Bengali Subjectবাংলা সাহিত্যের ইতিহাস

বৈষব পদাবলী থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর । বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস

বৈষব পদাবলী : বৈষ্ণব পদাবলি বা বৈষ্ণব পদাবলী বৈষ্ণব ধর্মতত্ত্বের রসভাষ্য নামে খ্যাত এক শ্রেণীর ধর্মসঙ্গীত সংগ্রহ। বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যর সূচনা ঘটে চর্তুদশ শতকে বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাস-এর সময়ে, তবে ষোড়শ শতকে এই সাহিত্যের বিকাশ হয়। বৈষ্ণব পদাবলীর প্রধান অবলম্বন রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা।

উত্তর:- ভূমিকা ।

উত্তর:- ” বৈষ্ণব ” পদাবলীর ” পদ ” শব্দটির অর্থ হল কবিতা বা সঙ্গীত ।

উত্তর:- বৈষ্ণব পদাবলীর প্রথম পদকর্তা হলেন জয়দেব । তাঁর ” গীতগোবিন্দম্ ” কাব্য টি আদি বৈষ্ণব পদাবলীর নিদর্শন ।

উত্তর:- বাংলা ও বজ্রবুলি ।

উত্তর:- সৈয়দ মর্তুজা, নাসির মামুদ।

উত্তর:- গীতিকাব্য ।

উত্তর:- বৈষ্ণব পদাবলী হল বৈষ্ণব ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক গীতিকাব্য। মধ্যযুগে বৈষ্ণব সাধকগন রাধাকৃষ্মের ও চৈতন্যদেবের লীলাবৈচিত্র্য অবলম্বন করে বৈষ্ণবধর্মভিত্তিক যে বিশেষ একধরনের গীতিকাব্য রচনা করেছিলেন, তাকেই সাধারণভাবে বৈষ্ণব পদাবলী বলা হয়।

উত্তর:- বৈষ্ণব পদাবলী রচনার সময়কাল হ’ল পঞ্চদশ শতাব্দী থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত।

উত্তর:- পদ বা গানের সংকলন অর্থে পদাবলী শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন কবি জয়দেব, তাঁর ‘গীতগোবিন্দ’ কাব্যে ‘মধুরকোমলকান্ত পদাবলী’ শ্লোকে।

উত্তর:- বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যের ধারাকে তিনটি যুগে ভাগ করা হয়। যথা প্রাক্‌-চৈতন্য যুগ, চৈতন্য যুগ এবং চৈতন্যোত্তর যুগ।

উত্তর:- প্রাক্ চৈতন্য যুগের দু’জন পদকর্তা হ’লেন ‘বিদ্যাপতি’ এবং ‘চণ্ডীদাস’।

উত্তর:- চৈতন্যযুগের দু’জন পদকর্তার হলেন বাসু ঘোষ এবং গোবিন্দ ঘোষ।

উত্তর:- চৈতন্যোত্তর যুগের দু’জন পদকর্তা হলেন গোবিন্দ দাস ও জ্ঞানদাস।

উত্তর:- ব্রজবুলি হ’ল বৈষ্ণব পদাবলী রচনার উদ্দেশ্যে সৃষ্ট একটি কৃত্রিম ভাষা। অবহট্ঠ ও মৈথিলী ভাষার সংমিশ্রণে গঠিত এক কৃত্রিম অথচ মধুর সাহিত্যিক ভাষার নাম ব্রজবুলি। কবি ঈশ্বরগুপ্ত প্রথম ব্রজবুলি শব্দটি ব্যবহার করেন।

উত্তর:- কবি বিদ্যাপতি কে ।

উত্তর:- পীতাম্বর দাস ।

উত্তর:- মুরারী গুপ্ত ।

উত্তর:- হরিভক্তিবিলাস , বৈষ্ণবতোষণী , প্রভৃতি ।

উত্তর:- বিশিষ্ট পদকর্তা ও গ্রন্থকার নরহরি চক্রবর্তী ।

উত্তর:- ” গীতকল্পতরু ” গ্রন্থটির সংকলক হলেন গোকুলানন্দ সেন ।

উত্তর:- ১৩০ জন পদকর্তার চার হাজারেরও বেশি পদ স্থান পেয়েছে ।

উত্তর:- নটবর দাস ।

উত্তর:- কমলাকান্ত দাস ।

Read More : বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস। মঙ্গল কাব্য। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

উত্তর:- ” পদরত্নাবলী ” ১২৯২ বঙ্গাব্দে । কবির সহযোগী সম্পাদক ছিলেন শ্রীশচন্দ্র মজুমদার ।

উত্তর:- ” গীতগোবিন্দম্ ” এর কবি জয়দেব কে ।

উত্তর:- মিথিলার বিশিষ্ট কবি বিদ্যাপতি কে ।

উত্তর:- কীর্তিলতা , কীর্তিপতাকা , ভু – পরিক্রমা , দুর্গাভক্তিতরঙ্গীনি , হরগৌরী বিষয়ক পদাবলী ইত্যাদি।

