেশ ঘটে। মানুষ তখন নিজেদের ব্যক্তি জীবনকে গোষ্ঠী জীবন থেকে আলাদা ভাবতে শুরু করে। ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবাদের দ্বারা নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ ঘটাতে শুরু করে। শিক্ষা, সমাজে নারীর অবস্থান , প্রচলিত প্রথাগুলি প্রভৃতি নিয়েও যুক্তিনিষ্ঠ চিন্তা ভাবনা ও বিচার বিশ্লেষণ শুরু হয়। এভাবেই বাংলায় বিস্তৃত হয় নবজাগরণের ব্যাপক প্রভাব ।

The post বাংলা শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস । নবজাগরণ কাকে বলে ?একাদশ শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/class-11-banglar-nabajagoron-proshnottor/feed/ 0
বিদ্যাপতির ভাব সম্মিলন কবিতার উৎস ,কবি পরিচিতি, ব্যাখা ও বিষয়বস্তু আলোচোনা https://preronaacademy.com/vidyapatir-vab-sonmiloni/ https://preronaacademy.com/vidyapatir-vab-sonmiloni/#respond Tue, 12 Nov 2024 16:34:37 +0000 https://preronaacademy.com/?p=668 ১। বৈষ্ণব পদ কী ? মধ্যযুগে রচিত রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক ছোটো ছোটো কবিতা বা গানগুলিকে বলা হয় বৈষ্ণব পদ। ২। ভাব

The post বিদ্যাপতির ভাব সম্মিলন কবিতার উৎস ,কবি পরিচিতি, ব্যাখা ও বিষয়বস্তু আলোচোনা appeared first on Prerona Academy.

]]>

মধ্যযুগে রচিত রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক ছোটো ছোটো কবিতা বা গানগুলিকে বলা হয় বৈষ্ণব পদ।

বৈষ্ণব পদাবলির বিভিন্ন রসপর্যায় রয়েছে। রাধাকৃষ্ণের মিলন, বিরহ , অভিমান এরকম বিভিন্ন মানসিক অবস্থা নিয়ে রচিত রসপর্যায় গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – পূর্বরাগ , অনুরাগ , মান , অভিসার , মাথুর , ভাবোল্লাস , মিলন ইত্যাদি।

এই পর্যায়গুলির মধ্যে একটি পর্যায় হল ভাবোল্লাস বা ভাব সম্মিলন। ভাব সম্মিলন হল শ্রীকৃষ্ণ মথুরা চলে যাবার পরে রাধার মনে প্রিয় বিরহের যন্ত্রণা বা মাথুর শুরু হয় সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে রাধা ভাবে সা কল্পনাতে শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে মিলিত হন এবং বিরহের বদলে এক আনন্দের অনুভূতি লাভ করেন। এই ভাব কল্পনায় মিলনের পদগুলিই হল ভাবোল্লাস বা ভাব সম্মিলনের পদ।

মনে রেখো ভাব সম্মিলন এই কবিতার নাম নয় , এটি একটি বৈষ্ণবপদের রস পর্যায়ের নাম । এরকম আরো অনেক কবির অনেক ভাবোল্লাসের পদ রয়েছে।

কবি বিদ্যাপতির জন্ম দ্বারভাঙা জেলার মধুবনী পরগনার বিসফী গ্রামের এক বিদগ্ধ ব্রাহ্মণ পরিবারে। তার কৌলিক উপাধি ঠক্কুর বা ঠাকুর। তিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। মিথিলার ছয়জন রাজা ও একজন রানীর পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিলেন। তাঁর রচনাবলির মধ্যে রয়েছে ‘কীর্তিলতা’ ‘ভূপরিক্রমা’, ‘কীর্তিপতাকা’, ‘পুরুষ পরীক্ষা’, ‘শৈবসর্বস্বসার’, ‘গঙ্গাবাক্যাবলি’, ‘বিভাগসার’, ‘দানবাক্যাবলি’, লিখনাবলি, দুর্গাভক্তিতরঙ্গিনী। তিনি রাধাকৃষ্ণবিষয়ক প্রায় আট শ’ পদ রচনা করেন। জীবৎকালে বিখ্যাত কবি ও পণ্ডিতরূপে তার প্রতিষ্ঠা ছিল। তাঁর পদগুলি মিথিলা ছাড়িয়ে বাংলা দেশেও বেশ জনপ্রিয়তালাভ করেছে।

ব্রজবুলি মূলত এক ধরণের কৃত্রিম মিশ্রভাষা। মৈথিলি ও বাংলার মিশ্রিত রূপ হলো ব্রজবুলি ভাষা। ব্রজবুলি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের দ্বিতীয় কাব্যভাষা বা উপভাষা। এই ভাষায় শব্দগুলি খুব শ্রুতিমধুর। কঠিন শব্দগুলি ভেঙে মিস্টিভাবে উচ্চারিত হয়। এজন্যে ব্রজবুলি খুব মিষ্টি, সুরময়, গীতিময় ভাষা। বিদ্যাপতির ব্রজবুলি ভাষার পদগুলি বাংলা সাহিত্য সমাজে খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। রবীন্দ্রনাথও এই ব্রজবুলি ভাষায় ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ রচনা করেন।

কংস বধের জন্য কৃষ্ণ বৃন্দাবন ছেড়ে মথুরায় চলে গেলে রাধা প্রিয়তমের জন্য বিচ্ছেদ বেদনায় কাতর হয়ে পড়েন । শ্রীকৃষ্ণ আর বৃন্দাবনে ফিরে আসেননি, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণকে পাওয়ার জন্য ভাবের জগতে হারিয়ে গিয়েছিলেন শ্রীরাধিকা। তাই মনোজগতে ভাব কল্পনায় শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন তিনি। প্রবল বিরহ-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে অন্তরের মধ্যেই নিত্যদিন মিলনের আশায় থাকতেন রাধা। এই মিলনে শ্রীকৃষ্ণকে হারিয়ে ফেলার কোনো ভয় নেই। দীর্ঘদিন কৃষ্ণকে কাছে না পেয়ে বিরহে কাতর রাধা, কৃষ্ণকে নিজের অন্তরের মধ্যে ফিরে পাওয়ার পর, তাঁর মনে মিলনের যে উল্লাস জেগে
উঠেছে, সেই আনন্দ প্রকাশ করতেই বিদ্যাপতি এই পদ রচনা করেন। রাধা তাঁর সেই আনন্দ উপলব্ধি প্রকাশ করেছেন তাঁর সখীদের কাছে । বিদ্যাপতির এই কবিতাটি সেই কথাকেই তুলে ধরছে আমাদের কাছে।

কহব : কহিব, বলিব।
চিরদিনে : দীর্ঘ দিনে / দীর্ঘদন পর
মন্দিরে : ঘরে
সুধাকর : চাঁদ
পিয়া-মুখ-দরশনে : প্রিয়তমর মুখ দেখে
ভেল : হল
মহানিধি : মহামূল্যবান রত্ন
গীরিষির : গ্রীষ্মের / গরমকালের
বরিষার : বর্ষার
দরিয়া : নদীর
ভণয়ে : বলছে
দুখ : দুঃখ
বরনারি : শ্রেষ্ঠা নারী বা সুন্দরী
ওর : অন্ত, পার, সীমা
মাধব : শ্রীকৃঘ্ন।
দেল : দিল
আঁচর : আঁচল
তব : তাহলেও, তবুও
ওঢ়নী : ওড়না / চাদর
বা : বাতাস
ছত্র : ছাতা
না : নৌকা
সুজনক : সুন্দর বা ভালো মানুষ
দিবস দুই-চারি : দু-চারদিন

Read More : ছুটি গল্পের বিষয়বস্তু | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | একাদশ শ্রেণি বাংলা

উত্তর: ‘সুধাকর’ শব্দের অর্থ হল চাঁদ । সুধাকরকে পাপী বলার কারণ হল প্রিয়তম কৃষ্ণের বিরহে রাধিকা যখন দুঃখে কাতর
তখন চাঁদের মায়াবী জ্যোৎস্না যেন আরও বেশি করে তাঁকে কৃষ্ণের কথা মনে করাচ্ছে। অথচ তিনি শ্রীকৃষ্ণের কাছে যেতে পারছেন না। শ্রীরাধিকার
বিচ্ছেদ বেদনাকে বড় করে তোলার জন্য সুধাকরকে পাপী বলা হয়েছে।

