Bengali Subjectবাংলা সাহিত্যের ইতিহাস

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর | একাদশ শ্রেণি 1st Semester বাংলা

১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় নেপালের রাজদরবারের পুথিশালা থেকে চর্যাপদের পাণ্ডুলিপি আবিষ্কার করেন।

১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ’ থেকে এটি “হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা” নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। চর্যাপদের পুঁথিতে মোট সাড়ে ছেচল্লিশটি পদ এবং ২৪ জন কবির নাম ছিল।

Read More : চর্যাপদ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, প্রশ্ন ও উত্তর

‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের পুঁথিতে বসন্ত রঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রামের অধিবাসী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়াল ঘরের মাচা থেকে আবিষ্কার করেন।

বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ- এর সম্পাদনায় ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’- কাব্যটি ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ’ থেকে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করা হয় ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে। সম্পাদক বসন্তরঞ্জন নিজে থেকে গ্রন্থটির নাম দেন ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’।

সমগ্র কাহিনীটি ১২টি পূর্ণ খন্ড এবং একটি প্রক্ষিপ্ত অংশ অর্থাৎ ১৩ টি খন্ডে বিন্যস্ত।

Read More : শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য | শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য থেকে প্রশ্ন ও উত্তর MCQ

আনুমানিক ১২০৩ সালে ইফতিকার উদ্দিন মহম্মদ বিন বক্তিয়ার খিলজির নেতৃত্বে বাংলাদেশে প্রথম তুর্কি আক্রমণ হয়েছিল।

রামায়ণ-

প্রথম ও শ্রেষ্ঠ বাংলা অনুবাদকঃ কৃত্তিবাস ওঝা। তিনি পঞ্চদশ শতাব্দীর কবি। আনুমানিক ১৩৯৯ খ্রিস্টাব্দে নদীয়া জেলার অন্তর্গত ফুলিয়ায় তাঁর জন্মগ্রহণ হয়।

  • কৃত্তিবাস ওঝার অনুবাদের নামঃ শ্রীরাম পাঁচালী।
  • রামায়ণের আদি অনুবাদক কৃত্তিবাস ওঝা।

১৮০২-১৮০৩ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুর মিশন থেকে উইলিয়াম কেরির উদ্যোগে ‘শ্রীরাম পাঁচালী’ পাঁচটি খন্ডে প্রথম মুদ্রিত হয়। ১৮৩০-১৮৩৪ খ্রিস্টাব্দে জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের সম্পাদনায় দ্বিতীয় ও পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ প্রকাশিত হয়।

  • কৃত্তিবাসী রামায়ণের মোট কান্ড সংখ্যা সাতটি।

চৈতন্যোত্তর যুগের রামায়ণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- অদ্ভূতাচার্যের রামায়ণ।

চৈতন্যোত্তর যুগের ‘অদ্ভূতাচার্যের রামায়ণ’ রচনা করেন- নিত্যানন্দ আচার্য।

মহাভারত:-

বাংলায় সংস্কৃত মহাভারতের প্রথম কবি হলেন- পরমেশ্বর দাস।

পরমেশ্বর দাস তাঁর কাব্যে যে উপাধি ব্যবহার করেছিলেন তা হলো – কবীন্দ্র।

‘পান্ডববিজয়’ বা ‘পান্ডববিজয় পাঞ্চালিকা’ কাব্যটির রচয়িতা হলেন- কবীন্দ্র পরমেশ্বর দাস।

‘পরাগলী মহাভারত’- ১৮ পর্বে বিন্যস্ত।

ছুটি খান বা ছোট খাঁ- এর আসল নাম – নসরৎ খান।

বাংলা ভাষায় মহাভারতের শ্রেষ্ঠ অনুবাদক :
কাশীরাম দাস। সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় অর্থাৎ চৈতন্য পরবর্তী যুগে কাশীরাম দাস ‘ভারত পাঁচালী’ রচনা করেন।

