Exams Archives - Prerona Academy https://preronaacademy.com/category/exams/ Just another WordPress site Sun, 31 Mar 2024 18:33:57 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7 https://preronaacademy.com/wp-content/uploads/2022/10/cropped-PA-Favicon-32x32.png Exams Archives - Prerona Academy https://preronaacademy.com/category/exams/ 32 32 অনুবাদ সাহিত্য || রামায়ন, মহাভারত, ভাগবত https://preronaacademy.com/anubad_sahityo/ https://preronaacademy.com/anubad_sahityo/#respond Sat, 30 Mar 2024 19:13:07 +0000 https://preronaacademy.com/?p=467 অনুবাদ সাহিত্যরামায়ন, মহাভারত, ভাগবত অনুবাদ সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে যে বেশকিছু সাহিত্য রচিত হয়েছিল তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বলা যেতে

The post অনুবাদ সাহিত্য || রামায়ন, মহাভারত, ভাগবত appeared first on Prerona Academy.

]]>

অনুবাদ সাহিত্য

বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে যে বেশকিছু সাহিত্য রচিত হয়েছিল তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বলা যেতে পারে অনুবাদ সাহিত্য।
অনুবাদগ্রন্থ সমূহ মুলত সংস্কৃত, আরবি, ফারসি ভাষা থেকে অনুদিত হয়।

  • অনুবাদ সাহিত্য সৃষ্টির কারণ —
    ক) তুর্কি আক্রমণের পরবর্তী বিপন্নতা।
    খ) সংস্কৃত সাহিত্যে রসাস্বাদনের প্রতি আগ্রহ।
    গ) হিন্দু সংস্কৃতির পুনরুত্থানের চেষ্টা।
    ঘ) রাজকীয় পৃষ্টপোষনা।
    ঙ) সক্ষম ও আগ্রহী কবির আবির্ভাব।
  • অনুবাদ সাহিত্যের প্রধান ধারার তিনটি। যথা —
    রামায়ণ, মহাভারত ও ভাগবত।

রামায়ণ অনুবাদ ধারা 👇

  • রামায়ণের শ্রেষ্ঠ অনুবাদক কৃত্তিবাস ওঝা। গ্রন্থের নাম ‘শ্রীরাম পাঁচালী’।
    মহাভারতের শ্রেষ্ঠ অনুবাদক কাশীরাম দাস। গ্রন্থের নাম ‘ভারত পাঁচালী’।
    ভাগবতের শ্রেষ্ঠ অনুবাদক মালাধর বসু। গ্রন্থের নাম ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’। রামায়নঃ
  • সংস্কৃত ভাষায় রচিত।
  • ‘রামচরিত’ থেকে রচিত।
  • ৭ খন্ডে রচিত।
  • শ্লোকঃ ২৮ হাজার।
  • রামায়ণ রচনা করেনঃ বাল্মীকি গঙ্গা নদীর তীরে বসে।
  • বাল্মীকির মূল নামঃ দস্যু রত্নাকর।
  • বাল্মীকি শব্দের অর্থঃ উইপোকা ।
  • প্রধান চরিত্রঃ রাম, লক্ষন, সীতা, রাবণ।

কৃত্তিবাস ওঝা

  • প্রথম ও শ্রেষ্ঠ বাংলা অনুবাদকঃ কৃত্তিবাস ওঝা। তিনি পঞ্চদশ শতাব্দীর কবি।
  • কৃত্তিবাস ওঝার অনুবাদের নামঃ শ্রীরাম পাঁচালী।
  • কৃত্তিবাসি রামায়ণের রচনাকাল ১৪৪৩ খ্রিস্টাব্দ।
    মতান্তরে ১৪৬৫ – ১৪৭৬ খ্রিস্টাব্দ।
  • রামায়ণের আদি অনুবাদক কৃত্তিবাস ওঝা।
  • তাঁর আবির্ভাবকাল সম্পর্কে প্রাপ্ত ভনিতাটি হল —
    “আদিত্যবার শ্রীপঞ্চমী পূর্ণ মাঘ মাস।
    তথি মধ্যে জন্ম লইলাম কৃত্তিবাস।।”
  • তিনি অধুনা পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার অন্তর্গত ফুলিয়া গ্রামে বাস করতেন।
  • পৃষ্ঠপোষক রাজা – কবি কৃত্তিবাস এই প্রসঙ্গেও তাঁর গ্রন্থে পৃষ্ঠপোষক রাজার নাম উল্লেখ করেননি। ফলে পৃষ্ঠপোষক রাজা সম্পর্কেও সমালোচকেরা ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করেন।

১। সুখময় মুখোপাধ্যায়, রমেশচন্দ্র মজুমদার প্রমুখ
পণ্ডিতেরা পৃষ্ঠপোষক রাজা হিসেবে গৌড়েশ্বর রুকনুদ্দিন বরবক শাহ -এর নামোল্লেখ করেছেন। রুকনুদ্দিন বরবাক শাহ ১৪৫৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৪৭৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেছেন।
২। অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, দীনেশচন্দ্র সেন প্রমুখরা রাজা গণেশের নাম উল্লেখ করেছেন পৃষ্ঠপোষক রাজা হিসেবে।
৩। পৃষ্ঠপোষক রাজা হিসেবে কংসনারায়ণ -এর নাম উল্লেখ করেছেন ডঃ সুকুমার সেন।

  • কৃত্তিবাস ওঝা রামায়ণ অনুবাদ করেন পয়ার ও ত্রিপদী ছন্দে।
  • ১৮০২-১৮০৩ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুর মিশন থেকে উইলিয়াম কেরির উদ্যোগে ‘শ্রীরাম পাঁচালী’ পাঁচটি খন্ডে প্রথম মুদ্রিত হয়। ১৮৩০-১৮৩৪ খ্রিস্টাব্দে জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের সম্পাদনায় দ্বিতীয় ও পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ প্রকাশিত হয়।
  • কৃত্তিবাসী রামায়ণের মোট কান্ড সংখ্যা সাতটি। আদি কান্ড, অযোধ্যা কান্ড, অরণ্য কান্ড, কিষ্কিন্ধ্যা কাণ্ড
    সুন্দর কাণ্ড, লঙ্কাকাণ্ড এবং উত্তরকান্ড।
  • কৃত্তিবাসের রামায়ণের কাহিনি চয়ন করা হয়েছে —
    জৈমিনী ভারত , বাল্মিকী রামায়ণ , অদ্ভুত রামায়ণ , পদ্মপুরাণ , স্কন্দ পুরাণ , মার্কেণ্ডীয় পুরাণ।
  • কৃত্তিবাস ওঝার পিতার নাম বনমালী ও মাতার নাম মালিনী।
  • কৃত্তিবাস ওঝার পারিবারিক উপাধি ছিল মুখোপাধ্যায় (মুখুটি)
  • কৃত্তিবাসের রামায়ণের সবচেয়ে জনপ্রিয় হাস্যরস হলো ‘অঙ্গদের রায়বার’।
  • কৃত্তিবাসের জন্মবার ছিল আদিত্যবার অর্থাৎ রবিবার।
  • প্রথম মহিলা অনুবাদকঃ চন্দ্রাবতী (বাংলা সাহিত্যের
    প্রথম মহিলা কবি)।
  • চন্দ্রাবতীর বাড়িঃ কিশোরগঞ্জ।
  • চন্দ্রাবতীর পিতার নামঃ দ্বিজ বংশীদাস।
  • চন্দ্রাবতীর রামায়ণ পূর্ববঙ্গের ময়মনসিংহ জেলার নারী সমাজে বেশি প্রচলিত ছিল।

অদ্ভুত আচার্যঃ-

অদ্ভুত আচার্য চৈতন্য পরবর্তী রামায়ণ অনুবাদক । অনেকের মতে ষোড়শ শতকে তাঁর জন্ম । ড. নলিনীকান্ত ভট্টশালীর মতে তিনি আনুমানিক ১৫৪৭ খ্রিস্টাব্দে পাবনার উত্তর-পূর্বে সোনাবাজু গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর পিতার নাম শ্রীনিবাস আচার্য এবং মাতার নাম মেনকা দেবী । তাঁর প্রকৃত নাম নিত্যানন্দ আচার্য। ১৩২০ সালে ‘রংপুর সাহিত্য পরিষদ’ থেকে রজনীকান্ত চক্রবর্তীর সম্পাদনায় ‘অদ্ভুত আচার্যের রামায়ণ’ প্রকাশিত হয় ।

  • অদ্ভুত রামায়ণের আক্ষরিক অনুবাদ করেছিলেন কৈলাস চন্দ্র বসু।
  • সপ্তদশ শতকের কয়েকজন রামায়ণ অনুবাদকের নাম হল কৈলাস বসু ,ভবানী দাস, ঘনশ্যাম দাস।
  • অষ্টাদশ শতকের কয়েকজন রামায়ণ অনুবাদকের নাম হলো শঙ্কর কবিচন্দ্র, রামানন্দ ঘোষ ,রামচন্দ্র জ্যোতি।
  • ‘শ্রীরামমঙ্গল’ শংকর কবিচন্দ্রের লেখা।

মহাভারত অনুবাদ ধারা 👇🏿

  • সংস্কৃত ভাষায় রচিত।
  • ১৮ খন্ডে রচিত।
  • প্রধান চরিত্রঃ অভিমন্যু, অর্জুন, কর্ণ, গান্ধারী, দ্রোপদী।
  • রচয়িতাঃ কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস।
  • মহাভারতের আদি অনুবাদক শ্রীকর নন্দী। শ্রীকর নন্দী পূর্ণাঙ্গ মহাভারত অনুবাদ না করে সংস্কৃত মহাকাব্য মহাভারত অবলম্বনে জৈমিনি রচিত জৈমিনি ভারত থেকে শুধু “অশ্বমেধ পর্ব” অনুবাদ করেছিলেন।
  • প্রথম বাংলা অনুবাদকঃ কবীন্দ্র পরমেশ্বর,পরাগল খাঁ-এর নির্দেশে অনুবাদ করেন এবং এর নাম দেন ‘পরাগলী মহাভারত’।
  • শ্রীকর নন্দী, পরাগল খাঁ-এর পুত্র ছুটি খাঁ -এর নির্দেশে মহাভারত বাংলানুবাদ করেন এবং এর নাম দেন ‘ছুটিখানি মহাভারত’।

কাশীরাম দাস

  • শ্রেষ্ঠ বাংলা অনুবাদকঃ কাশীরাম দাস। সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় অর্থাৎ চৈতন্য পরবর্তী যুগে কাশীরাম দাস ‘ভারত পাঁচালী’ রচনা করেন।
  • কাশীরাম দাস জন্মগ্রহণ করেছিলেন বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার সিঙ্গি গ্রামে।
  • কাশীরাম দাসের পিতার নাম ছিল কমলাকান্ত।
  • কাশীরাম দাসের কুল পদবি হল দেব।
  • কাশীরাম দাস রচিত কাব্যটির নাম হল ‘ভারত পাঁচালী’।
  • কাশীরাম দাস অভিরাম মুখোটির নির্দেশে মহাভারত অনুবাদ করেছিলেন।
  • কাশীরাম দাস ব্যাসদেবের মূল মহাভারত এবং জৈমিনি- মহাভারত অনুসরণে ‘ভারত পাঁচালী’ নামে মহাভারতের অনুবাদ গ্রন্থ সৃষ্টি করেছিলেন।
  • কাশীরাম দাস মহাভারতের আদিপর্ব , সভাপর্ব , বন পর্ব ও বিরাট পর্বের কিছুটা অংশ অনুবাদ করেন ।
    এ সম্পর্কে ভ্রাতুষ্পুত্র নন্দরামের উদ্ধৃতিটি হল —
    “আদি সভা বন বিরাটের কতদূর ।
    ইহা রচি কাশীদাস গেলা স্বর্গপুর ।।“

কাশীরাম ছাড়া অন্য চারজন মহাভারতের অনুবাদকের নাম ও তাঁদের কাব্যের নাম –

ভাগবত অনুবাদ ধারা 👇🏿

  • সংস্কৃত ভাষায় রচিত।
  • ১২ খন্ডে রচিত।
  • রচয়িতাঃ কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস।
  • প্রথম বাংলা অনুবাদকঃ মালাধর বসু। মালাধর বসু সম্ভবত ১৪২০ থেকে ১৪২২ খ্রিস্টাব্দে বর্ধমান জেলার কুলীন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
  • মালাধর বসুর পিতার নাম ভগীরথ ও মাতার নাম
    ইন্দুমতী।
  • মালাধর বসুর উপাধিঃ গুনরাজ । এ উপাধি দেন
    রুকনউদ্দিন বরবক শাহ্।
  • মালাধর বসুর রচিত অনুবাদক কাব্যটির নাম ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’।
  • বাংলা সাহিত্যে প্রথম সরাসরি রচনাকাল জ্ঞাপক ভণিতা হল — “তেরশ পঁচানই শকে গ্রন্থ আরম্ভন ।
    চতুর্দশ দুই শকে হৈল সমাপন ।।”
    এই রচনাকাল জ্ঞাপক ভনিতাটির রচয়িতা মালাধর বসু । অর্থাৎ মালাধর বসু ১৪৭৩ খ্রিস্টাব্দে ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ কাব্য রচনা শুরু করেন এবং সমাপ্ত করেন ১৪৮০ খ্রিস্টাব্দে।
  • ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ কাব্যটির অপর নাম ‘গোবিন্দবিজয়’ ও ‘গোবিন্দমঙ্গল’।
  • মালাধর বসু ভাগবত পুরাণের দশম ও একাদশ স্কন্ধের কাহিনী অবলম্বনে তাঁর ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ কাব্যটি রচনা করেছিলেন।
  • ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ কাব্যে মোট তিনটি খন্ড রয়েছে।
  • শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ কাব্যের তিনটি খন্ড হল- আদি খন্ড বা বৃন্দাবনলীলা, মধ্যখন্ড বা মথুরালীলা, অন্তখন্ড বা দ্বারকালীলা।
  • শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ কাব্যের মোট অধ্যায় সংখ্যা ৩৩৫ টি।

The post অনুবাদ সাহিত্য || রামায়ন, মহাভারত, ভাগবত appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/anubad_sahityo/feed/ 0
MSC ও WBSLST । সাহিত্য সম্ভার থেকে গুরুত্বপূর্ণ 35 টি MCQ https://preronaacademy.com/sahitya-sambhar-mcq-test/ https://preronaacademy.com/sahitya-sambhar-mcq-test/#respond Sun, 15 Oct 2023 12:49:16 +0000 https://preronaacademy.com/?p=391 সাহিত্য সম্ভারসাহিত্য সম্ভার থেকে গুরুত্বপূর্ণ 35 টি MCQ Important & Useful For : মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন ও WBSLST ১ “মোর

The post MSC ও WBSLST । সাহিত্য সম্ভার থেকে গুরুত্বপূর্ণ 35 টি MCQ appeared first on Prerona Academy.