উত্তর: শ্রীরাধিকাকে ফেলে রেখে প্রিয় কৃষ্ণ গিয়েছেন মথুরায়। সমগ্র বৃন্দাবন বিরহে কাতর হয়ে উঠেছে। রাধিকার বিরহ-কাতরতায় বৃন্দাবনের বক্ষে নেমে আসা মায়াবী চাঁদের জ্যোৎস্নালোক সেই বেদনাকে
দ্বিগুণ করেছে। চাঁদের প্রতি তাই শ্রীরাধিকার মনে বড়োই আক্রোশ জন্মেছে প্রিয়-বিচ্ছেদে তিনি বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন। প্রিয়-মিলনের পূর্বে রাধার
এরূপ অবস্থার বর্ণনাতেই ‘যতদুখ’ শব্দবন্ধটির অবতারণা।

উত্তর: বৈষ্ণব পদকর্তা বিদ্যাপতি ‘মহানিধি’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ বুঝিয়েছেন মহৈশ্বর্য বা মহামূল্যবান সম্পদ। পার্থিব ধনরাশি, যা মানুষকে বিত্তশালী, লোভী ও স্বার্থপর করে তোলে।

অন্তর্নিহিত অর্থ: পাঠ্যানুসারে ‘মহানিধি’ শব্দটির অন্তর্নিহিত অর্থ স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ। রাধিকার কাছে শ্রীকৃয় হলেন মহামূল্যবান রত্ন সমান, তাঁর হৃদিমাণিক্য, তাঁর অভিন্ন সত্তা।

উত্তর : শ্রীকৃষ্ণ মথুরা চলে যাওয়ার পর শ্রীরাধিকা যে বিরহ
যন্ত্রণায় দগ্ধ হচ্ছিলেন, সেই অন্তরের বিরহ ক্লেশ কাটিয়ে উঠেছেন। যে শারীরিক বিচ্ছেদ রাধিকাকে পীড়িত করছিল, সেই বিচ্ছেদ-বেদনা রাধিকার
মানসলোকে এসে হঠাৎই প্রশমিত হয়েছে। রাধা ভাবলোকে অনুভব
করেছেন শ্রীকৃষ্ণকে। তাঁরা এখন অভিন্ন সত্তা। মানসলোকে ঘটেছে যুগল কোনো মহৈশ্বর্যের বিনিময়েই তিনি আর তাঁকে দূরদেশে চলে যেতে দেবেন না।

উত্তর : কবি বিদ্যাপতি রচিত ‘ভাব সম্মিলন’ কবিতায় আলোচ্য অংশে কবি বুঝিয়েছেন প্রিয়তম শ্রীকৃষ্ণ, কেবল শ্রীরাধিকার প্রেমিকই নন, তিনি তাঁর ত্রাতাস্বরূপ। রাধার জীবনে কৃষ্ণের গুরুত্ব কতখানি, তা বোঝাতে কবি বিদ্যাপতি কথাটি ব্যবহার করেছেন।

দীর্ঘদিনের কৃষ্ণবিচ্ছেদ শ্রীরাধিকাকে বিরহে কাতর করে তুলেছিল। প্রিয়তমকে মানসলোকে পেয়ে তাঁর আনন্দের আর সীমা নেই।
ভাবের অতিশয্যে ভেসেছেন শ্রীরাধিকা। সখীর কাছে সেই আনন্দ ব্যক্ত করছেন, নানা অলংকার-উপমায় ভরিয়ে তুলছেন শ্রীকৃষ্ণকে। শ্রীকৃষ্ণ যে
তাঁর কাছে কতটা মূল্যবান, তা বোঝাতে কী বলবেন, কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। তিনি সখীকে বলছেন, ওড়না বা উত্তরীয় যেমন শীতের প্রকোপ থেকে শরীরকে রক্ষা করে তেমনই শ্রীকৃষ্ণ যেন শ্রীরাধিকার অসময়ের রক্ষক, আবার প্রবল গ্রীষ্মের দিনে সুশীতল বাতাসের মতো শ্রীকৃষ্ণ শ্রীরাধিকার জীবনে আনেন প্রশান্তি। কৃষ্ণ যেমন ছাতার ন্যায় প্রতিকূলতার ধারা বর্ষণ থেকে রাধিকাকে রক্ষা করেন, তেমনই কৃষ্ণই তাঁর জীবন নদী পারাপারের নৌকা। দুর্গম ভব পারাবারের কাণ্ডারি। রাধার জীবনে তিনি নিশ্চিন্ত আশ্রয় ও শান্তি এ কথাই আলোচ্য অংশে উপমায় তুলে ধরা হয়েছে।

The post বিদ্যাপতির ভাব সম্মিলন কবিতার উৎস ,কবি পরিচিতি, ব্যাখা ও বিষয়বস্তু আলোচোনা appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/vidyapatir-vab-sonmiloni/feed/ 0
ছুটি গল্পের বিষয়বস্তু | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | একাদশ শ্রেণি বাংলা 2nd Semester https://preronaacademy.com/chuti-golper-bishoybastu-alochona/ https://preronaacademy.com/chuti-golper-bishoybastu-alochona/#respond Thu, 31 Oct 2024 16:35:34 +0000 https://preronaacademy.com/?p=662 গল্প :- ‘ ছুটি ’ লেখক:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উৎস:- ‘ছুটি’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক বাংলা ভাষায় রচিত একটি ছোটগল্প। এটি ১২৯৯

The post ছুটি গল্পের বিষয়বস্তু | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | একাদশ শ্রেণি বাংলা 2nd Semester appeared first on Prerona Academy.

]]>

লেখক:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

‘ছুটি’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক বাংলা ভাষায় রচিত একটি ছোটগল্প। এটি ১২৯৯ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে রচিত। ১৮৯২ সালে ডিসেম্বর মাসে ” সাধনা” পত্রিকায় ‘ ছুটি ‘ গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয়। পরে গল্পটি ‘ গল্পগুচ্ছ ‘ গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়।

ফটিক:- ১৩-১৪ বছর বয়সের এই ছেলেটি গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র।
মাখনলাল:- ফটিকের একমাত্র কনিষ্ঠ ভাই।
বিশ্বম্ভরবাবু:-ফটিকের মামা।
অন্যান্য চরিত্র :- ফটিকের মা এবং ফটিকের মামী।

রবীন্দ্রনাথের ‘ ছুটি ‘ গল্পটি একটি গ্রাম্য বালকের মর্মযন্ত্রণার করুন কাহিনি। এখানে দেখা যায় প্রকৃতির কোল ছিন্ন ক’রে গ্রাম্য প্রকৃতির রাজ্যে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা একটি সন্তানকে শহরের যান্ত্রিক পরিবেশে নিয়ে যাওয়া হয়। এর ফলে সে জীবন যন্ত্রণায় কাতর হয়ে মুক্তির সন্ধান করে। কিন্তু উন্নতির প্রতিভূ যান্ত্রিক জীবন থেকে মুক্তি পাওয়া কখনোই সম্ভব হয় না । আর তাই শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে প্রকৃতির কোলে মুক্তি পেতে হয়েছে তাকে। গল্পটির কাহিনি শুরু হয়েছে এইভাবে –