  • কাশীরাম দাস জন্মগ্রহণ করেছিলেন – বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার সিঙ্গি গ্রামে।
  • কাশীরাম দাসের পিতার নাম ছিল- কমলাকান্ত।
  • কাশীরাম দাসের কুল পদবি হল – দেব।
  • কাশীরাম দাস রচিত কাব্যটির নাম হল- ‘ভারত পাঁচালী’।
  • কাশীরাম দাস ব্যাসদেবের মূল মহাভারত এবং জৈমিনি- মহাভারত অনুসরণে ‘ভারত পাঁচালী’ নামে মহাভারতের অনুবাদ গ্রন্থটি সৃষ্টি করেছিলেন।
  • কাশীরাম দাস মহাভারতের আদিপর্ব , সভাপর্ব , বন পর্ব ও বিরাট পর্বের কিছুটা অংশ অনুবাদ করেন । তাঁর মহাভারতের প্রথম চার পর্ব (১৮০১-১৮০৩) শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়। এই প্রেস থেকেই সম্পূর্ণ অংশ জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের সম্পাদনায় ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে মদ্রিত হয়।

তাঁর নামে রচিত ‘ সত্যনারায়ণের পুঁথি’, ‘স্বপ্নপর্ব’, ‘জল পর্ব’, ও ‘নীলোপাখ্যান’ প্রভৃতি গ্রন্থের পরিচয় পাওয়া যায়।

  • কাশীরাম ছাড়া অন্য চারজন মহাভারতের অনুবাদকের নাম ও তাঁদের কাব্যের নাম –
    অনুবাদক কাব্য-নাম
    কবীন্দ্র পরমেশ্বর পাণ্ডব বিজয়
    শ্রীকর নন্দী অশ্বমেধ কথা
    সঞ্জয় মহাভারত
    দ্বিজ রঘুনাথ অশ্বমেধ পাঁচালী

মালাধর বসু

ভাগবত :

  • প্রথম বাংলা অনুবাদকঃ মালাধর বসু। মালাধর বসু সম্ভবত ১৪২০ থেকে ১৪২২ খ্রিস্টাব্দে বর্ধমান জেলার কুলীন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
  • মালাধর বসুর পিতার নাম ভগীরথ ও মাতার নাম
    ইন্দুমতী।
  • মালাধর বসুর উপাধিঃ গুনরাজ । এ উপাধি দেন
    রুকনউদ্দিন বরবক শাহ্।
  • মালাধর বসুর রচিত অনুবাদক কাব্যটির নাম ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’।
  • বাংলা সাহিত্যে প্রথম সরাসরি রচনাকাল জ্ঞাপক ভণিতা হল — “তেরশ পঁচানই শকে গ্রন্থ আরম্ভন ।
    চতুর্দশ দুই শকে হৈল সমাপন ।।”

কাব্যটি ১৪৭৩ থেকে ১৪৮০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রচিত হয়েছিল।

ভাগবতের দশম ও একাদশ স্কন্ধ অবলম্বনে কবি তাঁর কাব্যটি রচনা করেছেন।

  • ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ কাব্যটির অপর নাম ‘গোবিন্দবিজয়’ ও ‘গোবিন্দমঙ্গল’।

শ্রী চৈতন্য যে ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ গ্রন্থটি পাঠ করেছিলেন তার প্রমাণ মেলে ‘চৈতন্যচরিতামৃতে’।

Read More : অনুবাদ সাহিত্য || রামায়ন, মহাভারত, ভাগবত

মনসামঙ্গল কাব্যধারার আদি কবি – কানাহরি দত্ত ও শ্রেষ্ঠ কবি নারায়ণ দেব।
হরিদত্তের কালিকাপুরাণ, নারায়ন দেবের পদ্মাপুরাণ, পঞ্চদশ শতকে রচিত। তবে বিজয় গুপ্তের ‘পদ্মাপুরাণ’ বেশি খ্যাতি অর্জন করেছে।

চণ্ডীমঙ্গল কাব্যধারার আদি কবি মানিক দত্ত ও শ্রেষ্ঠ কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী।
মুকুন্দ চক্রবর্তী- ‘কবিকঙ্কন’উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।
মুকুন্দ চক্রবর্তীর কাব্য নাম- ‘অভয়ামঙ্গল ‘, ‘চন্ডিকা মঙ্গল’, ‘অম্বিকা মঙ্গল’ নামে পরিচিত।