]]>

সাহিত্য সম্ভার
সাহিত্য সম্ভার থেকে গুরুত্বপূর্ণ 35 টি MCQ

Important & Useful For : মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন ও WBSLST

১ “মোর ঘরে অন্ন কোথা আজ” -মন্তব্যটি কার ?

A.সামন্ত জয়সেন
B. রত্নাকর শেঠ
C.ধর্মপাল
D.সুপ্রিয়া

Ans- A. সামন্ত জয়সেন

২.”পঁচিশজন কবিকে কতদিন কয়েকখানায় বন্দি করে রাখা হয়েছিল ?

A.একমাস
B.দুইমাস
C.তিনমাস
D.চারমাস

Ans:-A.একমাস

৩. কোকিলের ডাক শুনে বেহুলার চোখে ঘনিয়ে এসেছিল –

A. অন্ধকার
B. আলো
C. কুয়াশা
D. স্বপ্ন

Ans-C. কুয়াশা

৪.”হে জননী, আমরা ভয় পায়নি “- কোন কবিতার অংশ ?

A. জননী জন্মভূমি
B. বীরবাহুর মৃত্যুতে রাবণ
C. ঈশ্বর
D. কোনটি নয়

Ans-A. জননী জন্মভূমি

৫. “হে বারীন্দ্র , তব পদে এ মম মিনতি ” -এই মিনতি করেছে –

A. ইন্দ্রজিৎ
B. বীরবাহু
C. রামচন্দ্র
D. রাবণ

Ans- D.রাবণ

৬. সওকতজঙ্গের ধনাগারে কত টাকা ছিল ?

A. নবতি লক্ষ
B. নয় লক্ষ
C. পঞ্চাশ লক্ষ
D. দশ লক্ষ

Ans- A.নবতি লক্ষ

৭.”পোস্টমাস্টার”গল্পে রতনের বয়স কত ?

A. বারো- তেরো
B. দশ বছর
C.তেরো- চোদ্দ
D. আট বছর

Ans- A. বারো- তেরো

৮.”সে যে কত বড় পাকা মাঝি, তখন তাহা বুঝি নাই ” পাকা মাঝি কে ?

A. শ্রীকান্ত
B. ইন্দ্রনাথ
C. খোকা
D. মানিকচাঁদ

Ans- B. ইন্দ্রনাথ

৯.” না বাঁচার চেয়ে বেঁচে থাকা ভালো “মন্তব্যটি কার –

B. মহাজন
B. তরুণ উকিল
C. ইন্দ্রনাথ
D. উপরের সবকটি

Ans- B. তরুণ উকিল

১০.ব্ল্যাকীর “সেলফ- কালচার ” বইটি ছাত্রের কাছে চেয়েছিলেন –

A. শিবনাথ শাস্ত্রী
B. সাদি
C. প্লেটো
D. কেউ না

Ans- A. শিবনাথ শাস্ত্রী

১১. উকিলের বন্দিদশা যবে থেকে শুরু হয় –

A. ১৮৭০ সালের ১৪ই নভেম্বর
B. ১৮৬০ সালের ১৪ই নভেম্বর
C. ১৮৭০ সালের ১৫ই নভেম্বর
D. ১৮৭৫ সালের ১৪ই নভেম্বর

Ans- A. ১৮৭০ সালের ১৪ই নভেম্বর

১২.”জাহাঁপনা আজও আপনি দুনিয়া জয় করতে পারেননি”- মন্তব্যটি করেছেন –

A. সেলিম
B. চন্দ্রগুপ্ত
C. আজিম খাঁ
D. প্রতাপাদিত্য

Ans-D. প্রতাপাদিত্য

১৩.’শামুক’ কবিতাটি তরজমা করেন –

A. সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
B. মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
C. অনুপমা বসুমাতরি
D. বিষ্ণুপদ ভট্টাচার্য

Ans-B. মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

১৪.প্রভাত সূর্যের যে বিশেষণ ‘জ্যোতি ‘কবিতায় ব্যবহার করা হয়নি –

A. দুঃসহ
B. নির্দয়
C. মঙ্গল
D. নির্মল
Ans.- C. মঙ্গল

১৫.ইউরোপীয় অবস্থাপন্ন লোকের স্টাডিতে প্রবেশ করার অর্থ –

A. যেন কেউ না দেখে বা ঢোকে
B. যেন সবাই দেখে ও ঢোকে
C. মন দিয়ে পড়াশোনা করবে
D. কোনোটিই ঠিক নয়

Ans- A. যেন কেউ না দেখে বা ঢোকে

১৬. ”অর্ধনগ্ন যারা , তারা খাদ্যহীন, খাদ্যের সম্বল” — কোন কবিতার লাইন ?

A. মধুমতী নদী দিয়া
B. জননী জন্মভূমি
C. শামুক
D. ইলিশ

Ans- D. ইলিশ

১৭.ইন্দ্রনাথের শেষ পরিণতি যেমন হয়েছিল –

A. কঠিন অসুখ
B. নিরুদ্দেশ যাত্রা
C. বুদবুদের মত শূন্যে মিলিয়ে গিয়েছিল
D. কোনোটিই ঠিক নয়

Ans- C. বুদবুদের মত শূন্যে মিলিয়ে গিয়েছিল

Read More : ইসলামী সাহিত্যের ইতিহাস Mock Test

১৮.পটো দিদি মারা যান –

A. ১৯৫০ সালে
B. ১৯৫৫ সালে
C. ১৯৬০ সালে
D. ১৯৭০ সালে

Ans- C. ১৯৬০ সালে

১৯.“আমি জিজ্ঞাসা করিলাম কোন পথ দিয়া গ্রামে যাইব ?” – কে জিজ্ঞাসা করেছিল ?

A. কঙ্কাবতী
B. রাধারানী
C. পটোদিদি
D. গগন পটো

Ans- A. কঙ্কাবতী

২০.’মধুমতী নদী দিয়া ‘– কার লেখা ?

A. বেগম রোকেয়া
B. জসীমউদ্দীন
C. অরুণ চক্রবর্তী
D. শামসুর রাহমান

Ans- B. জসীমউদ্দীন

২১.’মফস্বলের বাস’ কবিতায় বাস থেকে কি কি নামল ?

A. চাল, পাঁজি, কচুরি
B. চাল, ডাল, পাঁজি
C. চাল, পাঁজি, ব্লাউজ বডিস
D.পাঁজি,গন্ধরাজ,লেবু, ব্লাউজ বডিস

Ans:-C. চাল,পাঁজি, ব্লাউজ বডিস

২২.’নানা বিদ্যার আয়োজন’- গল্পে কে যন্ত্রতন্ত্র যোগে প্রাকৃত বিজ্ঞান শিক্ষা দিতেন ?

A.অঘোরবাবু
B.সীতানাথ দত্ত
C.হেরম্ব তত্ত্বরত্ন
D.নীলকমল ঘোষাল

২৩.জয়রামবাবুর বাড়িতে আদরিণী আসে যে সময় –

A. বেলা সাতটা
B. বেলা আটটা
C. রাত নয়টা
D. দুপুর বারোটা

Ans:-A. বেলা সাতটা

২৪.’সংসারে দুঃখই তো আসল জিনিস রায়কাকা’-রায় কাকা কে ?

A. সীতারাম রায়
B. কানাই রায়
C. দেবু রায়
D. শ্যাম রায়

Ans:-B. কানাই রায়

২৫.’ঋণং কৃত্বা’- গল্পে গল্পকথক কোন্ দিন টাকা ধার চাইতে গিয়েছিলেন হর্ষবর্ধনের কাছে ?

A. রবিবার
B. মঙ্গলবার
C. বুধবার
D. শনিবার

Ans:-C. বুধবার

২৬.’ক্কচিৎ কখনো’ গল্পে দেবীপদ কী কী বারে গোপীনাথের সাথে দেখা করতে আসত-

A. সোম-মঙ্গলবার
B. মঙ্গল-বুধবার
C. শুক্র-শনিবার
D. শনি-রবিবার

Ans:-D. শনি-রবিবার

২৭.’আলপনা’ গল্পে লেখক কাজল রেখার কাহিনি পড়েছিলেন –

A. পূর্ববঙ্গ গীতিকায়
B. নাথ সাহিত্যে
C. ময়মনসিংহ গীতিকায়
D. কথা সাহিত্যে

Ans:-C. ময়মনসিংহ গীতিকায়

২৮.উনিশশো বাষট্টি লিখতে রোমাণে কটি অক্ষর লাগে ?

A.চারটি
B.পাঁচটি
C. ছটি
D. সাতটি

Ans:-D. সাতটি

২৯.’রং নাম্বার’ গল্পে দীপঙ্করের পাঠ্য ছিল –

A.চোখের বালি
B. জনা
C. কৃষ্ণকান্তের উইল
D. রাজর্ষি

Ans:-D. রাজর্ষি

৩০.’সাগরদ্বীপের মহাজন’- গল্পে কে অপূর্ব সুরেলা গলায় পুঁথি পড়ে-

A. তোরাব
B. বদর
C. লখিন্দর গাজি
D. লেখক

Ans:-C. লখিন্দর গাজি

৩১.’বাজারদর’ গল্পে রামবাবুর বৈজ্ঞানিক বন্ধুর নাম কি ছিল ?

A. নরেন হালদার
B. মধু হালদার
C. গয়েশ হালদার
D. নীতিশ হালদার

Ans:-C. গয়েশ হালদার

৩২.চল্লিশ বছরের কম বয়সীকে দেশের বাইরে পদার্পণ করতে কে মানা করেছিলেন ?

A. রবীন্দ্রনাথ
B. সক্রেটিস
C. প্লেটো
D. অ্যারিস্টটল

Ans:-C. প্লেটো

৩৩.’পাখিরা গান গায়’ কবিতাটির কবি হলেন-

A.হুয়ান রামোন হিমেনেথ
B.কি.বা.জগন্নাথ
C. আন্তন চেকভ
D. অনুপমা বসুমাতরি

Ans:-A.হুয়ান রামোন হিমেনেথ

৩৪. ‘ মায়ের মন ধনী-গরীবে কোন তফাৎ আছে নাকি?’- কোন গল্প থেকে উদ্ধৃত অংশটি গৃহীত হয়েছে ?

A. বীক্ষন
B. আদরিণী
C. রং নাম্বার
D. মিঠাইওয়ালা

Ans:-D. মিঠাইওয়ালা

৩৫.’বীক্ষণ’ গল্পে ডঃ চৌধুরীর ভৃত্যের নাম কি ছিল ?

A. কানাই
B. নরেশ
C. দশরথ
D. গোবিন্দ

Ans:-C. দশরথ

সম্পূর্ণ ক্লাসটি ভিডিও আকারে দেখো :-

সমস্ত ক্লাস ভিডিও আকারে পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলে যুক্ত থাকো।

The post MSC ও WBSLST । সাহিত্য সম্ভার থেকে গুরুত্বপূর্ণ 35 টি MCQ appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/sahitya-sambhar-mcq-test/feed/ 0
দশম শ্রেণির কবিতা প্রলয়োল্লাস । কাজী নজরুল ইসলাম । MCQ ও SAQ https://preronaacademy.com/calss-x-bengali-poem-proloullas/ https://preronaacademy.com/calss-x-bengali-poem-proloullas/#respond Wed, 09 Aug 2023 18:31:43 +0000 https://preronaacademy.com/?p=373 ‘ প্রলয়োল্লাস ’কাজী নজরুল ইসলামউৎস:- ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতাটি কবির ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা গুরুত্বপূর্ণ MCQ : ১.‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতাটি যে-কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত,

The post দশম শ্রেণির কবিতা প্রলয়োল্লাস । কাজী নজরুল ইসলাম । MCQ ও SAQ appeared first on Prerona Academy.

]]>

‘ প্রলয়োল্লাস ’
কাজী নজরুল ইসলাম
উৎস:- ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতাটি কবির ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা গুরুত্বপূর্ণ MCQ :

১.‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতাটি যে-কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত, তা হল-

ক.অগ্নিবীণা
খ. ফণীমনসা
গ. সর্বহারা
ঘ. ঝড়

ans:-ক.অগ্নিবীণা

২.‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতাটির প্রকাশকাল হল-

ক. ১৯২২ খ্রিস্টাব্দ
খ. ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দ
গ. ১৯২০ খ্রিস্টাব্দ
ঘ. ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দ

ans:-ক. ১৯২২ খ্রিস্টাব্দ

৩.প্রলয়োল্লাস’ শব্দের অর্থ হল-

ক.ধ্বংসের আনন্দ
খ. রথঘর্ঘর
গ.ভয়ংকরের চণ্ডরূপ
ঘ.দিগন্তরের কাঁদন

ans:-ক.ধ্বংসের আনন্দ

৪.সুন্দর যার বেশে আসছে, সে হল-

ক.কালবোশেখির ঝড়
খ.জ্বালামুখী ধূমকেতু
গ.দ্বাদশ রবি
ঘ. কাল-ভয়ংকর

ans:-ঘ. কাল-ভয়ংকর

৫.‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’ বাক্যটি মোট কতবার ব্যবহৃত হয়েছে?