‘ছুটি’ গল্পে ফটিক এক ডানপিটে গ্রাম্য ছেলে। সে সেখান থেকে মামার সাথে শহরে আসে ঘটনাচক্রে। কৈবর্তের গ্রাম থেকে শহর কলকাতায় এসে তার মানসিক দুরবস্থা এবং পরিণতিতে মৃত্যু আগাগোড়া একটা মনস্তাতত্ত্বিক বিষয়ের উপর দাঁড়ানো। গল্পটিতে বয়ঃসন্ধিকালীন ছেলেটির মনস্তাত্ত্বিক বিভিন্ন দিক ফুটে উঠেছে।। গ্রামের বালকদের সর্দার ছিল দুরন্ত স্বভাবের ফটিক। ফটিকের নেতৃত্বেই গ্রামের ছেলেরা নতুন নতুন খেলার উদ্ভাবন করত। এরকমই একদিন নদীর ধারে রাখা শালগাছের গুঁড়িকে নিয়ে খেলার সময় ফটিকের ছোটোভাই মাখনলাল তার ওপরে চেপে বসে। তখন মাখনলালকে সুদ্ধ সেই শালকাঠের গুঁড়িটিকে গড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং মাখন মাটিতে পড়ে যায়। কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরে গিয়ে সে মার কাছে ফটিকের নামে অভিযোগ করে যে, ফটিক তাকে মেরেছে। ফটিকের মার নির্দেশে ফটিককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। ফটিক ভাইকে মারার কথা অস্বীকার করে, কিন্তু মাখন মারার অভিযোগ জারি রাখে। ক্রুদ্ধ ফটিক মিথ্যে কথা বলার জন্য এবার মাখনকে সত্যিই চড় মারে। এই পরিপ্রেক্ষিতে মা ফটিককে পালটা চড় মারলে ফটিক মা-কে ঠেলে দেয়। এই নিয়ে যখন গোলযোগ চলছে, তখনই ফটিকদের বাড়িতে আগমন ঘটে তার মামা বিশ্বম্ভরবাবুর, যিনি পশ্চিমে কাজের জন্য বহুদিন বাইরে ছিলেন। তার আসার ফলে বাড়িতে বেশ সমারোহ হয়। বিদায় নেওয়ার কয়েকদিন আগে বিশ্বম্ভরবাবু তাঁর বোনের কাছে যখন ভাগিনাদের পড়াশোনার খবর নেন, তখন ফটিকের মা মাখনের প্রশংসা করলেও, ফটিকের ব্যাপারে নানা অভিযোগ জানান। বিশ্বম্ভরবাবু ফটিককে উপযুক্ত লেখাপড়া শেখানোর জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। ফটিকের মা তাতে সম্মতি দেন। ফটিকও এই প্রস্তাবে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে। সে যাওয়ার সময় তার সমস্ত খেলার জিনিসগুলি মাখনলালকে উদারভাবে দান করে দিয়ে যায়। কিন্তু মামার বাড়িতে মামির তরফ থেকে সে প্রত্যাশিত অভ্যর্থনা পায় না, তার মামি তাকে নিজের সংসারে অবাঞ্ছিত মনে করেন। ফটিকের যে বয়স অর্থাৎ কৈশোর এবং যৌবনের মধ্যবর্তী সময়কাল, তা সাধারণভাবে সমাজে খুব গ্রহণযোগ্য হয় না। ফটিকের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নানা কারণে নানাভাবে তাকে একাধিকবার তিরস্কৃত হতে হয়। ধীরে ধীরে বাড়ির জন্য, গ্রামের জন্য মন খারাপের এক অনুভূতি ফটিকের সমস্ত মনকে অধিকার করে নেয়, সেইসঙ্গে তার অসহায় মন মা-র জন্য আকুল হয়ে ওঠে। স্কুলে পাঠ অমনোযোগী ফটিককে প্রায় নিয়মিত শিক্ষকের মার খেতে হত। বই হারিয়ে ফেলার ঘটনায় তার সমস্যা আরও বেড়ে যায়। কারণ, স্কুলের পড়া তৈরি করে আসা তার পক্ষে সম্ভব হয় না।
গ্রাম্য বালকের মনের গভীরে কষ্টের কথা কেউ জানতে পারল না। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছোয় যে, তার মামাতো ভাইরা তার সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করতে লজ্জাবোধ করত, বরং কোনোভাবে ফটিক অপ্রস্তুত হলে তারা আনন্দ উপভোগ করত। একদিন মামির কাছে নিরুপায় হয়ে বই হারানোর কথা বললে ফটিককে আবারও তিরস্কৃত হতে হয়। অভিমানী ফটিকের মনে হয় পরের পয়সা নষ্ট করে সে অনুচিত কাজ করছে। মায়ের প্রতি তার অভিমান তীব্রতর হয়। এই সময়েই একদিন ফটিক স্কুল থেকে ফেরার পরে অসুস্থ বোধ করে। তার জ্বর আসে। সে বুঝতে পারে যে এই অসুস্থতা তার মামির কাছে এক অনাবশ্যক উপদ্রব হয়ে উঠতে পারে, আর সে কারণেই পরদিন সকালে ফটিক নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। চারপাশে তার খোঁজ পাওয়া যায় না। ফটিক আসলে মুক্তির জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। এইসব যন্ত্রণায় ভরা যান্ত্রিক জীবন ফটিককে ব্যথিত করে। সে পালিয়ে মুক্তি পেতে চায় । অবশেষে ফটিকের কোনো সন্ধান না পেয়ে বিশ্বম্ভরবাবু পুলিশে খবর দিতে বাধ্য হন। সন্ধ্যার সময় পুলিশের গাড়িতে ফটিককে ফিরিয়ে আনা হয়। এই সময় বৃষ্টিতে ভেজার কারণে তার জ্বর আসে। জ্বরের ঘোরে প্রলাপ বকতে থাকে ফটিক । ডাক্তারবাবুও শঙ্কা প্রকাশ করেন।

Read More : ছুটি গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর || একাদশ শ্রেণি বাংলা 2nd Semester

অবশেষে তার মাকে খবর দেওয়া হয়। মা এলেও ফটিকের জ্ঞান ফেরে না । ফটিকের অসুস্থতায় তিনি আর্তনাদ করে ওঠেন। ফটিক কাউকে লক্ষ না করেই পাশ ফিরে মৃদুস্বরে মা-কে উদ্দেশ্য করে বলে যে তার ছুটি হয়েছে, সে বাড়ি যাচ্ছে। গভীর জ্বরের ঘোরে সে মুক্তির প্রত্যাশা করে । শেষ পর্যন্ত সে ছুটি পায় জীবন থেকে ও জীবনের যন্ত্রণা থেকে । এভাবেই সমাপ্ত হয়েছে ছুটি গল্পটি। এই গল্প আসলে প্রকৃতির কোলচ্যুত একটি বালকের কাহিনি । জীবাত্মার সঙ্গে মানবাত্মার এক চিরন্তন সম্পর্কের কাহিনি। যে বন্ধন কখনোই জোর করে ছিন্ন করা উচিত নয়।

The post ছুটি গল্পের বিষয়বস্তু | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | একাদশ শ্রেণি বাংলা 2nd Semester appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/chuti-golper-bishoybastu-alochona/feed/ 0
ছুটি গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর || একাদশ শ্রেণি বাংলা 2nd Semester https://preronaacademy.com/chuti-golpo-boro-proshnottor/ https://preronaacademy.com/chuti-golpo-boro-proshnottor/#respond Mon, 28 Oct 2024 04:59:38 +0000 https://preronaacademy.com/?p=657 ছুটি গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন: রবীন্দ্রনাথের ‘ছুটি’ গল্পের ফটিক চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো। ৫ উত্তর:- রবীন্দ্রনাথের ‘ছুটি’ গল্পে প্রকৃতির কোল

The post ছুটি গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর || একাদশ শ্রেণি বাংলা 2nd Semester appeared first on Prerona Academy.

]]>

ছুটি গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর

উত্তর:- রবীন্দ্রনাথের ‘ছুটি’ গল্পে প্রকৃতির কোল বিচ্যুত এক বালকের মর্মযন্ত্রণার কাহিনি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই গল্পের সেই অসহায় কেন্দ্রীয় চরিত্রটির নাম ফটিক। মানব-প্রকৃতির রূপকার রবীন্দ্রনাথ আলোচ্য ছোটোগল্পে ফটিক চরিত্রের মধ্যে কতগুলি বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তুলেছেন। সেগুলি হল –

১। নেতৃত্বদানকারী
২। স্বাধীনচেতা
৩। প্রকৃতির সন্তান
৪। সত্যবাদী
৫। স্নেহের কাঙাল
৬। আত্ম মর্যদাসম্পন্ন
৭। নিঃসঙ্গ

গল্পের শুরুতেই দেখা যায় গল্পের নায়ক ফটিক তার খেলার সাথীদের নিয়ে উন্মুক্ত প্রকৃতির বুকে স্বাধীনভাবে খেলা করছিল। তার সঙ্গীদের কাছে সেই ছিল নেতা। বালকদের মধ্যে এই নেতৃত্বদানের গুন সকলের থাকে না। ফটিক শুরু থেকেই এই গুণের অধিকারী।

ফটিক যে স্বাধীনচেতা সে বিষয়ে সংশয় নেই। ঘুড়ি ওড়ানো, নদীতে সাঁতার কাটা,‘তাইরে নাইরে নাইরে না’ বলে ঘুরে বেড়ানোর মধ্য দিয়ে তার মন আনন্দরসে পরিপূর্ণ হয়ে উঠত। তার স্বাধীন মন কখন কারো তোয়াক্কা করে নি ।