Read More : বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস। মঙ্গল কাব্য। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

ধর্মমঙ্গল কাব্যধারার আদি কবি- ময়ূর ভট্ট ও শ্রেষ্ঠ কবি- ঘনরাম চক্রবর্তী।

ময়ূর ভট্টের কাব্যের নাম- ‘হাকন্দপুরাণ’।

কবি ভারতচন্দ্রের জন্ম ও মৃত্যু সাল হল- ১৭১২ ও ১৭৬০ খ্রিষ্টাব্দ।

তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্যের নাম ‘অন্নদামঙ্গল’ । তাঁর কাব্য অন্নদামঙ্গল তিনটি খন্ডে বিভক্ত – ‘অন্নপূর্ণা মঙ্গল’, ‘বিদ্যাসুন্দর’ এবং ‘মানসিংহ’।

ভারতচন্দ্রের উপাধি হল হল ‘রায়গুনাকর’।

তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে – ‘বিদ্যাসুন্দর’, ‘রসমঞ্জরী’, ‘সত্যপীরের কথা’ ‘নাগাষ্টক’ প্রভৃতি।

মহারাষ্ট্র পুরাণ গ্রন্থটি রচনা করেন- গঙ্গারাম।

প্রাক্ চৈতন্য যুগের দু’জন বৈষ্ণব পদকর্তা হ’লেন – ‘বিদ্যাপতি’ এবং ‘চণ্ডীদাস’।

চৈতন্যযুগের দু’জন বৈষ্ণব পদকর্তা হলেন- বাসু ঘোষ এবং গোবিন্দ ঘোষ।

চৈতন্যোত্তরযুগের দু’জন বৈষ্ণব পদকর্তা হলেন- গোবিন্দ দাস ও জ্ঞানদাস।

চণ্ডীদাসের জন্মস্থান নিয়ে মতভেদ আছে। অনেকের মতে বীরভূমের নান্নুর গ্রাম আবার কেউ বলেন বাঁকুড়ার ছাতনা গ্রামে চণ্ডীদাসের জন্ম।
চণ্ডীদাসের ইষ্ট দেবতা বাসুলী দেবী।

বৈষ্ণব পদাবলির পূর্বরাগ পর্যায়ে চণ্ডীদাস শ্রেষ্ঠ।
জ্ঞানদাসকে চণ্ডীদাসের ভাবশিষ্য বলা হয়।

বিদ্যাপতি মৈথিলী ভাষায় বৈষ্ণবপদ রচনা করেন। (বাংলা ভাষার সঙ্গে এই মৈথিলি ভাষা মিশে তৈরি হয়েছিল ব্রজবুলি ভাষা)

বিদ্যাপতি ‘মৈথিল কোকিল’ , ‘অভিনব জয়দেব’ , ‘কবি সার্বভৌম ‘ ইত্যাদি উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন।

বিদ্যাপতি পদকর্তা হিসেবে ‘মাথুর’ পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ পদকর্তা।

জ্ঞানদাস আক্ষেপানুরাগ পদ রচনায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন।

চৈতন্য-পরবর্তী যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বৈষ্ণব পদকর্তা গোবিন্দদাস কবিরাজ।

সুবৃহৎ বৈষ্ণব সংকলনগ্রন্থ ‘পদকল্পতরু’ তে তার অজস্র পদ সংকলিত হয়েছে।

‘সংগীতমাধব’ নাটকটির রচয়িতা গোবিন্দদাস কবিরাজ।

‘কর্ণামৃত’ নামক কাব্যটির রচয়িতা- গোবিন্দ দাস কবিরাজ।
গোবিন্দদাস কবিরাজ ‘দ্বিতীয় বিদ্যাপতি’ নামে পরিচিত।
গোবিন্দ দাস ‘অভিসার’ পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ পদকর্তা।