উত্তর:- বিহারের দ্বারভাঙ্গা জেলার মধুবনী পরগনার বিসফিগ্রামে ।

উত্তর:- রানী লোছমী দেবীর ।

উত্তর:- গোবিন্দ দাস কে ।

উত্তর:- বৈষ্ণব পদকর্তা কবিরঞ্জন ।

উত্তর:- বাঁকুড়া জেলার ছাতনা গ্রামে । বাশুলী দেবীর উপাসক ছিলেন ।

উত্তর:- বীরভূম জেলার নান্নুর গ্রামে । রামি ।

উত্তর:- পূর্বরাগ ও নিবেদন পর্যায়ের ।

উত্তর:- হাল – এর ” গাথাসপ্তশতি ” গ্রন্থে ।

উত্তর:- বাসুদেব ঘোষ ।

উত্তর:- শঙ্করীপ্রসাদ বসু।

উত্তর:- খেতুরির মহোৎসবে ।

উত্তর:- ইশ্বরপুরীর কাছে ।

উত্তর:- রাজা শিব সিংহের ।

উত্তর:- চূড়ামনি দাসের ।

উত্তর:- শ্রীজীব গোস্বামী ।

Read More : বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – “মধ্যযুগ” থেকে গুরুত্বপূর্ণ MCQ

উত্তর:- ” কীর্তিলতা ” গ্রন্থে ।

উত্তর:- মিথিলার কামেশ্বের বংশের ।

উত্তর:- শ্রীনিবাস আচার্যের কাছ ।

উত্তর:- গৌরচন্দ্রিকা , অভিসার , মান ইত্যাদি ।

উত্তর:- বর্ধমান জেলার কাদঁড়া গ্রামে।

উত্তর:- জাহ্নবী দেবীর।

উত্তর:- ষোড়শ শতকের প্রথার্ধে।

উত্তর:- নিত্যানন্দের ।

উত্তর:- বাৎসল্য রসের পদ রচনায় ।

উত্তর:- মিলন , মাথুর , ভাবসম্মিলন , প্রার্থনা ইত্যাদি পর্যায়ের পদ রচনায় ।

উত্তর:- ঈশ্বর গুপ্ত ।

উত্তর:- প্রার্থনা বিষয়ক পদে ।

উত্তর:- পাঁচ প্রকার – শান্ত , দাস্য , সখ্য , বাৎসল্য , মধুর ।

উত্তর:- দুই প্রকার – ১) বিপ্রলম্ভ শৃঙ্গার ২) সম্ভোগ শৃঙ্গার ।

উত্তর:- কবি সার্বভৌম বিদ্যাপতি কে ।

উত্তর:- ব্রাহ্মণ বংশের সন্তান ।

উত্তর:- বিষ্ণুপুরান ও ভাগবত পুরান ।

উত্তর:- যশরাজ খান ।

উত্তর:- মধুর রস ।

উত্তর:- দর্শন ও শ্রবণের মাধ্যমে।

উঃ গ্ৰীয়ার্সন সাহেব (১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে)

উত্তরঃ- গণপতি ঠাকুর।

উত্তরঃ- ছয়জন রাজা এবং একজন রাণীর পৃষ্টপোষকতা লাভ করে। শিবসিংহ, কীর্তিসিংহ, দেব সিংহ, পদ্ম সিংহ, পুরাদিত্য, ভৈরব সিংহ ও বিশ্বাস দেবী।

উত্তর:-
ভূপরিক্রমা- ১৪০০ খ্রিস্টাব্দ
কীর্তিলতা – ১৪০২-১৪০৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে
পুরুষ পরীক্ষা -১৪১০ খ্রিস্টাব্দ
কীর্তিপতাকা – ১৪১০ খ্রিস্টাব্দ
লিখনাবলী – ১৪১৮ খ্রিস্টাব্দ
শৈবসর্বস্বহার – ১৪৩০-৪০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে
গঙ্গাবাক্যাবলী – ১৪৩০-৪০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে
বিভাগসার – ১৪৪০-৬০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে
দানবাক্যাবলী – ১৪৪০-৬০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে
দুর্গাভক্তিতরঙ্গিনী – ১৪৪০-৬০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে

উত্তর:-কীর্তিলতা ও কীর্তিপতাকা।

উত্তর:- সংস্কৃত ভাষায়।

উত্তর:-১৫৪১ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরূপ গোস্বামী রচনা করেন। গ্রন্থটিতে ২১৪১ টি শ্লোক আছে। চারটি ভাগে বিভক্ত যথা-পূর্ব, দক্ষিণ, পশ্চিম ও উত্তর।

উত্তর:- চৈতন্যোত্তর বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি।

উত্তর:- পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার কাটোয়ায়, ষোড়শ শতাব্দীতে।