‘পথের পাঁচালী’র অপু , ‘পুঁইমাচা’ গল্পের খেন্তির মতই ফটিকও ছিল প্রকৃতির সন্তান। প্রকৃতির কোলে লালিত সন্তান ফটিক কলকাতায় মামা ও মামির আশ্রয়ে এসে প্রথম উপলব্ধি করে, নাগরিক জীবনে সে কতটা অবাঞ্ছিত। ফটিকের গ্রামে ফিরে যাওয়ার ব্যাকুলতা শুধু মায়ের জন্য নয়,
তার অন্তরাত্মার সঙ্গে প্রকৃতির এক নিবিড় একাত্মতার কারণে। শিশুর শিক্ষালাভে যান্ত্রিক পরিবেশ যে প্রতিবন্ধকতাস্বরূপ, সেই মনোভাবই সহানুভূতির সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ এই গল্পে তুলে ধরেছেন।

ফটিক চরিত্রের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল তার সত্যবাদী স্বভাব। ফটিক তার ভাই মাখনলালের গালে চড় মেরে ভাইয়ের মিথ্যাচারিতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। আবার সে কলকাতা যাত্রার পূর্বে খেলার ঘুড়ি, লাটাই, ছিপ ভাইকেই সমর্পণ করে তা সম্পূর্ণ ভোগের অধিকার দিয়ে যায়। গল্পের কোথাও ফটিকের মিথ্যাবাদের দৃষ্টান্ত নেই।

ফটিক আসলেই স্নেহের কাঙাল। আলোচ্য গল্পে দেখা যায়, পিতৃহীন ফটিক তার
মায়ের স্নেহ-মমতা-ভালোবাসা থেকে অনেকটাই বঞ্চিত। সে বোঝে তার মায়ের হৃদয়ের অধিকাংশটাই জুড়ে রয়েছে ভাই মাখন। তাই মামা বিশ্বম্ভরবাবুর সস্নেহ প্রস্তাবে রাজি হয়ে সে কলকাতা চলে যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে মামির স্নেহহীন সান্নিধ্য তাকে পীড়িত করে। তাই স্নেহবুভুক্ষু ফটিক শেষপর্যন্ত মামারবাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। স্নেহ বঞ্চিত ফটিককে কেউ কখনো বুঝতে পারে নি।

ফটিক ভীষণ আত্ম মর্যদাসম্পন্ন । খেলতে খেলতে পড়ে গিয়ে মাখন
যখন তাকে মেরে বাড়ি চলে গিয়েছে, তখন অভিমানে সে আনমনে বসে থেকেছে। মাখনের মিথ্যে অভিযোগে মা যখন তাকে প্রহার করেছে, সেই মুহূর্তে মৃদু প্রতিবাদ করলেও মায়ের উপর তার অভিমান হয়েছে। আপাত মাতৃস্নেহবিহীন গৃহ পরিবেশে উপেক্ষিত ফটিক তাই মামার প্রস্তাবে সহজেই কলকাতা যেতে রাজি হয়ে গিয়েছে। আবার কলকাতা গিয়ে মামির হৃদয়হীন আচরণে অভিমান করে সে বাড়ি ছেড়েছে। তার ভেতরের যন্ত্রণার কথা কাউকেই বলে নি। নিজে কষ্ট পেলেও কাউকেই কষ্ট যন্ত্রণা দেয় নি। এটা তার আত্মসম্মানে বাঁধে।

এই বয়েসের বালকেরা থাকে বয়ঃসন্ধিকালীন সমস্যায় জর্জরিত। বয়ঃসন্ধিকালীন অবস্থায় নানা ব্যর্থতা কিশোর-কিশোরীদের অন্তরকে পীড়িত করে। ‘ছুটি’ গল্পে ফটিকের প্রতি মামির রূঢ় আচরণ, শিক্ষকের প্রহার, বই হারিয়ে ফেলা, মামাতো ভাইদের নির্মম ব্যবহার, বন্ধুত্বহীন নিঃসঙ্গ জীবন ইত্যাদি ঘটনার ফলে মানসিক দ্বন্দ্বে ক্ষতবিক্ষত ফটিকের অন্তরাত্মা। বয়ঃসন্ধিতে দাঁড়িয়ে নিজেকে বুঝতে না পারার অক্ষমতাই তাকে অবসাদগ্রস্ত করে তুলেছে। কারও সহৃদয়তা তাকে বুকে টেনে নেয় নি। তাই আগাগোড়াই সে ছিল নিঃসঙ্গ।

আলোচ্য গল্পে রবীন্দ্রনাথ ফটিকের জীবনের কাহিনি তুলে এনে কিশোর মনের সমস্যাকে যেমন তুলে ধরেছেন, তেমনই দেখিয়েছেন প্রকৃতির সঙ্গে যার অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক; প্রকৃতির সঙ্গে বিচ্ছেদে তার অস্তিত্ত্ব কীভাবে সংকটে পড়ে যায় । ফটিকের এই মর্মান্তিক কাহিনি বাংলা সাহিত্যে এক দীর্ঘশ্বাস হয়ে আমাদের মনে থেকে যাবে চিরকাল।

সমস্ত ক্লাসগুলি নিয়মিত ভিডিও আকারে পেতে চলে আসো আমাদের YouTube Channel এ।

The post ছুটি গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর || একাদশ শ্রেণি বাংলা 2nd Semester appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/chuti-golpo-boro-proshnottor/feed/ 0
২০২৫ মাধ্যমিক বাংলা SAQ সাজেশন | মাধ্যমিক বাংলা গুরুত্বপূর্ণ SAQ https://preronaacademy.com/2025-madhyamik-bangla-suggestion-saq/ https://preronaacademy.com/2025-madhyamik-bangla-suggestion-saq/#respond Fri, 04 Oct 2024 17:03:49 +0000 https://preronaacademy.com/?p=650 মাধ্যমিক বাংলা SAQ ১। ‘অদল-বদলের গল্প’ গ্রামপ্রধানের কানে গেলে তিনি কী ঘোষণা করেছিলেন ? উত্তরঃ- পান্নালাল প্যাটেল রচিত ‘অদল-বদল’ গল্পে

The post ২০২৫ মাধ্যমিক বাংলা SAQ সাজেশন | মাধ্যমিক বাংলা গুরুত্বপূর্ণ SAQ appeared first on Prerona Academy.

]]>

মাধ্যমিক বাংলা SAQ

উত্তরঃ- পান্নালাল প্যাটেল রচিত ‘অদল-বদল’ গল্পে অমৃত ইসবের জামা অদল-বদল সংক্রান্ত গল্প তাদের গ্রামপ্রধানের কানে গেলে তিনি ঘোষণা করেন—“আজ থেকে আমরা অমৃতকে অদল আর ইসাবকে বদল বলে ডাকব।”

উত্তরঃ- যে বিশেষ বৃত্তিধারী ব্যক্তিরা বিভিন্ন রূপধারণ করে, বিশেষ বেশে সজ্জিত হয়ে জনসাধারণের মনোরঞ্জন করার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের বহুরূপী বলে।

উত্তরঃ- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ উপন্যাসের পাঠ্য অংশে ভামো যাত্রার সময় ট্রেনে অপূর্বর সঙ্গী ছিল এক আরদালি এবং তার অফিসের এক হিন্দুস্থানি ব্রাক্ষ্মণ পেয়াদা।

উত্তরঃ- আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয়। সেই পত্রিকার সূচিপত্রে লেখা ছিল—“ ‘প্রথম দিন’ (গল্প) শ্রীতপন কুমার রায়।”

উত্তরঃ- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের নায়ক নদেরচাঁদ নদীর প্রতি তার এই অস্বাভাবিক মায়া যে পাগলামিরিই নামান্তর, এ কথা বোঝে।

উত্তরঃ- যুদ্ধ দাঙ্গার মধ্যে পড়ে যেসব মানুষ সর্বস্ব হারিয়েছে, সেইসব বিপন্ন মানুষের চারপাশে-কাছে-দূরে শিশুদের শব ছড়ানো রয়েছে।

উত্তরঃ- ‘অম্বুরাশি-সুতা’ অর্থাৎ দেবী লক্ষ্মী প্রভাষা রাক্ষসীর ছদ্মবেশ ধারণ করে বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ ও রাজা রাবণের যুদ্ধসজ্জার সংবাদ ইন্দ্রজিৎকে দেওয়ার জন্য তাঁর কাছে গিয়েছিলেন।

