চর্যাপদ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, প্রশ্ন ও উত্তর । বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
চর্যাপদ থেকে প্রশ্ন ও উত্তর
১। বাংলা সাহিত্যের আদিমতম নিদর্শন কোনটি ?
উঃ- চর্যাপদ ।
২। চর্যাপদের অন্য নাম কি ?
উঃ চর্যাচর্যবিনিশ্চয়।
৩। চর্যাপদের রচয়িতা কারা ?
উঃ- বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ।
৪। চর্যাপদ রচনায় কারা পৃষ্টপোষকতা করেছেন ?
উঃ-পাল রাজারা।
৫। চর্যাপদের আবিষ্কারক কে ?
উঃ- মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
চর্যাপদ :-
১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় নেপালের রাজদরবারের পুথিশালা থেকে চর্যাপদের পাণ্ডুলিপি আবিষ্কার করেন। পরবর্তীকালে ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ’ থেকে এটি “হাজার বছরের পুরান বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা” নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। পাণ্ডুলিপিতে সাড়ে ছেচল্লিশটি পদ এবং ২৪ জন কবির নাম ছিল।
৬। চর্যাপদের পুথি আবিষ্কার হয় কত সালে ?
উঃ- ১৯০৭ সালে।
৭। চর্যাপদের পুথি প্রকাশিত হয় কত সালে ?
উঃ- ১৯১৬ সালে।
৮।চর্যাপদ আবিষ্কারের স্থানকোনটি ?
উঃ- নেপালের রাজ দরবারের গ্রন্থশালায়।
৯। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে কোন নামে চর্যাপদ প্রকাশিত হয়েছিল ?
উঃ- ‘হাজার বছরের পুরান বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা।’
১০। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আবিষ্কৃত চর্যাপদের পুথিটির নাম কী ?
উঃ- চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয় ।
১১। চর্যাপদের মোট পদকর্তার সংখ্যা কত? চর্যাপদের প্রাচীন পদকর্তা কে ?
উঃ- পদকর্তার সংখ্যা :- ২৪ জন। প্রাচীন পদকর্তা :- লুইপাদ।
১২। চর্যাপদ গ্রন্থাকরে প্রকাশের সময় এর পদ সংখ্যা কত ছিল ?
উঃ- সাড়ে ৪৬ টি।
১৩। চর্যাপদের সবার্ধিক সংখ্যক পদ কার রচিত ?
উঃ কাহ্ন পা। পদের সংখ্যা ১২টি (মতান্তরে ১৩টি)।
১৪। কোন আমলে চর্যাপদ রচিত হয়েছে ?
উঃ- পাল রাজাদের আমলে।
১৫।বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ কাদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন ?
উঃ- সেন রাজাদের দ্বারা।
১৬। চর্যাপদের ভাষা কি ?
উঃ- সন্ধ্যা ভাষা ।
১৭। চর্যাপদের কবিতাগুলি প্রধানত কোন ছন্দে লেখা হত ?
উঃ- পাদাকুলক।
Read More : বৈষব পদাবলী থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
১৮। চর্যাপদের বিষয়বস্তু কি ?
উঃ- বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণের সাধন পদ্ধতি বর্ণনা।
১৯। তিব্বতি ভাষায় চর্যাপদের গানের সংখ্যা কত ?
উঃ-৫১ টি।
২০। চর্যাপদে কোন ধর্ম প্রকাশিত হয়েছিল ?
উঃ- বৌদ্ধধর্ম।
২১। চর্যাপদের পদগুলি কোন শতাব্দীর মধ্যে রচিত হয়েছিল ?
উঃ- দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে।
২২। চর্যাপদ কোন ভাষার প্রাচীনতম দৃষ্টান্ত ?
উঃ- পালিভাষার।
২৩। চর্যাপদে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদকর্তার নাম কি ?
উঃ- ভুসুকু। ৮ টি।
২৪। কাহ্নপাদ অন্য কোন নামে পরিচিত ছিলেন ?
উঃ- কৃষ্ণাচার্য।
২৫। সরহপাদের পদের সংখ্যা কত ?
উঃ- ৪টি।
২৬। চর্যাপদে ব্যবহৃত রাগের সংখ্যা কত? সর্বাধিক ব্যবহৃত রাগ কোনটি ?
উঃ- রাগের সংখ্যা ১৭ টি। পটমঞ্জরি।
২৭। চর্যাপদের পদকর্তাদের কি নামে অভিহিত করা হত ?
উঃ- সিদ্ধাচার্য।
২৮। ‘সন্ধ্যা’ শব্দটির প্রকৃত অর্থ কি ?
উঃ- সম্যক ধ্যান।
২৯। চর্যাপদের গানে কোন রাগটি পাওয়া যায় ?
উঃ- মল্লার।
৩০। ‘Origin and Development of Bengali Language’ – বইটির লেখক কে ?
উঃ- সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়।
৩১। চর্যাপদে ব্যবহৃত উল্লিখিত প্রবাদের সংখ্যা কত ?
উঃ প্রবাদের সংখ্যা ৬টী।
৩২। চর্যার ‘আশ্চর্যচর্যাচয়’ নামকরণটি কে করেছিলেন ?
উঃ- বিধুশেখর শাস্ত্রী।
৩৩। চর্যাপদের টীকাকার কে ?
উঃ- মুনি দত্ত । তিনি চর্যাপদের টীকা সংস্কৃত ভাষায় লিখেছিলেন। মুনি দত্তের টীকার নাম ‘নির্মলগিরা টীকা’।
৩৪। চর্যাপদে সর্বনিম্ন পদের রচয়িতা কারা ?
উঃ- ১৬ জন সংখ্যক কবি। তারাঁ প্রত্যেকে ১টি করে পদ রচনা করেছেন।
৩৫। মূল চর্যা সংকলন গ্রন্থের নাম কী ?
উঃ- চর্যাগীতি কোষ।
৩৬।‘চর্যাপদ’ শব্দটির অর্থ কি ?
উঃ- জীবন যাপনের পদ্ধতিকে চর্যা বলে।‘চর্যা’ থেকে বর্তমানে ‘চর্চা’ শব্দটির উৎপত্তি। ‘পদ’ অর্থ চরণ বা পা। ‘চর্যাপদ’ শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় ’জীবন যাপনের
পদ্ধতি বা আচরণ যে কবিতায় বা চরণে লিখিত থাকে’।
৩৭। চর্যাপদের সর্বশেষ পদকর্তার নাম কি ? এবং তাঁর পদের নম্বর কত ?
উঃ- ’সরহ পা’ । ৫০ নং পদ।
৩৮। চর্যাপদের তিব্বতী অনুবাদকের নাম কি ?
উঃ- কীর্তিচন্দ্র।
৩৯। তিব্বতী অনুবাদের প্রথম সংবাদ প্রদানকারী কে ?
উঃ- ডঃ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়।
৪০। তিব্বতী অনুবাদের প্রথম সংগ্রাহক কে ?
উঃ- প্রবোধ চন্দ্র বাগচী।
৪১।‘টালত মোর ঘর নাহি পড়বেষী’–পদটির রচয়িতা কে ?
উঃ-ঢেণ্ঢনপাদ।
৪২।‘উঁচা উঁচা পাবত তহি বসই সবরী বালী’ পদটির রচয়িতা কে ?
উঃ- শবরপাদ।
Ba first semester dsc 101,102 bengali sob important questions answers