‘শ্রীশ্রীকৃষ্ণচৈতন্যচরিতামৃতম’- গ্রন্থটির লেখক হলেন – মুরারি গুপ্ত।

‘চৈতন্যমঙ্গল’ কাব্যটির রচয়িতা হলেন- লোচনদাস।
কাব্যটির রচনাকাল – (১৫৫০-১৫৬৬)।
লোচনদাসের ‘চৈতন্যমঙ্গল’ কাব্যটি চারটি খন্ডে বিভক্ত – ‘সূত্রখন্ড’,’আদিখন্ড’, ‘মধ্যখন্ড’ এবং ‘শেষখন্ড’।

লোচনদাস ছাড়াও ‘চৈতন্যমঙ্গল’ কাব্যটি রচনা করেন – জয়ানন্দ।

‘কবিকর্ণপুর’- এর আসল নাম- পরমানন্দ সেন ।

‘প্রবোধচন্দ্রোদয়’ নাটকটির রচয়িতা – কৃষ্ণমিত্র।

‘চৈতন্যভাগবত’ গ্রন্থটির রচয়িতা – বৃন্দাবন দাস।

বৃন্দাবন দাসের ‘চৈতন্যভাগবত’ গ্রন্থটির পূর্ব নাম ছিল- চৈতন্যমঙ্গল।

বৃন্দাবন দাসের ‘চৈতন্যভাগবত’-এর খন্ড ও অধ্যায় সংখ্যা হল- ৩টি খন্ড ৫১টি অধ্যায়।

চৈতন্য জীবনীকাব্য ‘শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত’-এর রচয়িতা হলেন- কৃষ্ণদাস কবিরাজ।

‘চৈতন্যলীলার ব্যাস’ অভিধায় সম্মানিত করা হয় – বৃন্দাবন দাসকে

‘গৌরাঙ্গবিজয়’ গ্রন্থটির রচয়িতা – চূড়ামণি দাস। চূড়ামণি দাসের ‘গৌরাঙ্গবিজয়’- গ্রন্থটি ‘ভুবনমঙ্গল’ নামেও পরিচিত।

দৌলত কাজীর ‘সতীময়না’ কাব্যটির অপর নাম- লোরচন্দ্রানী

সৈয়দ আলাওলের ‘পদ্মাবতী’ গ্রন্থটি ‘ জায়সীর পদুমাবৎ’ গ্রন্থটির অনুপ্রেরণায় লেখা।

‘‘সতীময়না’ কাব্যটি সমাপ্ত করেন- সৈয়দ আলাওল।

‘রসুলবিজয়’-এর রচয়িতা – সাবিরিদ খান,জৈনুদ্দিন,শেখ চান্দ।

‘গাজীমঙ্গল’ রচনা করেন- আব্দুল গফুর, সৈয়দ হালু মিঞা, জৈনুদ্দিন,ফয়জুল্লা।

‘জঙ্গনাম’ গ্রন্থটির রচয়িতারা হলেন- হেয়াৎ মামুদ, নসরুল্লা খান, আরিফ,গরিবল্লাহ।

দু’জন শাক্ত পদকর্তা হলেন রামপ্রসাদ সেন ও কমলাকান্ত ভট্টাচার্য ।

‘শাক্তপদাবলী’র শ্রেষ্ঠ পদকার হলেন- রামপ্রসাদ সেন।

‘কবিরঞ্জন’ নামে প্রসিদ্ধ লাভ করেন – রামপ্রসাদ সেন।

‘বিদ্যাসুন্দর’ কাব্যটির রচয়িতা- রামপ্রসাদ সেন।

‘কালীকীর্তন’- নামক বইটির রচয়িতা হলেন রামপ্রসাদ সেন।

শ্যামাসঙ্গীতকার কমলাকান্ত ভট্টাচার্য – এর বিখ্যাত গানগুলি হল – ‘ তুমি যে আমার নয়নের নয়ন।’
‘ আমি কি হেরিলাম নিশি স্বপনে’।
‘ মজিল মোর মন ভ্রমরা।’

‘সাধকরঞ্জন’ নামে কমলাকান্ত ভট্টাচার্যের বিখ্যাত গ্রন্থটি হল- তান্ত্রিক কবিতা গ্রন্থ।

‘বাউল’ শব্দটির উৎপত্তি ‘বাতুল’ যার অর্থ ‘উন্মাদ’ বা ‘বায়ুগ্রস্ত’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Primary TET 2022 Mock Test

X