২০২৫ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন :-

উত্তরঃ- সমুদ্রকন্যা পদ্মা সিন্ধুতীরে পদ্মাবতীর সংকটাপন্ন অবস্থা দেখে নিজের সখীদের বললেন পদ্মাবতী ও তাঁর সখীদেরকে যত্ন করে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

উত্তরঃ- প্রখ্যাত সাহিত্যিক নবারুণ ভট্টাচার্য পাবলো নেরুদার ‘the unhappy one’ কবিতাটি ‘অসুখী একজন’ শীর্ষনামে অনুবাদ করেন।

উত্তরঃ- ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার লাভ করেন’ – একে প্রসারিত করে লেখা যায়— ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন’। সুতরাং, ‘গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য’ হল বিধেয়র প্রসারক।

উত্তরঃ- ঠিক ইসাবের মতো জামাটি তার চাই, নতুবা ও স্কুলে যাবে না। (যৌগিক বাক্য)।

Also Read : ২০২৫ মাধ্যমিক বাংলা MCQ | Madhyamik Bengali Suggestion 2025

উত্তরঃ- প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৌত্র ঋতেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র সুভো ঠাকুরের বিখ্যাত দোয়াত সংগ্রহ দেখে জেনেছিলেন যে, সোনার দোয়াত-কলম সত্যিই হয়।

উত্তরঃ- প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু তাঁর ছেলেবেলায় ব্রহ্মমোহন মল্লিকের বাংলা জ্যামিতি বই পড়তেন।

উত্তরঃ- যে সমাসের সমস্তপদে (সমাসবদ্ধ) পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় না, তাকে বলে অলোপ সমাস বা অলুক সমাস। যেমন—রাজার হাট—রাজারহাট।

উত্তরঃ- তার পক্ষে তখন যাওয়া অসম্ভব। (হ্যাঁ-বাচক বাক্য)।

উত্তরঃ- যে বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়ার সঙ্গে কর্তার অন্বয় স্পষ্ট হয়ে ওঠে, অর্থাৎ কর্তার প্রাধান্য থাকে এবং ক্রিয়া কর্তার পুরুষের অনুগামী হয়, তাকে কর্তৃবাচ্য বলে। যেমন — আমরা নিয়মিত খেলা করি।

উত্তরঃ- তাদের আর স্বপ্ন দেখা হল না। (ভাববাচ্য)।

2025 Madhyamik Bangla Suggestion :-

উত্তরঃ- দ্বন্দ্ব সমাসের একটি উদাহরণ হল—আত্মীয়স্বজন। এর ব্যাসবাক্যটি হল—আত্মীয় ও স্বজন।

উত্তরঃ- মেঘে ঢাকা = মেঘে ঢাকা —অলোপ করণ তৎপুরুষ সমাস।

সমস্ত ক্লাসগুলি নিয়মিত ভিডিও আকারে পেতে চলে আসো আমাদের YouTube Channel এ।

The post ২০২৫ মাধ্যমিক বাংলা SAQ সাজেশন | মাধ্যমিক বাংলা গুরুত্বপূর্ণ SAQ appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/2025-madhyamik-bangla-suggestion-saq/feed/ 0
২০২৫ মাধ্যমিক বাংলা MCQ | Madhyamik Bengali Suggestion 2025 https://preronaacademy.com/madhyamik-bangla-suggestion-2025-mcq/ https://preronaacademy.com/madhyamik-bangla-suggestion-2025-mcq/#respond Sun, 29 Sep 2024 12:54:47 +0000 https://preronaacademy.com/?p=646 ২০২৫ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন MCQ ১. “রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই।” কার কথা বলা হয়েছে – (ক) মেজো কাকা(খ) বড়ো মেসোমশাই(গ)

The post ২০২৫ মাধ্যমিক বাংলা MCQ | Madhyamik Bengali Suggestion 2025 appeared first on Prerona Academy.

]]>

২০২৫ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন MCQ

(ক) মেজো কাকা
(খ) বড়ো মেসোমশাই
(গ) ছোটোমামা
(ঘ) ছোটো মেসোমশাই

উত্তরঃ- (ঘ) ছোটো মেসোমশাই

(ক) রাবণ
(খ) ইন্দ্রজিৎ
(গ) কর্ণ
(ঘ) কার্তিক

উত্তরঃ- (ঘ) কার্তিক

ক) পিতলের শলাকা
খ) লোহার শলাকা
গ) তামার শলাকা
ঘ) ব্রোঞ্জের শলাকা

উত্তরঃ- (ঘ) ব্রোঞ্জের শলাকা

(ক) ২ বছরের
(খ) ৩ বছরের
(গ) ৪ বছরের
(ঘ) ৫ বছরের

উত্তরঃ- (গ) ৪ বছরের

(ক) হিমানীর বাঁধ
(খ) শিশুদের শব
(গ) ধ্বংসের চিহ্ন
(ঘ) যুদ্ধের চিহ্ন

উত্তরঃ- (খ) শিশুদের শব

(ক) দিশেহারা
(খ) মানহারা
(গ) উদভ্ৰান্ত
(ঘ) অমানবিক

উত্তরঃ- (গ) উদভ্ৰান্ত

(ক) রূপসী বাইজি
(খ) পুলিশ
(গ) পাগল
(ঘ) হনুমান

উত্তরঃ- (ক) রূপসী বাইজি

(ক) সর্বনাশী জ্বালামুখী
(খ) কালবোশেখি
(গ) ধ্বংসের চিহ্ন
(ঘ) যুদ্ধের চিহ্ন

উত্তরঃ- (ক) সর্বনাশী জ্বালামুখী

(ক) রাধামোহন রায়
(খ) রাধানাথ শিকদার
(গ) ব্রহ্মমোহন মল্লিক
(ঘ) কেশবচন্দ্র নাগ

উত্তরঃ- (গ) ব্রহ্মমোহন মল্লিক

(ক) কর্তৃকারকে ‘এ’ বিভক্তি
(খ) কর্মকারকে ‘এ’ বিভক্তি
(গ) করণকারকে ‘এ’ বিভক্তি
(ঘ) অপাদান কারকে ‘এ’ বিভক্তি

উত্তরঃ- (ক) কর্তৃকারকে ‘এ’ বিভক্তি

(ক) উপসর্গ
(খ) পরাসর্গ
(গ) পরসর্গ
(ঘ) পরের সর্গ

উত্তরঃ- (গ) পরসর্গ

(ক) সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস
(খ) করণ তৎপুরুষ সমাস
(গ) নঞ তৎপুরুষ সমাস
(ঘ) মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস

উত্তরঃ- (ঘ) মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস ( গিরি মধ্যবর্তী খাদ)

(ক) কর্তৃবাচ্যের
(খ) কর্মবাচ্যের
(গ) কর্মকর্তৃবাচ্যের
(ঘ) ভাববাচ্যের

উত্তর:- (ক) কর্তৃবাচ্যের

Follow Us for More on our YouTube Channel

(ক) আকাঙ্ক্ষা
(খ) উদ্দেশ্য
(গ) বিধেয়
(ঘ) যোগ্যতা

উত্তরঃ- (ঘ) যোগ্যতা

(ক) সরল বাক্য
(খ) যৌগিক বাক্য
(গ) জটিল বাক্য
(ঘ) মিশ্র বাক্য

উত্তরঃ (খ) যৌগিক বাক্য

(ক) পূর্ব পদের
(খ) উভয় পদের
(গ) পর পদের
(ঘ) অন্য পদের

উত্তরঃ- (গ) পর পদের

(ক) তৎপুরুষ
(খ) অব্যয়ীভাব
(গ) বহুব্রীহি
(ঘ) মধ্যপদলোপী কর্মধারয়

উত্তরঃ  (খ) অব্যয়ীভাব

The post ২০২৫ মাধ্যমিক বাংলা MCQ | Madhyamik Bengali Suggestion 2025 appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/madhyamik-bangla-suggestion-2025-mcq/feed/ 0
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর | একাদশ শ্রেণি 1st Semester বাংলা https://preronaacademy.com/bangla-sahityer-itihas-imp-mcq/ https://preronaacademy.com/bangla-sahityer-itihas-imp-mcq/#respond Mon, 16 Sep 2024 11:08:11 +0000 https://preronaacademy.com/?p=637 চর্যাপদ:- ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় নেপালের রাজদরবারের পুথিশালা থেকে চর্যাপদের পাণ্ডুলিপি আবিষ্কার করেন। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ’

The post বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর | একাদশ শ্রেণি 1st Semester বাংলা appeared first on Prerona Academy.