ক.পনেরো বার
খ.উনিশ বার
গ.সতেরো বার
ঘ.একুশ বার

ans:-খ.উনিশ বার

৬.‘দ্বাদশ রবির বহ্নিজ্বালা ভয়াল তাহার নয়নকটায়,’–‘দ্বাদশ রবি’বলতে বোঝানো হয়েছে-

ক.বারোটি রবি
খ.সকালের রবি
গ.মধ্যাহ্নের রবি
ঘ.অস্তগামী রবি

ans:-ক.বারোটি রবি

৭.অনাগত প্রলয় যেখানে ধমক হেনে আগল ভাঙল, তা হল-

ক.বিশ্বমায়ের আসন
খ.সপ্ত মহাসিন্ধু
গ.সিন্ধুপারের সিংহদ্বারে
ঘ.নীল খিলানে

ans:-গ.সিন্ধুপারের সিংহদ্বারে

৮.‘ঝামর’ শব্দের অর্থ হল-

ক.আলুথালু
খ.ঝটকা
গ.কৃষ্ণবর্ণ
ঘ.গভীর

ans:-গ.কৃষ্ণবর্ণ

৯.’সপ্ত মহাসিন্ধু দোলে/কপোলতলে।’—’কপোল’ শব্দের অর্থ হল-

ক.কপাল
খ.গাল
গ.পায়রা
ঘ.কর্পূর

ans:-খ.গাল

১০.‘মাভৈঃ মাভৈঃ’ ধ্বনির তাৎপর্য হল—

ক.রণে ভঙ্গ দেওয়া
খ.ভীতসন্ত্রস্ত হওয়া
গ.যুদ্ধে জয়ী হওয়া
ঘ.ভয় না পাওয়া

ans:-ঘ.ভয় না পাওয়া

১১.দিগম্বরের জটায় কে হাসে?

ক.ধূমকেতু
খ.শিশুচাঁদ
গ.নবীনের দল
ঘ.স্বর্গের গঙ্গা

ans:-খ.শিশুচাঁদ

১২.‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ‘রথঘর্ঘর’ বলতে বোঝানো হয়েছে-

ক. রথ ভেঙে পড়ার শব্দ
খ.বজ্রপাতের শব্দ
গ. রথের চাকায় ঘর্ষণের শব্দ
ঘ. রথে চড়ে যুদ্ধের শব্দ

ans:-গ. রথের চাকায় ঘর্ষণের শব্দ

১৩.‘জীবনহারা অ-সুন্দরে করতে ছেদন!’ কে আসছে?

ক. নবীন
খ. চিরসুন্দর
গ. মহাকাল-সারথি
ঘ. মুমূর্ষু

ans:-ক. নবীন

Read More : আন্তর্জাতিক সাহিত্য । অনুবাদ ও অনুষঙ্গ । পাবলো নেরুদা

১৪.যে ‘ভেঙে আবার গড়তে জানে’ তার নাম হল-

ক. প্রলয়-নেশার নৃত্যপাগল
খ. জ্বালামুখী ধূমকেতু
গ. বিশ্বমাতা
ঘ.চিরসুন্দর

ans:-ঘ.চিরসুন্দর

১৫.বধূদের যা তুলে ধরতে বলা হয়েছে, তা হল-

ক.চাবুক
খ. মশাল
গ.প্রদীপ
ঘ. কৃপাণ

ans:-গ.প্রদীপ

১৬.দেবতা কোথায় বাঁধা পড়ে আছে?

ক.অগ্নিযূপে
খ. যজ্ঞ-যূপে
গ.পাতালে
ঘ.সিন্ধু তীরে

Ans:-খ. যজ্ঞ-যূপে

১৭.“দেবতা বাঁধা যজ্ঞ-যূপে”—এই দেবতা আসলে কে?

ক.দেবাদিদেব মহাদেব
খ.পরমপিতা ব্রহ্মা
গ.দেশমাতৃকা
ঘ. দেশ নেতা

ans:-গ. দেশমাতৃকা

১৮.“এই তো রে তার আসার সময়”—কার আসার সময়?

ক. স্বাধীনতার
খ. ব্রিটিশ শক্তির
গ. মহাকাল সারথির
ঘ. চির সুন্দরের

ans:-গ. মহাকাল সারথির

১৯.‘রক্ত-তড়িৎ চাবুক হানে’—কে রক্ত-তড়িৎ চাবুক হানে?

ক. দিগম্বরের জটা
খ. মহাকাল সারথি
গ.কালবৈশাখী ঝড়
ঘ. জ্বালামুখী ধূমকেতু

ans:-খ. মহাকাল সারথি

২০.“রণিয়ে ওঠে হ্রেষার কাঁদন”—‘হ্রেষা’ কী?

ক. কুকুরের ডাক
খ. বিড়ালের ডাক
গ. ময়ূরের ডাক
ঘ.ঘোড়ার ডাক

ans:-ঘ.ঘোড়ার ডাক

২১.হ্রেষার কাঁদন কোথায় রণিয়ে ওঠে?

ক.বজ্রগানে ঝড় তুফানে
খ. নীল খিলানে
গ. অন্ধকূপে
ঘ.ত্রস্ত জটায়

ans:-ক.বজ্রগানে ঝড় তুফানে

‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা গুরুত্বপূর্ণ SAQ :

১. ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’! কবি কাদের জয়ধ্বনি করতে বলেছেন?

ans:- কাজী নজরুল ইসলামের ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় কবি পরাধীন ভারতের মুক্তিকামী ও স্বাধীনতা-প্রত্যাশী জনগণকে মহাপ্রলয়ের জয়ধ্বনি করতে বলেছেন।

২.“ওরে ওই স্তব্ধ চরাচর।”- ‘চরাচর’ স্তব্ধ কেন?

ans:-রুদ্রতাণ্ডবের মধ্য দিয়ে ভয়ংকরের বেশে ধ্বংসের দেবতার আবির্ভাবে সমগ্র চরাচর ভীতসন্ত্রস্ত ও বিভ্রান্ত। আসন্ন বিনাশের যেন তারা প্রহর গুনছে। তাই চরাচর স্তব্ধ।

৩.“দ্বাদশ রবির বহ্নিজ্বালা”—দ্বাদশ রবির নামগুলি কী কী?

ans:- কাজী নজরুল ইসলামের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় পুরাণের অনুষঙ্গে দ্বাদশ রবি হল—অর্থমা, মিত্র, বরুণ, অংশ, ভগ, ইন্দ্র, বিবস্বৎ, পূষা, ত্বষ্টা,সবিতা, পর্জন্য, বিষু প্রমুখ।

৪.“দ্বাদশ রবির বহ্নিজ্বালা” ভয়াল কেন?

ans:-প্রখর দ্বিপ্রহরের তীব্র দাবদাহে সমগ্র পৃথিবী যখন অনলদগ্ধ, তখন সৌরতেজের ভীষণতাকে ‘ভয়াল’ বলে চিহ্নিত করেছেন কবি।

৫.“সপ্ত মহাসিন্ধু দোলে”—’সপ্ত মহাসিন্ধু’ কী ?

ans:-পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে ‘সপ্ত মহাসিন্ধু’ হল—লবণ, ইক্ষুরস,সুরা, দধি, ক্ষীর, স্বাদুদক এবং ঘৃত।

৬.“মাভৈঃ মাভৈঃ “-মাভৈঃ শব্দের অর্থ কী?

ans:- ‘মাভৈঃ’ সংস্কৃত শব্দ; এর অর্থ হল–অভয় সূচক বাণী অর্থাৎ ‘ভয় কোরো না’। স্বাধীনতা যুদ্ধযাত্রার প্রাকলগ্নে কবি পরাধীন ভারতের সৈনিকদের অভয় প্রদান করেছেন।

৭.“দিগম্বরের জটায় হাসে শিশু-চাঁদের কর।”—পংক্তিটির অর্থ কী?

ans:-শিবের জটায় চাঁদের অবস্থান। সেই চাঁদের জ্যোৎস্নায় হাস্যময় নবযুগের আগমনী বার্তা নির্দেশিত। এখানে, মৃত্যুঘাতী যুদ্ধের পর স্বাধীনতার ভোরের ইঙ্গিত
ব্যান্জিত।

৮.‘আসছে এবার অনাগত প্রলয়-নেশার নৃত্য পাগল,—‘নৃত্য পাগল’ কে?

ans:- নজরুলের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ‘নৃত্য পাগল’ বলতে, মুক্তিগামী মানুষের বৈপ্লবিক সত্তাকে কবি প্রলয়রূপী নটরাজের নৃত্যপরায়ণ রূপের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

৯.‘ওই নূতনের কেতন ওড়ে’—‘নূতনের কেতন ওড়ে বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

ans:-‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা অনুসারে,কালবৈশাখী ঝড় যেমন রুক্ষ-শুষ্ক ও জীর্ণ প্রকৃতির বুকে নতুন প্রাণের উদ্দামতা বহন করে আনে, কবি সেভাবেই পরাধীন দেশের প্রাচীন অচলায়তনকে ভেঙে ‘নূতন’ জীবন ও মূল্যবোধের সূচনাবার্তা ঘোষণা করতে চেয়েছেন।

১০.’ওই আসে সুন্দর’ – ‘সুন্দর’ কীভাবে আসে?

ans:-‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা অনুসারে সুন্দর’, ‘কালভয়ংকরের বেশে’ অর্থাৎ রুদ্ররূপী প্রলয়ের রূপ ধরে আসে।

দশম শ্রেণির কবিতা প্রলয়োল্লাস কবিতাটির থেকে আলোচনা করা MCQ ও SAQ গুলি তোমাদের কাজে লাগবে বলে আশা রাখি। লেখাটি ক্লাসের বাকি বন্ধুদের সাথে শেয়ার কর। পরবর্তী কোন ক্লাস পেতে চাও তা আমাদের কমেন্টে জানাও। নিয়মিত ভিডিও ক্লাসগুলি পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত থাকো।

The post দশম শ্রেণির কবিতা প্রলয়োল্লাস । কাজী নজরুল ইসলাম । MCQ ও SAQ appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/calss-x-bengali-poem-proloullas/feed/ 0
ভারতীয় সাহিত্য । অনুবাদ ও অনুষঙ্গ । কবীর । মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন WBSLST Bangla https://preronaacademy.com/bharatiya-sahitya-onusongo-kabir/ https://preronaacademy.com/bharatiya-sahitya-onusongo-kabir/#respond Tue, 25 Jul 2023 18:33:04 +0000 https://preronaacademy.com/?p=358 কবীর পরিচিতি :- প্রাচীন ভারতের একজন কবি যিনি সেই সময়ে দাঁড়িয়ে হিন্দু – মুসলমান সম্প্রীতির কথা বলেছিলেন। তার রচনা ভক্তি

The post ভারতীয় সাহিত্য । অনুবাদ ও অনুষঙ্গ । কবীর । মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন WBSLST Bangla appeared first on Prerona Academy.

]]>

কবীর

পরিচিতি :-

প্রাচীন ভারতের একজন কবি যিনি সেই সময়ে দাঁড়িয়ে হিন্দু – মুসলমান সম্প্রীতির কথা বলেছিলেন। তার রচনা ভক্তি আন্দোলনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করলেও তিনি আসলে প্রেমের কথা এবং জীবনের কথা বলেছিলেন যার মধ্যে প্রত্যক্ষ কোন তত্ত্ব ছিলনা। পরবর্তীকালে তার গান ও কবিতাকে সুফি ধারা এবং মরমিয়া বাদের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়।

জন্ম – আনুমানিক ১৪৪০ খ্রিঃ, বর্তমান বারানসীতে।

কবীর নামের তাৎপর্য – ‘কবীর’ নামটির উৎস আরবি ‘আল কবির’ যার অর্থ ‘মহান’।

আবির্ভাবকাল সংক্রান্ত মতভেদ – কবীরের সঠিক আবির্ভাবকাল নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। কারো মতে, তিনি ১৩৩৯ থেকে ১৪৪৮ খ্রিঃ পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। কেউ বলেন ১৪৪০ খ্রিঃ থেকে ১৫১৮ খ্রিঃ তাঁর সময়কাল।

পেশা- তাঁতি , জোলা বা সন্ত কবীর নামে পরিচিত।

বংশ পরিচয় সংক্রান্ত মতভেদ – প্রচলিত বিশ্বাসানুসারে কবীরের জন্ম হয়েছিল বারাণসীতে এক অবিবাহিতা ব্রাহ্মণীর হাতের তালু থেকে। পরে তিনি এক মুসলমান পরিবারে পালিত হন। ওয়েডলি বলেন, কবীরের জন্ম এক মুসলিম পরিবারেই। কেউ কেউ মনে করেন, কবীর বৈষ্ণবধর্ম প্রচারক রামানন্দের শিষ্য ছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবন সংক্রান্ত মতভেদ – কারো মতে, কবীর বিবাহ করেননি। আবার কেউ মনে করেন, তিনি ধনিয়া নামে এক মহিলাকে বিবাহ করেন। তাঁর কমল নামে এক পুত্র ও কামলি নামে এক কন্যাও ছিল এমন কথাও কেউ কেউ বলে থাকেন।

কবীরের দোঁহা:-

হিন্দি ভাষায় রচিত দুই পংক্তির কবিতাকে দোঁহা বলে। কবীরের কবিতাগুলি ‘দোঁহা’নামে পরিচিত। অবধি, ব্রজ ও ভোজপুরি ভাষায় রচিত তাঁর দোহা। কবীরের দোঁহার সংগ্রাহক ছিলেন কাশীমোহন সেন । সংগৃহীত সেই কবিতাগুলো রবীন্দ্রনাথ ইংরেজিতে অনুবাদ করেন ‘Song’s of Kabir’ -1915 ।

কবীরের দোঁহাগুলি মুখে মুখে প্রচলিত ছিল । পরে সংকলকগণ সেগুলিকে গ্রন্থিবদ্ধ করে প্রকাশ করেন । সেই গ্রন্থগুলির তালিকাটি দেখে নাও :