উত্তর:- আনুুমানিক ১৫৩০ খ্রিস্টাব্দ।

উ:- চৈতন্য উত্তর যুগের ষোড়শ শতাব্দীর কবি।

উত্তর:- বৈষ্ণবগুরু নিত্যানন্দের পত্নী জাহ্নবী দেবীর শিষ্য ছিলেন।

উত্তর:- ‘পদ কল্পতরু’তে জ্ঞানদাসের ভূমিকায় পাওয়া পদের সংখ্যা ১৮৬টি।

উত্তর:- জ্ঞানদাস আক্ষেপানুরাগ পর্যায়ের পদ রচনায় শ্রেষ্ঠ ।

উত্তর:- বৈষ্ণব পদকর্তা। চৈতন্যোত্তরকালে খ্যাতি অর্জনকারী কবিদের একজন।

উত্তর:- মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলার নিকটবর্তী তেলিয়াবুধুরি গ্রামে, আনুমানিক ১৫৩৫ খ্রিস্টাব্দে।

উত্তর:- গোবিন্দদাস। কবি বল্লভদাস অভিধা দিয়েছিলেন-গোবিন্দের কবিত্বগুণ, গেবিন্দ দ্বিতীয় বিদ্যাপতি।

উত্তর :- সেন।

উত্তর : ‘সংগীতমাধব’।

উত্তর :- পূর্বরাগ, অভিসার, মান, কলহস্তরিতা, বাসকসজ্জা, মাথুর প্রভৃতি পর্যায়ের পদকর্তা।

উত্তর :- অভিসার পদ পর্যায়ে গোবিন্দদাস শ্রেষ্টত্ব অর্জন করেছেন। সমালোচকের মতে অভিসার পর্যায়ে তিনি রাজাধিকার।

উত্তর:- অভিসরণ বা উভয়মুখী চলা অর্থেই ‘অভিসার’ কথাটি ব্যবহৃত হয়েছে। নায়িকার
উদ্দেশ্যে নায়কের কিংবা নায়কের উদ্দেশ্যে নায়িকার সংকেত কুঞ্জে মিলনের যে যাত্রা তাকে
অভিসার বলে। এই পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবি গোবিন্দ দাস।
‘কন্টক গাড়ি কমল সম পদতল’ – পদটি হল অভিসার পর্যায়ের।

উত্তর:- নায়ক নায়িকা যেখানে পরস্পরের প্রতি অনুরক্ত এবং কাছাকাছি থাকা সত্ত্বেও যে বিশেষ মানসিক অবস্থায় (নায়িকার মনে সামান্য কারণে ঈর্ষার সঞ্চার হয় সেহেতু নায়কের প্রতি বিরূপ আচরণ) উভয়ের মিলনে বাধা জন্মায় তাই হল মান।

উত্তর:- কৃষ্ণের মথুরা গমনে রাধিকার মনে এবং সমগ্র বৃন্দাবনে যে অন্ধকার সঞ্চারিত হয়েছিল
তাই মাথুর বিরহের পদগুলির বিষয় অর্থাৎ মাথুর শ্রীকৃষ্ণের মথুর প্রবাস বিষয়ের
বিপ্রলম্ভশৃঙ্গারের পদ। মাথুর বিরহেই সৃষ্টির আগুন জ্বালা যন্ত্রণায় বিদ্ধ হয়েছে বিরহিনী
নায়িকার মন।

উত্তর:-‘’উজ্জ্বল নীলমণি’ গ্রন্থে বলা হয়েছে-
“রতির্যা সঙ্গমাৎ পূর্বং দর্শন শ্রবণাদিজা।
তয়োরুন্মীলতি প্রাজ্ঞৈঃ পূর্বরাগঃ স উচ্যতে।।”
অর্থাৎ মিলনের পূর্বে পরস্পরের দর্শন শ্রবণ ইত্যাদির দ্বারা নায়ক নায়িকার চিত্তে যে অনুরাগ জন্মে তাকেই পূর্বরাগ বলে। এর শ্রেষ্ঠ কবি চণ্ডিদাস।

উত্তর:- প্রেমবৈচিত্ত ও আক্ষেপানুরাগ এই দুইয়ের মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। তবে উভয়ের উপজীব্য প্রেম । যখন নায়িকার অন্তরে প্রেম জাগ্রত কিন্তু পারিপার্শ্বিক অবস্থা অনুকূল নয় বলে মিলন সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় নায়িকার মনে যে আক্ষেপ তাকেই বলে আক্ষেপানুরাগ। অন্যদিকে প্রেমের গভীরতা হেতু মিলনের মধ্যেও গভীর বিরহ বোধের অন্য নাম প্ৰেম বৈচিত্ত। চণ্ডীদাস লেখেন – “দুহু ক্রোড়ে দুহু কাঁদে বিচ্ছেদ ভাবিয়া”।

আমাদের সমস্ত ক্লাসগুলি ভিডিও আকারে পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলের সাথে অবশ্যই যুক্ত থাকো। আর কোন ধরনণের লেখা পেতে চাও তা আমাদের কমেন্টে অবশ্যই জানাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Primary TET 2022 Mock Test

X