]]>

১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় নেপালের রাজদরবারের পুথিশালা থেকে চর্যাপদের পাণ্ডুলিপি আবিষ্কার করেন।

১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ’ থেকে এটি “হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা” নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। চর্যাপদের পুঁথিতে মোট সাড়ে ছেচল্লিশটি পদ এবং ২৪ জন কবির নাম ছিল।

Read More : চর্যাপদ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, প্রশ্ন ও উত্তর

‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের পুঁথিতে বসন্ত রঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রামের অধিবাসী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়াল ঘরের মাচা থেকে আবিষ্কার করেন।

বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ- এর সম্পাদনায় ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’- কাব্যটি ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ’ থেকে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করা হয় ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে। সম্পাদক বসন্তরঞ্জন নিজে থেকে গ্রন্থটির নাম দেন ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’।

সমগ্র কাহিনীটি ১২টি পূর্ণ খন্ড এবং একটি প্রক্ষিপ্ত অংশ অর্থাৎ ১৩ টি খন্ডে বিন্যস্ত।

Read More : শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য | শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য থেকে প্রশ্ন ও উত্তর MCQ

আনুমানিক ১২০৩ সালে ইফতিকার উদ্দিন মহম্মদ বিন বক্তিয়ার খিলজির নেতৃত্বে বাংলাদেশে প্রথম তুর্কি আক্রমণ হয়েছিল।

রামায়ণ-

প্রথম ও শ্রেষ্ঠ বাংলা অনুবাদকঃ কৃত্তিবাস ওঝা। তিনি পঞ্চদশ শতাব্দীর কবি। আনুমানিক ১৩৯৯ খ্রিস্টাব্দে নদীয়া জেলার অন্তর্গত ফুলিয়ায় তাঁর জন্মগ্রহণ হয়।

  • কৃত্তিবাস ওঝার অনুবাদের নামঃ শ্রীরাম পাঁচালী।
  • রামায়ণের আদি অনুবাদক কৃত্তিবাস ওঝা।

১৮০২-১৮০৩ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুর মিশন থেকে উইলিয়াম কেরির উদ্যোগে ‘শ্রীরাম পাঁচালী’ পাঁচটি খন্ডে প্রথম মুদ্রিত হয়। ১৮৩০-১৮৩৪ খ্রিস্টাব্দে জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের সম্পাদনায় দ্বিতীয় ও পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ প্রকাশিত হয়।

  • কৃত্তিবাসী রামায়ণের মোট কান্ড সংখ্যা সাতটি।

চৈতন্যোত্তর যুগের রামায়ণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- অদ্ভূতাচার্যের রামায়ণ।

চৈতন্যোত্তর যুগের ‘অদ্ভূতাচার্যের রামায়ণ’ রচনা করেন- নিত্যানন্দ আচার্য।

মহাভারত:-

বাংলায় সংস্কৃত মহাভারতের প্রথম কবি হলেন- পরমেশ্বর দাস।

পরমেশ্বর দাস তাঁর কাব্যে যে উপাধি ব্যবহার করেছিলেন তা হলো – কবীন্দ্র।

‘পান্ডববিজয়’ বা ‘পান্ডববিজয় পাঞ্চালিকা’ কাব্যটির রচয়িতা হলেন- কবীন্দ্র পরমেশ্বর দাস।

‘পরাগলী মহাভারত’- ১৮ পর্বে বিন্যস্ত।

ছুটি খান বা ছোট খাঁ- এর আসল নাম – নসরৎ খান।

বাংলা ভাষায় মহাভারতের শ্রেষ্ঠ অনুবাদক :
কাশীরাম দাস। সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় অর্থাৎ চৈতন্য পরবর্তী যুগে কাশীরাম দাস ‘ভারত পাঁচালী’ রচনা করেন।

  • কাশীরাম দাস জন্মগ্রহণ করেছিলেন – বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার সিঙ্গি গ্রামে।
  • কাশীরাম দাসের পিতার নাম ছিল- কমলাকান্ত।
  • কাশীরাম দাসের কুল পদবি হল – দেব।
  • কাশীরাম দাস রচিত কাব্যটির নাম হল- ‘ভারত পাঁচালী’।
  • কাশীরাম দাস ব্যাসদেবের মূল মহাভারত এবং জৈমিনি- মহাভারত অনুসরণে ‘ভারত পাঁচালী’ নামে মহাভারতের অনুবাদ গ্রন্থটি সৃষ্টি করেছিলেন।
  • কাশীরাম দাস মহাভারতের আদিপর্ব , সভাপর্ব , বন পর্ব ও বিরাট পর্বের কিছুটা অংশ অনুবাদ করেন । তাঁর মহাভারতের প্রথম চার পর্ব (১৮০১-১৮০৩) শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়। এই প্রেস থেকেই সম্পূর্ণ অংশ জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের সম্পাদনায় ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে মদ্রিত হয়।

তাঁর নামে রচিত ‘ সত্যনারায়ণের পুঁথি’, ‘স্বপ্নপর্ব’, ‘জল পর্ব’, ও ‘নীলোপাখ্যান’ প্রভৃতি গ্রন্থের পরিচয় পাওয়া যায়।

  • কাশীরাম ছাড়া অন্য চারজন মহাভারতের অনুবাদকের নাম ও তাঁদের কাব্যের নাম –
    অনুবাদক কাব্য-নাম
    কবীন্দ্র পরমেশ্বর পাণ্ডব বিজয়
    শ্রীকর নন্দী অশ্বমেধ কথা
    সঞ্জয় মহাভারত
    দ্বিজ রঘুনাথ অশ্বমেধ পাঁচালী

মালাধর বসু

ভাগবত :

  • প্রথম বাংলা অনুবাদকঃ মালাধর বসু। মালাধর বসু সম্ভবত ১৪২০ থেকে ১৪২২ খ্রিস্টাব্দে বর্ধমান জেলার কুলীন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
  • মালাধর বসুর পিতার নাম ভগীরথ ও মাতার নাম
    ইন্দুমতী।
  • মালাধর বসুর উপাধিঃ গুনরাজ । এ উপাধি দেন
    রুকনউদ্দিন বরবক শাহ্।
  • মালাধর বসুর রচিত অনুবাদক কাব্যটির নাম ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’।
  • বাংলা সাহিত্যে প্রথম সরাসরি রচনাকাল জ্ঞাপক ভণিতা হল — “তেরশ পঁচানই শকে গ্রন্থ আরম্ভন ।
    চতুর্দশ দুই শকে হৈল সমাপন ।।”

কাব্যটি ১৪৭৩ থেকে ১৪৮০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রচিত হয়েছিল।

ভাগবতের দশম ও একাদশ স্কন্ধ অবলম্বনে কবি তাঁর কাব্যটি রচনা করেছেন।

  • ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ কাব্যটির অপর নাম ‘গোবিন্দবিজয়’ ও ‘গোবিন্দমঙ্গল’।

শ্রী চৈতন্য যে ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ গ্রন্থটি পাঠ করেছিলেন তার প্রমাণ মেলে ‘চৈতন্যচরিতামৃতে’।

Read More : অনুবাদ সাহিত্য || রামায়ন, মহাভারত, ভাগবত

মনসামঙ্গল কাব্যধারার আদি কবি – কানাহরি দত্ত ও শ্রেষ্ঠ কবি নারায়ণ দেব।
হরিদত্তের কালিকাপুরাণ, নারায়ন দেবের পদ্মাপুরাণ, পঞ্চদশ শতকে রচিত। তবে বিজয় গুপ্তের ‘পদ্মাপুরাণ’ বেশি খ্যাতি অর্জন করেছে।

চণ্ডীমঙ্গল কাব্যধারার আদি কবি মানিক দত্ত ও শ্রেষ্ঠ কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী।
মুকুন্দ চক্রবর্তী- ‘কবিকঙ্কন’উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।
মুকুন্দ চক্রবর্তীর কাব্য নাম- ‘অভয়ামঙ্গল ‘, ‘চন্ডিকা মঙ্গল’, ‘অম্বিকা মঙ্গল’ নামে পরিচিত।

Read More : বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস। মঙ্গল কাব্য। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