১. অখরাবলী (১৯১৩)
২. অনুরাগসাগর (১৯০২)
৩. আত্মবোধ (১৯০১)
৪. ভণিত প্রকাশ (১৮৮৩)
৫. বীজকবানী (১৮১০)
৬. বোধসাগর (১৯০৬)
৭. একোত্তরশতক (১৯২০)
৮. হংসমুক্তাবলী (১৮৯৩)
৯. হংসমুক্তা-শব্দাবলী (১৯০৫)
১০. জ্ঞানসমাজ (১৮৬৯)
১১. কবীরবোধ (১৮৯২)
১২. কবীর দর্পন (১৮৯৮)
১৩. কবীর-গ্রন্থাবলী (১৯২৮)
১৪. কবীর-সাগর (১৯০৬)
১৫. রমৈনী (১৮৬৮)
১৬. শব্দাবলী (১৯২২)
১৭. শতক (১৯০১)
১৮. উপদেশ রত্নাবলী (১৮৮২)
১৯. বীজকভাষ্য (১৯৫৬)
২০. বীজক কবীর দাস (১৯১৫)
২১. বীজকমূল
২২. কবীর দোহাবলী (১৯৫২)
২৩. কবীর গ্রন্থাবলী (১৯৫১)
২৪. কবীর সাখী সংগ্রহ (১৯১২)
২৫. কবীর রচনামৃত (১৯৬৫)
২৬. মূলবীজক (১৯৩৬)
২৭. সাখীগ্রন্থ (১৯৫০)
২৮. সংস্কৃত বীজক গ্রন্থ (১৯৫০)
২৯. কবীর-সাখী-সার (১৯৫৬)
৩০. কবীর রচনাবলী (১৯২০)

কবীরকে কেন্দ্র করে রচিত গ্রন্থতালিকা :

বাংলাগ্রন্থ –

১. কবীর : ক্ষিতিমোহন সেন
২. কবীর : প্রভাকর মাচওয়ে (অনুবাদ:প্রভাতমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়)

হিন্দি গ্রন্থ-

১. তারকনাথ অগ্রবাল, ‘কবীর পরিচয়’, কলিকাতা, বঙ্গীয় হিন্দি পরিষদ, ১৯৫১।
২. রামরতন ভাটনগর, ‘কবীর-সাহিত্য কী ভূমিকা’, এলাহাবাদ রামনারায়ণ লাল, ১৯৫০।
৩. পরশুরাম চতুর্বেদী, ‘কবীর-সাহিত্য কী পরখ’, এলাহাবাদ; ভারতী ভাণ্ডার, ১৯৫৪।

কবীরের অবদান :-

হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে বহু মানুষ তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করে । ছোটো ছোটো কবিতা বা শ্লোক রচনা করে তিনি নিজের বক্তব্য সুন্দরভাবে প্রকাশ করতে পারতেন । এগুলি কবীরের দোঁহা নামে খ্যাত । কবীরের অনুগামীদের কবীরপন্থী বলা হয় । কবীর ছিলেন একজন উচ্চ শ্রেণির কবি ও দার্শনিক । কবীরের দোঁহাগুলির মধ্যে দিয়ে উচ্চ দার্শনিক তত্ত্বের পরিচয় পাওয়া যায় । অপূর্ব কাব্য রসসিক্ত এই দোঁহাগুলি রচিত হয়েছিল অধিকাংশ সাধারণ মানুষের ভাষা হিন্দিতে । কারণ তাঁর মতে, সংস্কৃত হল বদ্ধ জলের মতো, কিন্তু ভাষা নদীর মতোই বেগবান হওয়া উচিত । কবীরের ধর্ম প্রচার হিন্দি ভাষা ও সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে ।

Important SAQ question :

১। কবীর নামটি কোন শব্দ থেকে এসেছে ?

উঃ- আল-কবীর ।

২। ‘আল-কবির’ শব্দটি কোন ধরনের শব্দ ?

উঃ আরবি।

৩। কবীর শব্দের অর্থ কী ?

উঃ মহান।

৪।ভারতের ভক্তি আন্দোলনের পথপ্রদর্শক কে ছিলেন ?

উঃ কবীর।

৫। কবীরের দোহার সংগ্রাহক কে ছিলেন ?

উঃ ক্ষিতিমোহন সেন ।

৬। কবীরের কবিতাগুলো কে কী বলা হয় ?

উঃ দোহা।

৭। ‘Songs of Kabir ‘ কার অনুবাদ ?

উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।

৮। রবীন্দ্রনাথ কবীরের কটি কবিতা ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন ?

উঃ ১০০টি ।

The post ভারতীয় সাহিত্য । অনুবাদ ও অনুষঙ্গ । কবীর । মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন WBSLST Bangla appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/bharatiya-sahitya-onusongo-kabir/feed/ 0
বাংলা গদ্যের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস https://preronaacademy.com/ishwar-chandra-vidyasagar-contribution/ https://preronaacademy.com/ishwar-chandra-vidyasagar-contribution/#respond Sun, 25 Jun 2023 14:45:27 +0000 https://preronaacademy.com/?p=341 ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ( ১৮২০-১৮৯১) বাংলা গদ্যের জনক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮২০ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে সেপ্টেম্বর (১২২৭ সনের ১২ আশ্বিন) পশ্চিম মেদনীপুরের বীরসিংহ

The post বাংলা গদ্যের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস appeared first on Prerona Academy.

]]>

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ( ১৮২০-১৮৯১)

বাংলা গদ্যের জনক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮২০ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে সেপ্টেম্বর (১২২৭ সনের ১২ আশ্বিন) পশ্চিম মেদনীপুরের বীরসিংহ গ্রামে রক্ষণশীল এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা-ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। মাতা- ভগবতী দেবী। ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক অক্ষয়কুমার অসুস্থ হলে বিদ্যাসাগর সম্পাদক হন এবং ১৮৪৭ – ১৮৬৫ পর্যন্ত এই পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। স্মৃতিশাস্ত্রে অভাবনীয় কৃতিত্বের পরিচয় দিয়ে ঈশ্বরচন্দ্র ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি লাভ করেন।

বিদ্যাসাগর ১৮৪১ খ্রিস্টাব্দের ২৯শে ডিসেম্বর ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রধান পণ্ডিতের পদে নিযুক্ত হন। সেখানে পাঁচ বছর তিনি কর্মে নিযুক্ত ছিলেন। ১৮৫৬ সালে ২৬ জুলাই বিধবা বিবাহ আইন বিধিবদ্ধ করেন। ১৮৬৪ সালে ইংল্যান্ডের রয়েল এশিয়াটিক সোসাইটির সদস্য পদে নির্বাচিত হন। ১৮৮০ সালে ভারত সরকার সি. আই. ই উপাধিতে ভূষিত করেন।

বিদ্যাসাগর সর্বপ্রথম বাংলা সাধু গদ্যের একটি মান্য ধ্রুবক নির্দেশনা করেন। প্রয়োজনবোধে সেই গদ্যে চলিত ভাষার গতিশীলতাও যুক্ত করেন। কল্পনা ও স্বকীয় পাণ্ডিত্যের সংমিশ্রণে যে গদ্যভাষার জন্ম তিনি দেন, তা ছিল সরস, সুমধুর, সুশ্রাব্য, ছন্দোময় ও গতিশীল। এই অর্থে তিনি ছিলেন বাংলা গদ্যের নব জন্মদাতা। তিনি বাংলা আধুনিক গদ্যের জনক।
মান্য সাধু বাংলা গদ্যের শিল্পরূপটি ঠিক কীরকম হতে পারে, তার প্রথম আভাস পাওয়া গিয়েছিল, সংস্কৃত সাহিত্য থেকে অনূদিত বিদ্যাসাগরের বাংলা রচনাগুলিতে।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের রচনাবলী:-

১.অনুবাদমমূলক রচনা:-

ক) ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’ – ১৮৪৭ খ্রিঃ ( হিন্দী গ্রন্থ ‘বৈতাল পচ্চীসী’থেকে অনুবাদ)
খ) ‘বাঙ্গালার ইতিহাস’ – ১৮৪৮ খ্রিঃ (মার্শম্যানের ‘History of Bengal’ এর কয়েকটি অধ্যায় অবলম্বনে) ।
গ) ‘জীবন চরিত’ – ১৮৪৯ খ্রিঃ (চেম্বার্সের ‘Biographies’অবলম্বনে)
ঘ) ‘বোধোদয়’ -১৮৫১ খ্রিঃ (চেম্বার্সের Rudiments of Knowledge অবলম্বনে)
ঙ) ‘শকুন্তলা’ -১৮৫৪ খ্রিঃ (কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম’ নাটকের স্বচ্ছন্দ গদ্যানুবাদ)
চ) ‘কথামালা’- ১৮৫৬ খ্রিঃ (ঈশপের ‘ফেবল্স অবলম্বনে)
ছ) ‘সীতার বনবাস’ – ১৮৬০ খ্রিঃ (ভবভূতির ‘উত্তরচরিত’ – এর প্রথম দুই অঙ্ক ও বাল্মীকি রামায়ণের উত্তর কাণ্ডের আখ্যান অনুসরণে) ।জ) ‘আখ্যান মঞ্জরি’- ১৮৬৩
ঝ) ‘ভ্রান্তিবিলাস’ – ১৮৬৯ খ্রিঃ (শেক্সপীয়রের ‘Comedy of Errors’ থেকে)

২. মৌলিক রচনা :

ক)”সংস্কৃত ভাষা ও সংস্কৃত সাহিত্য শাস্ত্রবিষয়ক প্রস্তাব”(১৮৫৩)- বাঙালির লেখা সংস্কৃত সাহিত্যের
প্রথম ইতিহাস।

খ) ”বিদ্যাসাগর চরিত” -১৮৯১ খ্রিঃ (অসম্পূর্ণ, এটি তাঁর স্বরচিত জীবনচরিত)

গ) ‘প্রভাবতী সম্ভাষণ-‘ (বন্ধু রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বালিকা কন্যা প্রভাবতীর মৃত্যুতে রচিত বাংলা গদ্যে প্রথম শোককাব্য।)

৩. লঘু রচনা :-

ক) ‘অতি অল্প হইল’ – (১৮৭৩ খ্রিঃ) কস্যচিৎ উপযুক্তভাইপোস্য ছদ্মনামে।
খ) ‘আবার অতি অল্প হইল’ – (১৮৭৩ খ্রিঃ) কস্যচিৎ উপযুক্তভাইপোস্য ছদ্মনামে।
গ) ‘ব্রজবিলাস – (১৮৮৪ খ্রিঃ) কস্যচিৎ উপযুক্তভাইপোস্য ছদ্মনামে ।
ঘ) ‘রত্নপরীক্ষা’- (১৮৮৬ খ্রিঃ) কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোসহচরস্য ছদ্মনামে ।

৪.সামাজ সংস্কারমূলক রচনা :-

ক) ‘বিধবা বিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব’ – (১ম ও ২য় খণ্ড) – ১৮৫৫ খ্রিঃ
খ) ‘বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক বিচার’ (১ম খণ্ড – ১৮৭১ খ্রিঃ, ২য়খণ্ড-১৮৭৩ খ্রিঃ)

৫.শিক্ষামূলক রচনা :-‘বর্ণপরিচয়’ (১ম ও ২য় ভাগ ১৮৫৫) ও ‘সংস্কৃত ব্যাকরণের উপক্রমণিকা’(১৮৫১)

Read More : কাব্য সাহিত্যে বিহারীলাল চক্রবর্তীর অবদান

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর গদ্যশৈলির বৈশিষ্ট্য :-

ক) সাধু গদ্যভাষার মধ্যে ছন্দচেতনা এনেছেন এবং গদ্যে সুর, তাল, লয়, যতি ইত্যাদির প্রয়োগ কুশলতায় গদ্যের মধ্যে প্রবহমানতা এনেছে ।

খ) বঙ্কিমচন্দ্রের আগেই বিদ্যাসাগর বিষয়ের প্রয়োজন অনুসারে ভাষাকে জটিল ও সরল করেছিলেন।
বিরতি ও যতি চিহ্ন দ্বারা সংশোধিত করে বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যে বোধের ভাষাকে রসের পর্যায়ে উন্নীত করেন।

গ) গদ্যকে উপবাক্যের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত করে, বাক্যকে ভাবানুসারে ছন্দস্রোত এনে, বাক্যের গতির মধ্যে পূর্ণতা এনেছেন বিদ্যাসাগর।

ঘ)সংযুক্ত ক্রিয়াপদের ব্যবহার তাঁর গদ্যে বিশেষভাবে চোখে পড়ে—যেমন, গমন করিলেন, শ্রবণ করিলেন ইত্যাদি।

ঙ) বাংলা গদ্যকে সংহত করার জন্য সমাসবদ্ধ পদ ব্যবহার করলেও তিনি গদ্যকে প্রতিকূলতা থেকে মুক্ত করেছেন ও অনেক পরিমাণে সরল করে দিয়েছেন।
কমা ও সেমিকোলনের ব্যবহার বিদ্যাসাগরই প্রথম যথার্থভাবে করতে পেরেছিলেন। ইংরেজি বাক্যর গঠনরীতি (SVO) তার রচনায় চোখে পড়ে ।

Important SAQ question

1)ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম কত সালে ?

উঃ – ১৮২০ খ্রি.।

2) আধুনিক বাংলা গদ্যের প্রকৃত জনক কাকে বলা যায় ?

উঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে ।

3) বিদ্যাসাগরের একটি অসমাপ্ত লেখার নাম লেখো।

উঃ বিদ্যাসাগর চরিত (১৮৯১)।

4)বিদ্যাসাগরের কোন রচনাটি মার্শম্যানের হিষ্ট্রি অফ বেঙ্গল অবলম্বনে রচিত ?

উঃ বাঙ্গালার ইতিহাস।

4) বিদ্যাসাগর রচিত শিশুপাঠ্য গ্রন্থের নাম ও তার প্রকাশকাল লেখো ।

উঃ ‘বর্ণপরিচয়’ (১৮৫৫)।

5) শেক্সপিয়ারের কমেডি অফ এরর্স এর অবলম্বনে বিদ্যাসাগরের রচনা কোনটি ?

উঃ ‘ভ্রান্তিবিলাস’ (১৮৬৯)।

6) বাংলা সাহিত্যে গদ্যে লেখা প্রথম শোক গ্রন্থ কোনটি ?

উঃ প্রভাবতী সম্ভাষণ।

7) ঈশপের ফেবলস এর অনুকরণে বিদ্যাসাগর কোন গ্রন্থটি রচনা করেন ?

উঃ ‘কথামালা’ (১৮৫৬)

8) ‘কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোস্য’ ছদ্মনামে রচিত বিদ্যাসাগরের দুটি রচনার নাম লেখো।

উঃ ‘অতি অল্প হইল’ (১৮৭৩), ‘ব্রজবিলাস’(১৮৮৪)।

9) বিদ্যাসাগরের একটি অনুবাদ গ্রন্থের নাম লেখ ।

উঃ ‘শকুন্তলা’ (১৮৫৪)

10) বিদ্যাসাগরের এমন একটি রচনার নাম লেখো যেটি প্রকাশিত হয় নি ?

উঃ ‘বাসুদেব চরিত’ , যা ভগবত অবলম্বনে রচিত হয়েছে।

11) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থের নাম কী ?

উ:- বেতাল পঞ্চবিংশতি।

12) ‘বিদ্যাসাগর-চরিত’- এর লেখক কে ?

উ:- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

বাংলা গদ্যের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান লেখাটি তোমাদের কতটা কাজে লাগলো তা আমাদের কমেন্টে অবশ্যই জানাও। এই ধরনের আর কোন কোন লেখা পেতে চাও তা আমাদের অবশ্যই জানাও। সমস্ত ক্লাসের নিয়মিত ভিডিও পেতে Prerona Academy YouTube চ্যানেলটিতে অবশ্যই যুক্ত থাকো।

The post বাংলা গদ্যের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/ishwar-chandra-vidyasagar-contribution/feed/ 0
কাব্য সাহিত্যে বিহারীলাল চক্রবর্তীর অবদান। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস https://preronaacademy.com/biharilal-chakraborty-contribution/ https://preronaacademy.com/biharilal-chakraborty-contribution/#respond Sun, 18 Jun 2023 17:19:38 +0000 https://preronaacademy.com/?p=337 কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী সর্বপ্রথম গীতিকবিতার প্রতি সর্বাত্মকভাবে আকৃষ্ট হয়েছিলেন এবং মহাকাব্যের যুগে তিনি নিজের মনে কাব্যালোকের সুর সাধনা করেছেন। পরবর্তীকালে

The post কাব্য সাহিত্যে বিহারীলাল চক্রবর্তীর অবদান। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস appeared first on Prerona Academy.

]]>

কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী সর্বপ্রথম গীতিকবিতার প্রতি সর্বাত্মকভাবে আকৃষ্ট হয়েছিলেন এবং মহাকাব্যের যুগে তিনি নিজের মনে কাব্যালোকের সুর সাধনা করেছেন। পরবর্তীকালে যখন মহাকাব্যের জলোচ্ছ্বাস মন্দীভূত হয়ে এল, তখন গীতিকবিতা প্রাধান্য পেল। বাংলা কাব্যের পালাবদলের ইতিহাসে প্রধান সূত্রকার কবি বিহারীলাল। পরবর্তীকালে তার শিষ্য সম্প্রদায় গীতিকবিতায় অবতীর্ণ হয়ে যেন তাঁর সুরেই সুর মিলিয়েছেন। বিহারীলাল চক্রবর্তী বাংলায় রোমান্টিক গীতিকাব্যের প্রথম ও সার্থক পথপ্রদর্শক। তিনি প্রথম আত্ম-ভাবমূলক গীতিকবিতা রচনা করেন। তাই রবীন্দ্রনাথ বিহারীলালকে “ভোরের পাখি” রূপে অভিহিত করেন –

সে প্রত্যুষে অধিক লোক জাগে নাই এবং সাহিত্যকুঞ্জে বিচিত্র কলগীত কূজিত হইয়া উঠে নাই। সেই উষালোকে কেবল একটি ভোরের পাখি সুমিষ্ট সুন্দর সুরে গান ধরিয়াছিল। সে সুর তাহার নিজের।’’ -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বিহারীলালের কাব্যসমূহ :

১৷ স্বপ্নদর্শন (১৮৫৮)
২৷ সঙ্গীত শতক(১৮৬২)
৩৷ নিসর্গসন্দর্শন (১৮৭০)
৪৷ বঙ্গসুন্দরী(১৮৭০)
৫৷ বন্ধু বিয়োগ(১৮৭০)
৬৷ প্রেম প্রবাহিনী(১৮৭০)
৭৷ সারদামঙ্গল(১৮৭৯)
৮৷ সাধের আসন(১৮৮৯)
৯৷ মায়াদেবী(১৮৮২)
১০৷ ধূমকেতু(১৮৮২)
১১৷ নিসর্গ সঙ্গীত (১৮৮২)
১২৷ বাউল বিংশতি (১৮৮৭)
১৩৷ গোধূলী (১৮৯৯)

বিহারীলালের কাব্য ও সেগুলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :

1 “সঙ্গীত শতক” (১৮৬২) –

প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
গ্রন্থ টি ১০০ টি সঙ্গীতের সমন্বয়।
এই কাব্যগ্রন্থ টি প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে বিহারীলাল চক্রবর্তী ঠাকুর পরিবারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এই কাব্যগ্রন্থের সমাপ্তি সূচক কবিতা টি কবিপত্নীর উদ্দেশ্যে রচিত।

2) “বঙ্গসুন্দরী” (১৮৭০) –

কাব্যটি ১০ টি সর্গে বিভক্ত।
প্রথম সংস্করণে ছিল ৯ টি সর্গ। পরবর্তীকালে দ্বিতীয় সংস্করণে আরও একটি সর্গ ‘সুরবালা’ সংযোজিত হয়।
১০টি সর্গ হল যথাক্রমে – ‘উপহার’, ‘নারীবন্দনা’, ‘সুরবালা’, ‘চিরপরাধিনী’, ‘করুণা সুন্দরী’, ‘বিষাদিনী’,‘প্রিয়সখী’, ‘বিরহিণী’, ‘প্রিয়তমা’ এবং ‘অভাগিনী’।
প্রতিটি সর্গের প্রারম্ভে একটি করে উদ্ধৃতি রয়েছে। উদ্ধৃতিগুলি কালিদাস, ভবভূতি, ভারবি এবং বায়রণের।

3) “নিসর্গসন্দর্শন” (১৮৭০) –

এই কাব্যগ্রন্থ টি প্রথম ‘অবোধবন্ধু’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
কাব্যগ্রন্থটি মোট ৭ টি সর্গে বিভক্ত। সর্গগুলি হল ‘চিন্তা’, ‘সমুদ্ৰ দৰ্শন’, ‘বীরাঙ্গণা’, ‘নভোমণ্ডল’,‘ঝটিকার রজনী’, ‘ঝটিকা সম্ভোগ’ এবং ‘প্রভাত’।
কাব্যের দ্বিতীয় সর্গ ‘সমুদ্র দর্শন’ পুরীর সমুদ্র দর্শনের পর লেখা।

4) “বন্ধুবিয়োগ” (১৮৭০) –

কাব্যগ্রন্থ টি প্রথম ‘পূর্ণিমা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
৪টি সর্গে রচিত শোককাব্য। সর্গগুলি হল – ‘পূর্ণ –বিজয়’, ‘কৈলাস’, ‘সরলা’ এবং ‘রামচন্দ্ৰ’।
কাব্যে বিহারীলাল চক্রবর্তী তাঁর ৪ বন্ধু – পূর্ণচন্দ্ৰ , কৈলাস, বিজয় ও রামচন্দ্র এবং তাঁর প্রথমা পত্নী অভয়া দেবী (সরলা দেবী) -র বিয়োগ ব্যথা ব্যক্ত করেছেন।
প্রথম সর্গ ‘পূর্ণ – বিজয়’ –এ কবি বন্ধু পূর্ণচন্দ্র এবং বিজয় সম্পর্কে তাঁর বেদনা নিবেদন করেছেন। দ্বিতীয় সর্গ ‘কৈলাস’ রচনা করেন বন্ধু কৈলাসের উদ্দেশ্যে।

5) “প্রেমপ্রবাহিনী” (১৮৭০) –

কাব্যগ্রন্থ টি প্রথম ১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দে ‘অবোধবন্ধু পত্রিকা’য় প্রকাশিত হয়।
৫টি সর্গে কাব্যটি রচিত।
সর্গগুলি হল – ‘পতন’, ‘বিরাগ’, ‘বিষাদ’, ‘অন্বেষণ’ এবং ‘নির্বাণ’।
এই কাব্যগ্রন্থের তৃতীয় এবং পঞ্চম সর্গের মধ্যে উজ্জ্বল কুমার মজুমদার Wordsworth আর Shelley -র প্রভাব লক্ষ্য করেছেন।

6) “সারদামঙ্গল” (১৮৭৯) –

বিহারীলাল চক্রবর্তীর শ্রেষ্ঠ গীতিকাব্য।
কাব্যগ্রন্থটি ‘আর্যদর্শন’ পত্রিকা’য় প্রকাশিত হয়।
‘ঊষা’ বন্দনা দিয়ে কাব্যের শুরু –
“চরণ কমলে লেখা
আধ আধ রবি রেখা
সর্বাঙ্গে গোলাপ আভা, সীমান্তে শুকতারা
জ্বলে”।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়- “সারদামঙ্গল এক অপরূপ কাব্য”।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “বাল্মীকি প্রতিভা”তে বিহারীলাল চক্রবর্তীর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।

7) “সাধের আসন” (১৮৮৯) –

কাব্যের প্রেক্ষাপটে আছে কবির মানসলক্ষী সম্পর্কে কাদম্বরী দেবীর অনুসন্ধিৎসা এবং কাদম্বরী দেবীর মৃত্যু ।
কাব্যগ্রন্থটি উৎসর্গ করেন কাদম্বরী দেবী-কে।
কাব্যগ্রন্থের প্রথম ৩ টি সর্গ ‘মালঞ্চ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
এই কাব্যগ্রন্থে কবি তাঁর কল্পিত নারী মূর্তি সারদার স্বরূপ স্পষ্টভাবে চিত্রিত করেছেন।

8) ‘বাউলবিংশতি’ (১৮৮৭) –

এই গ্রন্থটি কবির ২০টি বাউল গানের সংকলন ।

বিহারীলালের কাব্যব্যভাবনা ও কবি বৈশিষ্ট্য:-

বিহারীলাল রোমান্টিক কবি। তাঁর কাব্যে রোমান্টিকতার সঙ্গে মিস্টিসিজম এর সম্পর্ক নিকট ও নিবিড়।

বাংলা সাহিত্য যখন মহাকাব্যের গাম্ভীর্যে মহামান্বিত এবং আখ্যানকাব্য ধারায় উজ্জ্বল তখন বিহারীলালের কাব্যে গীতি কবিতার সুর ঝংকার হয়।

বিহারীলাল সুন্দরীর উপাসক। বিশ্বের তাবৎ পদার্থের অন্তরালে এক পরম-সুন্দরকে তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন।
তার কাব্যে ক্লাসিক রীতির অনেকটাই ছিন্ন হয়েছে, যদিও সে প্রভাব তিনি সম্পূর্ণ কাটিয়ে উঠতে পারেনি।

বিহারীলাল গীতি শাখার এক অভিনব যুগ সৃষ্টি করলেও বিহারীলাল সে যুগে গীতিকাব্যের যুগন্ধর পুরুষ হতে পারেননি। তার মধ্যে‌ গীতিকাব্যের নব সম্ভাবনা মুকুলিত হলেও পরবর্তীকালে তার শিষ্যদের মধ্যে তা প্রস্ফুটিত হয়ে উঠেছে এ কথা অনস্বীকার্য।

Read More : কাব্য সাহিত্যে মধুসূদন দত্তর অবদান

Important SAQ question :

1) বিহারীলাল চক্রবর্তীর বংশগত উপাধি কী ?

উঃ চট্টোপাধ্যায় ।

2)’সারদামঙ্গল’ কাব্যটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ?

উঃ আর্যদর্শন।

3) বিহারীলালের শ্রেষ্ঠ গীতিকাব্য কোনটি ?

উঃ সারদামঙ্গল।

4) ‘সাধের আসন’ তিনি কাকে উৎসর্গ করেন ?

উঃ কাদম্বরী দেবীকে।

5) ‘বন্ধুবিয়োগ’ কাব্যটির মূল বিষয়বস্তু কী ?

উঃ ‘বন্ধুবিয়োগ’ কাব্যে বিহারীলাল চক্রবর্তী তাঁর চার বন্ধু – পূর্ণচন্দ্ৰ, কৈলাস, বিজয় ও রামচন্দ্র এবং তাঁর প্রথমা পত্নী অভয়া দেবী (সরলা দেবী) -র বিয়োগ ব্যথা ব্যক্ত করেছেন।

6) বিহারীলালকে কে ‘ভোরের পাখি’ নামে আখ্যায়িত করেছেন ?

উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

7) ‘বঙ্গসুন্দরী’ কাব্যটি ক’টি সর্গে বিভক্ত ?

উঃ ১০টি।

8) কোন কাব্যগ্রন্থ রচনার মাধ্যমে তিনি ঠাকুর পরিবারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ?

উঃ ‘সঙ্গীতশতক’।

9) ‘বাউলবিংশতি’ কার লেখা ?

উঃ বিহারীলাল চক্রবর্তীর লেখা।

10) ‘সাধের আসন’ কাব্যটি কবে প্রকাশিত হয় ?

উঃ ১৮৮৮ খ্রি।

11)ত্রিবিধ বিরহ কী ?

উত্তর:- মৈত্রী বিরহ , প্রীতি বিরহ , সরস্বতী বিরহ ইত্যাদি । এগুলিকে ত্রিবিধ বলে ।

12)সারদামঙ্গল কাব্য কয়টি গীতি আছে ?