ধর্মমঙ্গল কাব্যধারার আদি কবি- ময়ূর ভট্ট ও শ্রেষ্ঠ কবি- ঘনরাম চক্রবর্তী।

ময়ূর ভট্টের কাব্যের নাম- ‘হাকন্দপুরাণ’।

কবি ভারতচন্দ্রের জন্ম ও মৃত্যু সাল হল- ১৭১২ ও ১৭৬০ খ্রিষ্টাব্দ।

তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্যের নাম ‘অন্নদামঙ্গল’ । তাঁর কাব্য অন্নদামঙ্গল তিনটি খন্ডে বিভক্ত – ‘অন্নপূর্ণা মঙ্গল’, ‘বিদ্যাসুন্দর’ এবং ‘মানসিংহ’।

ভারতচন্দ্রের উপাধি হল হল ‘রায়গুনাকর’।

তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে – ‘বিদ্যাসুন্দর’, ‘রসমঞ্জরী’, ‘সত্যপীরের কথা’ ‘নাগাষ্টক’ প্রভৃতি।

মহারাষ্ট্র পুরাণ গ্রন্থটি রচনা করেন- গঙ্গারাম।

প্রাক্ চৈতন্য যুগের দু’জন বৈষ্ণব পদকর্তা হ’লেন – ‘বিদ্যাপতি’ এবং ‘চণ্ডীদাস’।

চৈতন্যযুগের দু’জন বৈষ্ণব পদকর্তা হলেন- বাসু ঘোষ এবং গোবিন্দ ঘোষ।

চৈতন্যোত্তরযুগের দু’জন বৈষ্ণব পদকর্তা হলেন- গোবিন্দ দাস ও জ্ঞানদাস।

চণ্ডীদাসের জন্মস্থান নিয়ে মতভেদ আছে। অনেকের মতে বীরভূমের নান্নুর গ্রাম আবার কেউ বলেন বাঁকুড়ার ছাতনা গ্রামে চণ্ডীদাসের জন্ম।
চণ্ডীদাসের ইষ্ট দেবতা বাসুলী দেবী।

বৈষ্ণব পদাবলির পূর্বরাগ পর্যায়ে চণ্ডীদাস শ্রেষ্ঠ।
জ্ঞানদাসকে চণ্ডীদাসের ভাবশিষ্য বলা হয়।

বিদ্যাপতি মৈথিলী ভাষায় বৈষ্ণবপদ রচনা করেন। (বাংলা ভাষার সঙ্গে এই মৈথিলি ভাষা মিশে তৈরি হয়েছিল ব্রজবুলি ভাষা)

বিদ্যাপতি ‘মৈথিল কোকিল’ , ‘অভিনব জয়দেব’ , ‘কবি সার্বভৌম ‘ ইত্যাদি উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন।

বিদ্যাপতি পদকর্তা হিসেবে ‘মাথুর’ পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ পদকর্তা।

জ্ঞানদাস আক্ষেপানুরাগ পদ রচনায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন।

চৈতন্য-পরবর্তী যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বৈষ্ণব পদকর্তা গোবিন্দদাস কবিরাজ।

সুবৃহৎ বৈষ্ণব সংকলনগ্রন্থ ‘পদকল্পতরু’ তে তার অজস্র পদ সংকলিত হয়েছে।

‘সংগীতমাধব’ নাটকটির রচয়িতা গোবিন্দদাস কবিরাজ।

‘কর্ণামৃত’ নামক কাব্যটির রচয়িতা- গোবিন্দ দাস কবিরাজ।
গোবিন্দদাস কবিরাজ ‘দ্বিতীয় বিদ্যাপতি’ নামে পরিচিত।
গোবিন্দ দাস ‘অভিসার’ পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ পদকর্তা।

‘শ্রীশ্রীকৃষ্ণচৈতন্যচরিতামৃতম’- গ্রন্থটির লেখক হলেন – মুরারি গুপ্ত।

‘চৈতন্যমঙ্গল’ কাব্যটির রচয়িতা হলেন- লোচনদাস।
কাব্যটির রচনাকাল – (১৫৫০-১৫৬৬)।
লোচনদাসের ‘চৈতন্যমঙ্গল’ কাব্যটি চারটি খন্ডে বিভক্ত – ‘সূত্রখন্ড’,’আদিখন্ড’, ‘মধ্যখন্ড’ এবং ‘শেষখন্ড’।

লোচনদাস ছাড়াও ‘চৈতন্যমঙ্গল’ কাব্যটি রচনা করেন – জয়ানন্দ।

‘কবিকর্ণপুর’- এর আসল নাম- পরমানন্দ সেন ।

‘প্রবোধচন্দ্রোদয়’ নাটকটির রচয়িতা – কৃষ্ণমিত্র।

‘চৈতন্যভাগবত’ গ্রন্থটির রচয়িতা – বৃন্দাবন দাস।

বৃন্দাবন দাসের ‘চৈতন্যভাগবত’ গ্রন্থটির পূর্ব নাম ছিল- চৈতন্যমঙ্গল।

বৃন্দাবন দাসের ‘চৈতন্যভাগবত’-এর খন্ড ও অধ্যায় সংখ্যা হল- ৩টি খন্ড ৫১টি অধ্যায়।

চৈতন্য জীবনীকাব্য ‘শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত’-এর রচয়িতা হলেন- কৃষ্ণদাস কবিরাজ।

‘চৈতন্যলীলার ব্যাস’ অভিধায় সম্মানিত করা হয় – বৃন্দাবন দাসকে

‘গৌরাঙ্গবিজয়’ গ্রন্থটির রচয়িতা – চূড়ামণি দাস। চূড়ামণি দাসের ‘গৌরাঙ্গবিজয়’- গ্রন্থটি ‘ভুবনমঙ্গল’ নামেও পরিচিত।

দৌলত কাজীর ‘সতীময়না’ কাব্যটির অপর নাম- লোরচন্দ্রানী

সৈয়দ আলাওলের ‘পদ্মাবতী’ গ্রন্থটি ‘ জায়সীর পদুমাবৎ’ গ্রন্থটির অনুপ্রেরণায় লেখা।

‘‘সতীময়না’ কাব্যটি সমাপ্ত করেন- সৈয়দ আলাওল।

‘রসুলবিজয়’-এর রচয়িতা – সাবিরিদ খান,জৈনুদ্দিন,শেখ চান্দ।

‘গাজীমঙ্গল’ রচনা করেন- আব্দুল গফুর, সৈয়দ হালু মিঞা, জৈনুদ্দিন,ফয়জুল্লা।

‘জঙ্গনাম’ গ্রন্থটির রচয়িতারা হলেন- হেয়াৎ মামুদ, নসরুল্লা খান, আরিফ,গরিবল্লাহ।

দু’জন শাক্ত পদকর্তা হলেন রামপ্রসাদ সেন ও কমলাকান্ত ভট্টাচার্য ।

‘শাক্তপদাবলী’র শ্রেষ্ঠ পদকার হলেন- রামপ্রসাদ সেন।

‘কবিরঞ্জন’ নামে প্রসিদ্ধ লাভ করেন – রামপ্রসাদ সেন।

‘বিদ্যাসুন্দর’ কাব্যটির রচয়িতা- রামপ্রসাদ সেন।

‘কালীকীর্তন’- নামক বইটির রচয়িতা হলেন রামপ্রসাদ সেন।

শ্যামাসঙ্গীতকার কমলাকান্ত ভট্টাচার্য – এর বিখ্যাত গানগুলি হল – ‘ তুমি যে আমার নয়নের নয়ন।’
‘ আমি কি হেরিলাম নিশি স্বপনে’।
‘ মজিল মোর মন ভ্রমরা।’

‘সাধকরঞ্জন’ নামে কমলাকান্ত ভট্টাচার্যের বিখ্যাত গ্রন্থটি হল- তান্ত্রিক কবিতা গ্রন্থ।

‘বাউল’ শব্দটির উৎপত্তি ‘বাতুল’ যার অর্থ ‘উন্মাদ’ বা ‘বায়ুগ্রস্ত’।

The post বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর | একাদশ শ্রেণি 1st Semester বাংলা appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/bangla-sahityer-itihas-imp-mcq/feed/ 0
ভারতের ভাষাপরিবার ও বাংলা ভাষা MCQ। একাদশ শ্রেণি বাংলা। 1st Semester https://preronaacademy.com/bharater-bhasa-o-bangla-bhasa-mcq/ https://preronaacademy.com/bharater-bhasa-o-bangla-bhasa-mcq/#respond Tue, 10 Sep 2024 18:02:51 +0000 https://preronaacademy.com/?p=633 ভারতের ভাষা পরিবার ও বাংলা ভাষা MCQ ১. ভাষাগত দিক থেকে ভারত সম্বন্ধে প্রচলিত প্রথম অভিধানটি হল ‘ভারত ভাষার অরণ্য’

The post ভারতের ভাষাপরিবার ও বাংলা ভাষা MCQ। একাদশ শ্রেণি বাংলা। 1st Semester appeared first on Prerona Academy.

]]>

ভারতের ভাষা পরিবার ও বাংলা ভাষা MCQ

ক) ভারত ভাষার নদী
খ) ভারত চার ভাষাববংশের দেশ
গ) ভারত দুই ভাষাবংশের দেশ
ঘ) ভারত ভাষার সমুদ্র

উত্তরঃ-খ) ভারত চার ভাষাববংশের দেশ

ক) Linguistic Survey of Bengal
খ) Linguistic Survey of Europe
গ) Linguistic Survey of India
ঘ) Linguistic Survey of England

উত্তরঃ- গ) Linguistic Survey of India

১৯০৩-১৯২৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ইংরেজরা এই ভাষা সমীক্ষাটি চালিয়েছিল।

ক) ১৫০টি ভাষা ও ৫০০টি উপভাষা
খ) ১৭৯টি ভাষা ও ৫৪৪টি উপভাষা
গ) ২০০টি ভাষা ও ৬০০টি উপভাষা
ঘ) ২৫০টি ভাষা ও ৫৮০টি উপভাষা

উত্তরঃ- খ) ১৭৯টি ভাষা ও ৫৪৪টি উপভাষা

ক) উইলিয়াম জোন্স
খ) লর্ড গ্রিয়ার্সন
গ) জর্জ গ্রিয়ার্সন
ঘ) ড. সুকুমার সেন

উত্তরঃ-গ) জর্জ গ্রিয়ার্সন

ক) ১৫৫২টি
খ) ১৬৫২টি
গ) ১৭৫২টি
ঘ) ১৮৫২টি

উত্তরঃ-খ) ১৬৫২টি

ক) ৫৩০টি
খ) ৪৫০টি
গ) ৬৫০টি
ঘ) ৩৩০টি

উত্তরঃ-ক) ৫৩০টি

ক) ২০৪টি
খ) ১৪০টি
গ) ১৮০টি
ঘ) ১০৩টি

উত্তরঃ-ঘ) ১০৩টি

বাকি সব ভাষাগুলি আসলে চারটি ভাষাবংশের অন্তর্গত। ইন্দো-ইউরোপীয়, অস্ট্রিক,দ্রাবিড় ও ভোটচিনা।

ক) চারটি পরিবারে ভাগ করা যায়
খ) পাঁচটি পরিবারে ভাগ করা যায়
গ) ছয়টি পরিবারে ভাগ করা যায়
ঘ) সাতটি পরিবারে ভাগ করা যায়

উত্তরঃ-ক) চারটি পরিবারে ভাগ করা যায়

ক) মুন্ডা
খ) আদি অস্ত্রাল
গ) নিগ্রোবটু বা নেগ্রিটো
ঘ) চিনা

উত্তরঃ-গ) নিগ্রোবটু বা নেগ্রিটো

ক) সুকুমার সেন
খ) ড. মহম্মদ শহীদুল্লাহ
গ) গোপালকৃষ্ণ হালদার
ঘ) গোপাল হালদার

উত্তরঃ-ঘ) গোপাল হালদার

ক) প্যাঁচা
খ) ইঁদুর
গ) বাদুড়
ঘ) মাছি

উত্তরঃ-গ) বাদুড়

ক) অস্ট্রিক
খ) দ্রাবিড়
গ) ভোটচিনা
ঘ) ইন্দো-ইউরোপীয়

উত্তরঃ-ক) অস্ট্রিক

প্রত্ন-অস্ত্রালদের ভাষার নাম অস্ট্রিক।
বর্তমান ভারতে অস্ট্রিক ভাষাবংশের অন্তর্গত ভাষা সংখ্যা হল ৬৫টি।

Read More : বিশ্বের ভাষা ও পরিবার MCQ

ক) ইন্দো-ইরানীয় ভাষাগোষ্ঠী
খ) ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠী
গ) দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠী
ঘ) অস্ট্রিক ভাষাগোষ্ঠী

উত্তরঃ-ঘ) অস্ট্রিক ভাষাগোষ্ঠী

ক) পাঁচটি ভাগ
খ) দুটি ভাগ
গ) ছয়টি ভাগ
ঘ) তিনটি ভাগ

উত্তরঃ-খ) দুটি ভাগ

ক) পাকিস্তানে
খ) আরবে
গ) ইউরোপে
ঘ) ইন্দোনেশিয়ায়

উত্তরঃ-ঘ) ইন্দোনেশিয়ায়

ইন্দোনেশিয়া ছাড়া অস্ট্রিক ভাষা ভারতের বাইরে কম্বোডিয়ায় বিস্তার লাভ করেছে।

অস্ট্রিক ভাষার দুটি শাখার মধ্যে একটি হলো অস্ট্রো- এশিয়াটিক আর অন্যটি হলো অস্ট্রোনেশীয়।

অস্ট্রোনেশীয় শাখাটি মূলত ছড়িয়ে গেছে ভারতের বাইরে যেমন-ক) ইন্দোনেশিয়ার নানা ভাষার মধ্যে অন্যতম ভাষাটি হলো ‘মালয়’।

খ) মেলানীশিয় ভাষাগোষ্ঠী, যেগুলি দেখা যায় ফিজি প্রভৃতি দ্বীপে।

গ) ক্যারোলাইন প্রভৃতি দ্বীপপুঞ্জের ভাষা, যেগুলি মাইক্রোনেশিয়ান ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।

ঘ) পলিনেশীয় ভাষা। যার মধ্যে সামোয়া, তাহিতি, হাওয়াই দ্বীপের অধিবাসীদের ভাষা।

ক) মেলানেশীয়
খ) অস্ট্রো-এশিয়াটিক
গ) মাইক্রোনেশীয়
ঘ) পলিনেশীয়

উত্তরঃ-খ) অস্ট্রো-এশিয়াটিক

অস্ট্রো-এশিয়াটিকের তিনটি ধারা ভারতে প্রচলিত। যথা-
ক) পশ্চিমা
খ) মধ্যদেশীয়
গ) পূর্বী

অস্ট্রো-এশিয়াটিকের পশ্চিমা ধারাটি বৃহত্তম।
অস্ট্রো-এশিয়াটিকের পশ্চিমা ধারার অন্তর্ভুক্ত ভাষার সংখ্যা ৫৮টি।

ক) ঝাড়খন্ড ও বিহার
খ) বিহার ও ওড়িশা
গ) সাঁওতাল পরগনা ও ছোটনাগপুর
ঘ) পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা

উত্তর:-গ) সাঁওতাল পরগনা ও ছোটনাগপুর

সাঁওতালি ভাষায় দশ রকমের ভাষা বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়।

সাঁওতালি লোককথা ও পুরান সংকলনে অবদান আছে পি .ও বোর্ডিং- এর।

সাঁওতালি ভাষা লেখা হতো বাংলা অথবা রোমক লিপিতে।

বর্তমান সাঁওতালি লিপির নাম ‘অলচিকি’। এবং এই লিপির উদ্ভাবক ‘রঘুনাথ মুর্মু’।

‘মুন্ডারি এনসাইক্লোপিডিয়া’ ফাদার হফম্যান সম্পাদনা করেন।

ফাদার হফম্যানের সম্পাদনায় সম্পাদিত ‘মুন্ডারি এনসাইক্লোপিডিয়া’ ১৩টি খন্ডে সংকলিত।

ক) সাঁওতালি
খ) মুন্ডা
গ) কোল
ঘ) অলচিকি

উত্তরঃ-খ) মুন্ডা

অস্ট্রিক ও আর্য ভাষার পারস্পরিক যোগাযোগের কারণে বেশ কিছু মুন্ডা শব্দ সংস্কৃত ভাষায় এসে গেছে।

ক) সাঁওতালি
খ) হো
গ) মুন্ডারি
ঘ) খাসি

উত্তরঃ-(ঘ) খাসি

খাসি ভাষা পূর্বে বাংলা হরফে লেখা হত। এখন লেখা হয় রোমক লিপিতে।

The post ভারতের ভাষাপরিবার ও বাংলা ভাষা MCQ। একাদশ শ্রেণি বাংলা। 1st Semester appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/bharater-bhasa-o-bangla-bhasa-mcq/feed/ 0