উত্তর:- সারদামঙ্গল কাব্য মোট সাতটি গীতি আছে।

কাব্য সাহিত্যে বিহারীলাল চক্রবর্তীর অবদান লেখাটি তোমাদের কতটা কাজে লাগলো তা আমাদের কমেন্টে অবশ্যই জানাও। এই ধরনের আর কোন কোন লেখা পেতে চাও তা আমাদের অবশ্যই জানাও। সমস্ত ক্লাসের নিয়মিত ভিডিও পেতে Prerona Academy YouTube চ্যানেলটিতে অবশ্যই যুক্ত থাকো।

The post কাব্য সাহিত্যে বিহারীলাল চক্রবর্তীর অবদান। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/biharilal-chakraborty-contribution/feed/ 0
বাংলা নাট্য সাহিত্যে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অবদান । Dwijendralal Roy https://preronaacademy.com/contribution-of-dwijendralal-roy/ https://preronaacademy.com/contribution-of-dwijendralal-roy/#respond Wed, 17 May 2023 18:39:10 +0000 https://preronaacademy.com/?p=311 বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার এবং ঐতিহাসিক নাটকের শ্রেষ্ঠ রচয়িতা দ্বিজেন্দ্রলাল রায় আজও রঙ্গমঞ্চের এক উজ্জ্বল পুরুষরূপে অনন্য মর্যাদার সম্মানিত ব্যক্তি।

The post বাংলা নাট্য সাহিত্যে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অবদান । Dwijendralal Roy appeared first on Prerona Academy.

]]>

বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার এবং ঐতিহাসিক নাটকের শ্রেষ্ঠ রচয়িতা দ্বিজেন্দ্রলাল রায় আজও রঙ্গমঞ্চের এক উজ্জ্বল পুরুষরূপে অনন্য মর্যাদার সম্মানিত ব্যক্তি। ১৮৬৩ খ্রি. নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন । পিতা কার্তিকেয়চন্দ্র রায় ,মাতা প্রসন্নময়ী দেবী। তিনি ‘ভারতবর্ষ’ নামক একটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেন। বিদেশে অধ্যয়নকালে তিনি পাশ্চাত্য নাট্য ভাবনার সঙ্গে পরিচিত হন। তাঁর নাটক পাঠ করে কিংবা নাটকের অভিনয় দেখে আজও বাঙালির মুগ্ধতার সীমা নেই । তাঁর সৃষ্ট নাটক সাহিত্যরূপে যেমন সমৃদ্ধ হয়েছে মঞ্চায়নের ক্ষেত্রেও তাদের উৎকর্ষ সমধিক। বিশেষ করে পাশ্চাত্য আঙ্গিক নাট্য সাহিত্যে প্রয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অবদান ছিল যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ । নাট্য সাহিত্যে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অবদান প্রধানত ঐতিহাসিক নাট্যকার রূপে । তাছাড়া উনিশ শতকের বাংলাদেশে নবচেতনার বিকাশে তাঁর নাটকগুলির ভূমিকা ছিল অসামান্য।

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের নাটক গুলিকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ-

(ক) ঐতিহাসিক নাটক :-

‘তারাবাঈ’ (১৯০৩), ‘প্রতাপসিংহ’ (১৯০৫), দুর্গাদাস’ (১৯০৬), ‘নুরজাহান’ (১৯০৮), ‘মেবার পতন’ (১৯০৮), ‘সোরাব রুস্তম’ (১৯০৮), ‘সাজাহান’ (১৯০৯), ‘চন্দ্রগুপ্ত’ (১৯১১), ‘সিংহল বিজয়’ (১৯১৫) প্রভৃতি।

(খ) সামাজিক নাটক :-

‘পরপারে’ (১৯১২), ‘বঙ্গনারী’ (১৯১৬) প্রভৃতি।

(গ) পৌরাণিক নাটক:-

‘পাষাণী’ (১৯০০), ‘সীতা’ (১৯০৮), ভীষ্ম’ (১৯১৪) প্রভৃতি।

(ঘ) প্রহসন :-

‘একঘরে’ (১৮৮৯), ‘কল্কি অবতার’ (১৮৯৫), ‘বিরহ'(১৮৯৭), ‘ত্র্যহস্পর্শ’ বা ‘সুখী পরিবার’ (১৯০০), ‘প্রায়শ্চিত্ত’ (১৯০২), ‘পুনর্জন্ম’ (১৯১১), ‘আনন্দ বিদায়’ (১৯১২) প্রভৃতি।

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের কয়েকটি নাটক বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :

১. কল্কি অবতার (১৮৯৫)
প্রথম প্রহসন
প্রধান চরিত্র – কল্কিদেব, বিমলেন্দু, বাচস্পতি

২. বিরহ (১৮৯৭)
প্রহসন
প্রধান চরিত্র – গোবিন্দচরণ, পীতাম্বর, চপলা
উৎসর্গ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩. ‘ত্র্যহস্পর্শ’(১৯০০)
প্রহসন
প্রধান চরিত্র – বিজয়গোপাল, ডাঃ ভূদেব

৪। প্রতাপসিংহ (১৯০৫)
অঙ্ক সংখ্যা – ৫টি
প্রধান চরিত্র – প্রতাপ, শক্তি সিংহ, আকবর
উৎসর্গ – দীনবন্ধু মিত্রকে

৫। নুরজাহান (১৯০৮)
ঐতিহাসিক নাটক
প্রধান চরিত্র – নূরজাহান, সেলিম, শের খাঁ।

৬। মেবার পতন (১৯০৮)
ঐতিহাসিক নাটক
অঙ্ক সংখ্যা – ৫টি
প্রধান চরিত্র – অমরসিংহ, কল্যাণী, মানসী
নাটকের বিখ্যাত গান – ”উঠেছে ওই নূতন বাতাস… কিসের শোক করিস ভাই—আবার তোরা মানুষ হ ।”

৭। সোরাব-রুস্তম (১৯০৮) –
অপেরা ধর্মী নাটক
ফেরদৌসি রচিত ‘শাহনামা’ কাহিনি অবলম্বনে রচিত ।
প্রধান চরিত্র – সোরাব, রুস্তম, তামিনা, কায়ুশ

৮। সাজাহান (১৯০৯)
ঐতিহাসিক নাটক
অঙ্ক সংখ্যা – ৫টি
প্রধান চরিত্র – সাজাহান, দিলদার, জাহানারা
এই নাটকে ব্যবহৃত পরিচিত গান –
১।’সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু অনলে পুড়িয়া গেল'(দ্বিতীয় অঙ্ক – চতুর্থ দৃশ্য),.
২।’ধনধান্য পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা’ (তৃতীয় অঙ্ক -ষষ্ঠ দৃশ্য),
৩।’সই কেবা শুনাইল শ্যামনাম’ (চতুর্থ অঙ্ক – প্রথম দৃশ্য),
উৎসর্গ – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে।

৯। চন্দ্রগুপ্ত (১৯১১)
ঐতিহাসিক নাটক
অঙ্ক সংখ্যা – ৫টি
প্রধান চরিত্র – চন্দ্রগুপ্ত, চাণক্য, হেলেন, সেলুকাস

Also Read : বাংলা নাট্য সাহিত্যে মাইকেল মধুসূদন দত্তের অবদান

নাটকের বিখ্যাত গান –

১। আর কেন মিছে আশা…,
২। ঘন তমসাবৃত অন্তর ধরণী,
৩। আজি গাও মহাগীত মহা আনন্দে,
৪। ওই মহাসিন্ধুর ওপার থেকে কী সঙ্গীত ভেসে আসে”।

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের নাট্য বৈশিষ্ট্য :

দ্বিজেন্দ্রলালকে প্রকৃত অর্থে বাংলা নাটকের নবযুগগের প্রবর্তক বলা যায়। প্রকৃতই নাটকে আধুনিকতার প্রথম স্রষ্টা । তিনি জাতির স্বদেশ প্রেমের হৃদস্পন্দন বুঝেছেন এবং তা যথাযথ প্রকাশ করেছেন নাটকে। তাঁর নাটকের তীব্র দ্বন্দ্ব-সংঘাত-সংকুল কাহিনি ও বিন্যাস পাঠক ও দর্শকদের চিত্তকে টানটান উত্তেজিত করে রাখে। তাঁর চরিত্র গুলি গভীর ভাবময় ও অন্তর্দ্বন্দ্বে তীব্র জর্জরিত- মানব চরিত্রের গভীরতার বহিঃপ্রকাশ তার নাটকে আছে সার্থকভাবে।
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের নাটকে সংগীতের প্রয়োগ একটা ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। বাংলা নাটকে নাটকীয় একোক্তিকে তিনিই প্রথম এত সার্থকভাবে প্রয়োগ করেন। তাঁর নাটকের ভাষা অপরূপ সমৃদ্ধ, তা তীক্ষ্ণ আবেগ ও ভাব উচ্ছাসিত যা মুহূর্তের মধ্যেই পাঠক ও দর্শকদের চিত্তকে মনমুগ্ধ করে তোলে।

Important SAQ question :

1) নাট্যকারের প্রথম সামাজিক নাটক কোনটি ?

উঃ পরপারে (১৯১২)

2) “ধনধান্যে পুষ্পে ভরা…..” গানটি কোন নাটকের কত অঙ্কে আছে ?

উঃ ‘সাজাহান’ নাটকের তৃতীয় অঙ্কে ষষ্ঠ দৃশ্যে ।

3) দ্বিজেন্দ্রলাল রায় তাঁর কোন নাটকটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ করেন ?

উঃ বিরহ (প্রহসন) ।

4) ‘নুরজাহান’ নাটকের প্রকাশকাল কত ?

উঃ ১৯০৮খ্রি.।

5) দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের একটা অপেরাধর্মী নাটকের নাম লেখ ?

উঃ ‘সোবার রুস্তম’ (১৯০৮) ।

6) ‘সাজাহান’ নাটকটি নাট্যকার কাকে উৎসর্গ করেন ?

উঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে।

7) দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের শেষ নাটক কোনটি ?

উঃ ‘সিংহল বিজয়’ (১৯১৫)।

8) দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের দুটি প্রহসনের নাম লেখো।

উঃ ‘ত্র্যহস্পর্শ’ ও ‘বিরহ’ ।

9) “আনন্দবিদায়” নাটকটি কার রচনা ? এর প্রকাশকাল কত ?

উঃ দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের লেখা । ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দ।

10) “সই কেবা শুনাইল শ্যাম নাম …” কোন নাটকে এই গান ব্যবহার করেছে নাট্যকার ?

উঃ ‘সাজাহান’।

11) দ্বিজেন্দ্রলাল রায় তাঁর কোন নাটকটি দীনবন্ধু মিত্রকে উৎসর্গ করেন ?

উঃ ‘প্রতাপসিংহ’ ।

12) দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের কোন প্রহসন রবীন্দ্রনাথকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে লেখা ?

উঃ “আনন্দবিদায়”।

সমস্ত ক্লাসগুলি ভিডিও আকারে পেতে যুক্ত থাকো আমাদের ইউটিউব চ্যানেলের সাথে।

The post বাংলা নাট্য সাহিত্যে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অবদান । Dwijendralal Roy appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/contribution-of-dwijendralal-roy/feed/ 0
মৌর্য বংশ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর। ভারতের ইতিহাস । History MCQ Bangla https://preronaacademy.com/mauryan-period-mcq-bangla/ https://preronaacademy.com/mauryan-period-mcq-bangla/#respond Thu, 11 May 2023 17:11:07 +0000 https://preronaacademy.com/?p=291 মৌর্য বংশ (321-184 খ্রিস্টপূর্ব) ● মৌর্য শাসনকালে মগধ সাম্রাজ্য খ্যাতির শিখরে পৌঁছোয়।● তক্ষশীলা ও বেনারস বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠে।● স্থাপত্য: অশোক

The post মৌর্য বংশ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর। ভারতের ইতিহাস । History MCQ Bangla appeared first on Prerona Academy.

]]>

মৌর্য বংশ (321-184 খ্রিস্টপূর্ব)

● মৌর্য শাসনকালে মগধ সাম্রাজ্য খ্যাতির শিখরে পৌঁছোয়।
● তক্ষশীলা ও বেনারস বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠে।
● স্থাপত্য: অশোক স্তম্ভ ও ধর্মচক্র, সাঁচি স্তুপ, বার্বার গুহা।
● সাহিত্য: কৌটিল্যের ‘অর্থশাস্ত্র’, মেগাস্থিনিসের ‘ইন্ডিকা’, ‘পুরাণ ও ‘জাতকের’ গল্প।

● বিশাখদত্তের ‘মুদ্রারাক্ষস’ গুপ্ত যুগে রচিত। কিন্তু কাহিনির বিষয় মৌর্য যুগ।

চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য (321-298 খ্রিস্টপূর্ব)

● মৌর্য বংশের প্রতিষ্ঠাতা।
● প্রথমবার সমগ্র উত্তর ভারতকে এক শাসকের অধীনে আনেন।
● কৌটিল্যের সহায়তায় ধননন্দকে পরাজিত করেন।
● ভদ্রবাহুর নিকট জৈনধর্ম গ্রহণ করেন।
● ভদ্রবাহুর সঙ্গে দক্ষিণাপথ ভ্রমণ করেন।
● তাঁর সময়ে সীমান্তরাজা পুষ্পগুপ্ত সুদর্শন হ্রদ খনন করেন।
● 305 খ্রিস্টপূর্বে সেলুকাসকে ভারত থেকে বিতাড়িত করেন।
● সমকালীন গ্রন্থ: বিশাখদত্তের ‘মুদ্রারাক্ষস’ ও ‘দেবীচন্দ্রগুপ্তম’।

● মৃত্যুস্থান: শ্রাবণবেলাগোলা।

বিন্দুসার (298-273 খ্রিস্টপূর্ব)

● উপাধি: অমিত্রাঘাত (গ্রিক), বিন্দুপাল (চিনা), সিংহসেন (জৈন), ভদ্রসর(বায়ুপুরাণ)।
● জৈনধর্ম ত্যাগ করে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন।
● গ্রিক দূত ডেইমাকাস ও দিওনিসিয়াস তাঁর রাজসভায় আসেন।
● আজিবক তাঁর সভাসদ ছিলেন।
● রাধাগুপ্ত ছিলেন তাঁর মন্ত্রী।

অশোক

● সিংহাসন আরোহণ: 273 খ্রিস্টপূর্ব।

রাজ্যাভিষেক: 269 খ্রিস্টপূর্ব।

● সন্ন্যাসী উপগুপ্তের নিকট বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন।

● পাটলিপুত্রে তৃতীয় বৌদ্ধ সম্মেলন।

● পুত্র: মহেন্দ্ৰ, কন্যা: সংঘমিত্রা।

● অশোকের জীবনের তিনটি পর্যায়: কামাশোক, চণ্ডাশোক ও ধর্মাশোক।

● প্রথম রাজা যিনি অনুশাসন প্রবর্তন করেন।

● তাঁর লেখগুলি ব্রাহ্মী লিপিতে প্রাকৃত ভাষায় লিখিত।

● মাসকি, গুর্জর, নিত্তুর ও দেগোলান লেখ থেকে জানা যায় তার পুরো নাম ‘দেবনামপ্রিয় অশোক প্রিয়দর্শী।

● সমকালীন গ্রন্থ: কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র ও ভদ্রবাহুর কল্পসূত্র।

● বৌদ্ধরীতি অনুযায়ী তিনি 27 বছর রাজত্ব করেন।
তক্ষশীলা বিদ্রোহ দমন করেন।

● লাজুক ও স্ত্রীমহাপাত্র পদ প্রবর্তন করেন।

● রাজা কুনাল অশোকের পর সিংহাসনে বসেন।

● প্রশস্তি ও লেখ: অশোকের প্রধান শিলালিপির সংখ্যা 14টি। নিজের লেখগুলিতে তিনি নিজেকে ‘জৈবপুত্র’ বলে অভিহিত করেছেন।

দশম লেখ: যুদ্ধের পরিবর্তে ধর্ম দ্বারা রাজ্যবিস্তার।

একাদশ লেখ: দানশীলতা ও মানবিকতা।

দ্বাদশ লেখ: ধর্মীয় সহিষ্ণুতা।

ত্রয়োদশ লেখ: কলিঙ্গ যুদ্ধ ও তাঁর মানসিক পরিবর্তন।

বৃহদ্রথ

● মৌর্য বংশের শেষ রাজা।
● তাঁর সেনাপতি পুষ্যমিত্র শুঙ্গ তাঁকে হত্যা করে সিংহাসনে বসেন।

গুরুত্বপূর্ণ MCQs

1. নন্দ বংশের পর মৌর্য বংশের প্রতিষ্ঠা কে করেন ?

A) অশোক
B) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
C) শিশুনাগ
D) উপরের কোনোটিই নয়

ans:- B) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :-

●চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য নন্দ বংশের শেষ সম্রাট ধননন্দকে
উচ্ছেদ করে মগধে মৌর্য বংশের প্রতিষ্ঠা করে।

2. ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক সম্রাট কে ছিলেন ?

A) বিম্বিসার
B) মহাপদ্মনন্দ
C) অশোক
D) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য

ans:- D) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :

●মৌর্যরাজ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক সম্রাট বলে অভিহিত করা হয় ।

●”Chandragupta Maurya is the First historical founder of a great empire in India.”

বিম্বিসার শ্রেনিক নামে এবং অজাতশত্রু কুণিক নামে পরিচিত ছিলেন।

মহাপদ্মনন্দের উপাধি ছিল উগ্রসেনা।

ধননন্দের উপাধি ছিল অগ্রমসী।

বিন্দুসারের উপাধি ছিল অমিত্রাঘাত।

3. চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজত্বকালে কোন গ্রীক পর্যটক ভারত ভ্রমনে এসেছিলেন ?

A) টমাস রো
B) ইবন বতুতা
C) দেইমাকস
D) মেগাস্থিনিস

ans:-D) মেগাস্থিনিস

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:-

●চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকালে গ্রীকরাজ সেলুকাসের দূত হিসাবে মেগাস্থিনিস ভারতে এসেছিলেন ।

●সেই সময় চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজদরবার ছিল পাটলিপুত্র নামক স্থানে।

4. গ্রীক পর্যটক মেগাস্থিনিসের লেখা ভারত সংক্রান্ত বইটির নাম কি ?

A) রামচরিত
B) ইন্ডিকা
C) গীতগোবিন্দ
D) মুদ্রারাক্ষস

ans:-B) ইন্ডিকা

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:-

চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজসভায় আগত গ্রীক পর্যটক (দূত) মেগাস্থিনিসের লেখা গ্রন্থ ইন্ডিকা ।

5. মেগাস্থিনিস রচিত ইন্ডিকা গ্রন্থ থেকে কোন ভারতীয় রাজ বংশের ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায় ?

A) হর্ষঙ্ক বংশ
B) শিশুনাগ বংশ
C) নন্দ বংশ
D) মৌর্য বংশ

ans:-D) মৌর্য বংশ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:-

● চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকালে গ্রীকরাজ সেলুকাসের দূত হিসাবে মেগাস্থিনিস ভারতে এসেছিলেন ।

● চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজসভায় আগত গ্রীক পর্যটক (দূত) মেগাস্থিনিসের লেখা গ্রন্থ ইন্ডিকা ।

6. চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে গ্রিকরা কি বলে অভিহিত করতো ?

A) প্যালিমব্ৰোথা
B) স্যান্ড্রোকোট্টাস
C) উগ্রসেন
D) উপরের কোনোটিই নয়

ans:-B) স্যান্ড্রোকোট্টাস

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:-

মৌর্যরাজ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে গ্রীকরা স্যান্ড্রোকোট্টাস বা মুক্তিদাতা বলে অভিহিত করেছিল ।

7. নিম্নের কে ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য-এর রাজ উপদেষ্টা বা প্রধান মন্ত্রী ?

A) কণিষ্ক
B) চাণক্য
C) মেগাস্থিনিস
D) উপরের কোনোটিই নয়

ans:-B) চাণক্য

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:-

● চাণক্য ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য -এর রাজ উপদেষ্টা বা প্ৰধান মন্ত্রী ।

●রাষ্ট্রবিজ্ঞানে তার পাণ্ডিত্যের জন্য চাণক্যকে ভারতের মেকিয়াভেলি বলা হয়।

8. চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য কাকে পরাজিত করেছিলেন ?

A)পুরু
B) আলেকজান্ডার
C) সেলুকাস
D) অম্ভি

ans:- C) সেলুকাস

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:-

305 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে সেলুকাস পরাজিত হন।

অ্যাথেনাক্কিসের ধারনানুসারে, চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজসভায় গ্রীকরাজা সেলুকাস মেগাস্থিনিস নামে এক দূত পাঠান।

9. চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মৃত্যুর পর কে মগধের সিংহাসনে বসেন ?

A) বিম্বিসার
B) মহাপদ্মনন্দ
C) অশোক
D) বিন্দুসার

Ans:-D) বিন্দুসার

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :
●চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র বিন্দুসার মগধের সিংহাসনে বসেন । তিনিই হলেন দ্বিতীয় মৌৰ্য সম্রাট ।

মৌর্য সাম্রাজ্য:-

চন্দ্ৰগুপ্ত মৌর্য

বিন্দুসার

অশোক

শেষ মৌর্য সম্রাট বৃহদ্রথ
মৌর্য সম্রাট বৃহদ্রথ, তার মন্ত্রী পুষ্যমিত্র শুঙ্গের হাতে 185 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে নিহত হন।

10. মৌর্য সম্রাট বিন্দুসার কোন উপাধি গ্রহন করেছিলেন ?

A) লিবারেটর
B) মেঘদূত
C) অমিত্রাঘাত
D) উপরের কোনোটিই নয়

ans:-C) অমিত্রাঘাত

● মৌর্য সম্রাট বিন্দুসার অমিত্রাঘাত উপাধি গ্রহন
করেছিলেন । অমিত্রাঘাত শব্দের অর্থ (শত্রু নিধন)।

11. বিন্দুসার এর মৃত্যুর পর কে মগধের সিংহাসনে বসেন ?

A) বিম্বিসার
B) অজাতশত্রু
C) অশোক
D) শিশুনাগ

ans:-C) অশোক

● বিন্দুসার এর মৃত্যুর পর অশোক মগধের সিংহাসনে বসেন। সম্রাট অশোক “চন্ডাশোক” নামে পরিচিত ছিলেন।

12. বৌদ্ধ ইতিহাস অনুযায়ী চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য কোন মৌর্য জাতি বংশীয় ছিলেন ?

A) শূদ্র
B) বৈশ্য
C) ব্রাহ্মণ
D) ক্ষত্রিয়

ans:-D) ক্ষত্রিয়

13. অশোকের ব্রাহ্মীলিপির পাঠোদ্ধার প্রথম করেন –

A) কানিংহাম
B) জেমস্ প্রিন্সেপ
C) আর. এল. মিত্র
D) বার্জেস

ans:- B) জেমস্ প্রিন্সেপ

14. তাঁর শিলালিপিতে অশোক নিজেকে অভিহিত করেন কি বলে ?

A) প্রিয়দর্শী
B) দৈবপুত্র
C) ধৰ্ম্মাশোক
D) দেবনামপ্রিয়া প্রিয়দর্শী

ans:-D) দেবনামপ্রিয়া প্রিয়দর্শী

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :

মধ্যপ্রদেশের গুজ্জারা থেকে প্রাপ্ত গৌণশিলা লেখ -এর থেকে জানা যায় অশোক নিজেকে শিলালেখে ‘অশোক রাজা’ বলে অভিহিত করেন।

15. নিম্নের কোন মৌর্য সম্রাট “প্রিয়দর্শী” উপাধি গ্রহণ করেছিলেন ?

A) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
B) বিন্দুসার
C) অশোক
D) উপরের কোনোটিই নয়

ans:-C) অশোক

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:-

● সম্রাট অশোক সিংহাসনে বসার পর “প্রিয়দর্শী” উপাধি গ্রহণ করেছিলেন ।

● বৌদ্ধ ধর্মের কনস্ট্যানটাইন বলা হত মৌর্য সম্রাট
অশোককে ।

● সম্রাট অশোক “চন্ডাশোক” নামে পরিচিত ছিলেন ।

16.মৌর্য বংশের সর্বশেষ সম্রাট কে ছিলেন ?

A) বিন্দুসার
B) অশোক
C) বৃহদ্রথ
D) উপরের কোনোটিই নয়

ans:-C) বৃহদ্রথ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:-

● মৌর্য বংশের শেষ সম্রাট ছিলেন বৃহদ্রথ।
● পুষ্যমিত্র শুঙ্গ বৃহদ্রথকে হত্যা করে সিংহাসন অধিকার করেন এবং মগধে শুঙ্গ বংশের প্রতিষ্ঠা করেন।

17. নিম্নলিখিত কে বলেছিলেন ‘সমস্ত প্রজা আমার সন্তান’ এবং ‘তাদের সুখই আমার সুখ’ –

A) অজাতশত্রু
B) বিন্দুসার
C) চন্দ্রগুপ্ত
D) অশোক

ans:-D) অশোক

Download Full PDF Here : Click Here

The post মৌর্য বংশ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর। ভারতের ইতিহাস । History MCQ Bangla appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/mauryan-period-mcq-bangla/feed/ 0
মগধ সাম্রাজ্য । প্রাচীন ভারতের ইতিহাস । গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্নোত্তর https://preronaacademy.com/indian-history-magadh-era-mcq/ https://preronaacademy.com/indian-history-magadh-era-mcq/#respond Fri, 05 May 2023 14:15:06 +0000 https://preronaacademy.com/?p=255 ষোড়শ মহাজনপদ – খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ভারত ঐক্যবদ্ধ ছিল না । বৌদ্ধ ও জৈন শাস্ত্র থেকে জানতে পারা যায় যে,

The post মগধ সাম্রাজ্য । প্রাচীন ভারতের ইতিহাস । গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্নোত্তর appeared first on Prerona Academy.

]]>

ষোড়শ মহাজনপদ –

খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ভারত ঐক্যবদ্ধ ছিল না । বৌদ্ধ ও জৈন শাস্ত্র থেকে জানতে পারা যায় যে, ওই সময় ষোলটি রাজ্য বা মহাজনপদে বিভক্ত ছিল ।

মগধ সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা: জরাসন্ধ ও বৃহদ্রথ।

মোট ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ বংশ মগধ শাসন করে। তারা হল —

1.হর্ষঙ্ক বংশ 2. শিশুনাগ বংশ 3. নন্দ বংশ 4. মৌর্য বংশ 5. শুঙ্গ বংশ 6. কাণ্ব বংশ

মৌর্য বংশ মগধ সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ শাসক বংশ। মৌর্য সম্রাট অশোক শুধু তৎকালীন ভারতের নয়, সমগ্র পৃথিবীর সর্বকালের ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ শাসক রূপে বিবেচিত হন।

মগধের উত্থান –

মগধের উত্থানে হর্ষঙ্ক বংশ, শিশুনাগ বংশ, নন্দ বংশ ও মৌর্য বংশের ভূমিকা সর্বাধিক।

হর্ষঙ্ক বংশ (544-430 খ্রিস্টপূর্ব)

বিম্বিসার (544 – 492 খ্রিস্টপূর্ব)

● হর্ষঙ্ক বংশের প্রথম রাজা।
● উপাধি: শ্রেণিক।
● গৌতম বুদ্ধ ও মহাবীরের সমসাময়িক।
● রাজধানী: রাজগৃহ বা রাজগির (নির্মাণ করেন)।
● বৈবাহিক সূত্রে রাজ্যবিস্তারের প্রবর্তক।
● বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন।
● জীবক ছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক।
● ‘অঙ্গ’ জয় করেন।
●একমাত্র প্রথম রাজা যার স্থায়ী সেনাবাহিনী ছিল।

অজাতশত্রু (492-460 খ্রিস্টপূর্ব)

● অপর নাম: কুনিক
● মহাবীরের সঙ্গে সুসম্পর্ক।
● শৈবধর্ম গ্রহণ করেন।
● তাঁর শাসনকালে গৌতম বুদ্ধ ও মহাবীর দেহত্যাগ করেন।
● রাজগৃহে প্রথম বৌদ্ধ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
● পিতা বিম্বিসারকে হত্যা করে সিংহাসনে বসেন।
● বৃজি, কাশী ও কোশল জয় করেন।
● রাজগৃহের পাটলি গ্রামে জলদুর্গ নির্মাণ করেন।

উদয়িন/উদয়ভদ্র (460-444 খ্রিস্টপূর্ব)

● গঙ্গা ও শোন নদীর সঙ্গমস্থলে পাটলিপুত্র নগর স্থাপন করেন।
● পাটলিপুত্রে রাজধানী স্থানান্তর করেন।
● পরবর্তী শাসক: 4. অনুরুদ্ধ 5. মুণ্ড ও 6. নাগদশক (হর্ষঙ্ক বংশের শেষ রাজা)

শিশুনাগ বংশ (412-344 খ্রিস্টপূর্ব)

শিশুনাগ

● নাগদশকের মন্ত্রী। নাগদশককে হত্যা করে সিংহাসনে বসেন।

● বৈশালীতে রাজধানী স্থানান্তর করেন।
● অবন্তী-কে মগধের অন্তর্ভুক্ত করেন। শতবর্ষব্যাপী মগধ-অবন্তী যুদ্ধের অবসান হয়।

কালাশোক / কাকবর্ণ

● বৈশালীতে দ্বিতীয় বৌদ্ধ সম্মেলন।
● পাটলিপুত্রে রাজধানী স্থানান্তর করেন।

নন্দ বংশ (344-323 খ্রিস্টপূর্ব)

● প্রথম অ-ক্ষত্রিয় শাসক বংশ।

মহাপদ্মনন্দ

● উপাধি: একরাট, একছত্র, সর্বক্ষত্রান্তক, উগ্রসেন, দ্বিতীয় পরশুরাম।
● কোশল, কলিঙ্গ, অস্মক, মিথিলা, কুরু, পাঞ্চাল জয় করেন।
● কলিঙ্গ থেকে জিন মূর্তি নিয়ে আসেন।
● উত্তর ভারতের প্রথম সার্বভৌম শাসক।

ধননন্দ

● তাঁর সময় আলেকজান্ডার ভারত আক্রমণ করে।
● গ্রিক নাম: অ্যাগ্রামেস বা জ্যান্ড্রামেস।

গুরুত্বপূর্ণ MCQs

1 .‘মহাজন’ শব্দের অর্থ কী ?

A) ক্ষুদ্র রাজ্য
B) বৃহৎ রাজ্য
C) অনেকগুলি রাজ্যের সমষ্টি
D) উপরের কোনোটিই নয়

Ans:- B) বৃহৎ রাজ্য

2. ষোড়শ মহাজনপদ মোট কতটি রাজ্যর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল ?

A) ১৪টি
B) ১৬টি
C) ১৭টি
D) অসংখ্য

Ans:- B) ১৬টি

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :-

খ্রিস্ট পূর্ব ষষ্ঠ শতকে ভারত ঐক্যবদ্ধ ছিল না । বৌদ্ধ ও জৈন শাস্ত্র থেকে জানতে পারা যায় যে, ওই সময় ভারত ষোলটি রাজ্য বা মহাজনপদে বিভক্ত ছিল । এর অধিকাংশই ছিল রাজতান্ত্রিক।

3. ষোড়শ মহাজনপদের ১৬টি রাজ্যের মধ্যে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ছিল –

A) মগধ ও কাশী
B) বৃজি ও মল্ল
C) অঙ্গ ও অবন্তী
D) উপরের কোনোটিই নয়

Ans:- B) বৃজি ও মল্ল

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:-

ষোড়শ মহাজনপদের অধিকাংশ রাজতান্ত্রিক হলেও, বৃজি ও মল্লে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ছিল ।

4. মগধ সাম্রাজ্য প্রসারে প্রধান ভূমিকা ছিল যে রাজ বংশের –

A) হর্ষঙ্ক বংশ
B) শিশুনাগ বংশ
C) নন্দ বংশ ও মৌর্য বংশ
D) উপরের সবগুলিই সঠিক

Ans:- D) উপরের সবগুলিই সঠিক

ষোড়শ মহাজনপদ যুগে মগধ ছিল ভারতবর্ষের অন্যতম প্রধান শক্তিশালী ও ধনশালী রাজ্য।
চারটি শক্তিশালী রাজবংশের নেতৃত্ব মগধের উত্থান কে ত্বরান্বিত করেছিল। সেই চারটি রাজবংশ হল-
হর্ষঙ্ক বংশ ,শিশুনাগ বংশ, নন্দ বংশ, মৌর্য বংশ।

5. হর্ষঙ্ক বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা কে ছিলেন ?

A) মহাপদ্মনন্দ
B) বিম্বিসার
C) শিশুনাগ
D) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য

Ans:- B) বিম্বিসার

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:-

হর্ষঙ্ক বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা বিম্বিসার ছিলেন গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক ।

মগধ সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হর্ষঙ্ক বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা বিম্বিসার ।

ভারতীয় ইতিহাসে এই রাজবংশ ‘পিতৃহন্তা রাজবংশ’ নামে পরিচিত।

তিনি পুত্র অজাতশত্রুর হাতে নিহত হন।

গিরিব্রজে রাজধানী স্থাপন করে তার নাম দেন রাজগৃহ (বর্তমানে রাজগির)।

6. কুনিক উপাধি কে গ্রহণ করেছিলেন ?

A) বিম্বিসার
B) মহাপদ্মনন্দ
C) অজাতশত্রু
D) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য

Ans:- C) অজাতশত্রু

মগধের রাজা তাঁদের উপাধি
বিম্বিসারশ্রেনিক
অজাতশত্রুকুনিক
মহাপদ্মনন্দঅগ্রসেন
চন্দ্ৰগুপ্ত মৌর্যস্যান্ড্রোকোট্টাস

7. বৃজি আক্রমনের সময় অজাতশত্রু কোথায় দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন ?

A) রাজগৃহ
B) পাটলিপুত্র
C) কাশী
D) কলিঙ্গ

Ans:- B) পাটলিপুত্র

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:-
● বৃজি আক্রমনের সময় অজাতশত্রু পাটলিপুত্ৰতে দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন ।
●পাটলিপুত্র চতুর্দিকে জলবেষ্টিত হওয়াই একে ‘Water Fort’ বা ‘জলদূর্গ’ বলা হতো।

8. হর্ষঙ্ক বংশের পর কে মগধের সিংহাসন দখল করেন ?

(A) কালাশোক
(B) শিশুনাগ
(C) মহাপদ্মনন্দ
(D) উপরের কোনোটিই নয়

Ans:- (B) শিশুনাগ

শিশুনাগ বংশের প্রতিষ্ঠাতা শিশুনাগ, যিনি হর্ষঙ্ক বংশের শেষ রাজা নাগদশককে হত্যা করে মগধে নতুন রাজবংশের সূচনা করেন।

9. শিশুনাগ বংশের রাজধানী কোথায় ছিল ?

A) পাটলিপুত্র
B) বৈশালী
C) গিরিব্রজ
D) রাজগৃহ

Ans:- B) বৈশালী

শিশুনাগ বংশের প্রতিষ্ঠাতা শিশুনাগ তাঁর রাজধানী রাজগৃহ থেকে প্রথমে গিরিব্রজ ও পরে বৈশালীতে স্থানান্তরিত করেন।

10. শিশুনাগের পর শিশুনাগ বংশের সম্রাট কে ছিলেন ?

A) মহাপদ্মনন্দ
B) কালাশোক
C) নন্দীবর্ধন
D) উপরের কোনোটিই নয়

Ans:- B) কালাশোক

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:-

শিশুনাগের মৃত্যুর পর মগধের সিংহাসনে বসেন তাঁর পুত্র কালাশোক বা কাকবর্ন।

11. কার শাসনাকালে দ্বিতীয় বৌদ্ধ পরিষদ বৈশালীতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ?

A) শিশুনাগ
B) কালাশোক
C) নন্দীবর্ধন
D) নাগদশক

Ans:- B) কালাশোক

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:-

383 খ্রিস্টপূর্বে কালাশোকের পৃষ্ঠপোষকতায় দ্বিতীয় বৌদ্ধ পরিষদ (বৌদ্ধ-সঙ্গীতি) বৈশালীতে সংগঠিত হয়েছিল।

12. শিশুনাগ বংশের পর মগধের কোন রাজবংশ শাসন করেছিল ?

A) হর্ষঙ্ক বংশ
B) শিশুনাগ বংশ
C) নন্দ বংশ
D) মৌর্য বংশ

Ans:- C) নন্দ বংশ

13.মহাপদ্মনন্দ ও তাঁর আট জন পুত্রকে কি বলে অভিহিত করা হয় ?

A) মহাপদ্মনন্দ
B) নবনন্দ
C) অষ্টনন্দ
D) উপরের কোনোটিই নয়

Ans:- B) নবনন্দ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:-

মহাপদ্মনন্দ ও তাঁর আট পুত্রকে একত্রে (‘নবনন্দ’ বলা হয়।

মহাপদ্মনন্দের পর তাঁর আট পুত্র পর পর সিংহাসনে বসেছিলেন ।

14. নন্দ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন ?

A) বিম্বিসার
B) মহাপদ্মনন্দ
C) অজাতশত্রু
D) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য

Ans:- B) মহাপদ্মনন্দ

15. নন্দ বংশের শেষ সম্রাট কে ছিলেন ?

A) বিম্বিসার
B) মহাপদ্মনন্দ
C) ধননন্দ
D) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য

Ans:- C) ধননন্দ

নন্দ বংশের শেষ রাজা ছিলেন ধননন্দ।
তিনি কঠোর শাসক ছিলেন ।

ধননন্দের সেনাপতির নাম ভদ্রশালী।
●গ্রিক নাম: অ্যাগ্রামেস বা জ্যান্ড্রামেস।

16.উত্তর ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক সম্রাট কাকে বলা হয় ?

A) বিম্বিসার
B) অজাতশত্রু
C) মহাপদ্মনন্দ
D) শিশুনাগ

Ans:- C) মহাপদ্মনন্দ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:-

মহাপদ্মনন্দ কে উত্তর ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক সম্রাট (‘First historical emperor) বলা হয় ।

ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।

17. অ্যালেকজান্ডার যখন ভারতবর্ষ আক্রমণ করেন তখন মগধের রাজা কে ছিলেন ?

A) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
B) ধননন্দ
C) বিম্বিসার
D) মহাপদ্মনন্দ

Ans:- B) ধননন্দ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:-

● ম্যাসিডনের রাজা গ্রীক বীর আলেকজাণ্ডারের ভারত আক্রমনের সময় (৩২৬ খ্রীষ্ট পূর্বাব্দ) মগধের রাজা ছিলেন ধননন্দ।

● আলেকজাণ্ডার ভারতে ছিলেন ১৯ মাস।

সম্পূর্ন ক্লাসটি ভিডিও আকারে দেখো :

The post মগধ সাম্রাজ্য । প্রাচীন ভারতের ইতিহাস । গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্নোত্তর appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/indian-history-magadh-era-mcq/feed/ 0
বাংলা নাট্য সাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান । বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস https://preronaacademy.com/bangla-sahitye-dinabandhu-mitrer-obodan/ https://preronaacademy.com/bangla-sahitye-dinabandhu-mitrer-obodan/#respond Tue, 25 Apr 2023 17:21:09 +0000 https://preronaacademy.com/?p=242 বাংলা সাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান (১৮৩০-১৮৭৩) বাংলা সাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্র এক ইতিহাস সৃষ্টিকারী নাটককার। তাঁর জন্ম ১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দে, নদীয়া জেলার

The post বাংলা নাট্য সাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান । বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস appeared first on Prerona Academy.

]]>

বাংলা সাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান (১৮৩০-১৮৭৩)

বাংলা সাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্র এক ইতিহাস সৃষ্টিকারী নাটককার। তাঁর জন্ম ১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দে, নদীয়া জেলার চৌবেড়িয়ায়। প্রকৃত নাম ছিল গন্ধর্বনারায়ণ মিত্র । ১৮৪৬ খ্রিষ্টাব্দে ‘দীনবন্ধু’ নাম গ্রহণ করেন। পিতার নাম কালাচাঁদ মিত্র। ১৮৭১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি রায় বাহাদুর উপাধিলাভ করেন।

বাংলা নাট্য সাহিত্যে মধুসূদনের পর দীনবন্ধু মিত্রের আবির্ভাব। মাইকেল মধুসূদনের সৃষ্টিতে যে নাটকের সার্থক প্রকাশ ঘটে দীনবন্ধু তাকে আরো পূর্ণ ও বিকশিত করে তোলেন। তিনি মাইকেল-যুগের শ্রেষ্ঠ নাট্যকার তো অবশ্যই, আধুনিক কালেও তাঁর মর্যাদা ও মহিমা কোথাও কমেনি। বিশেষত ‘নীলদর্পণ’ নাটকের মধ্য দিয়ে তিনি যে প্রতিবাদী জীবনচিত্র অঙ্কন করেছেন আজও তা শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অধিষ্ঠিত। সমসাময়িক সামাজিক জীবনের উজ্জ্বল আলেখ্য হিসাবে তার নাটকগুলির স্বতন্ত্র মর্যাদা রয়েছে।

দীনবন্ধু মিত্রের নাটক ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :

দীনবন্ধু মিত্র চারটি পূর্ণাঙ্গ নাটক ও তিনটি প্রহসন রচনা করেন। এছাড়াও একটি অপ্রকাশিত ক্ষুদ্র নাটিকাও তিনি লিখেছিলেন।

১. নীলদর্পণ (১৮৬০)

বিষয়ঃ বাংলায় নীলচাষীদের উপর নীলকর সাহেবদের অত্যাচার ও তার কুফল।
অঙ্ক সংখ্যা- ৫টি।
চরিত্রগুলি হল – গোলোক বসু, নবীনমাধব, সাবিত্রী, সৈরিন্ধ্রী, ক্ষেত্রমণি, সাধুচরণ, তোরাপ, আদুরি রায় চরণ, পি পি রোগ।
উৎসর্গ – ভুমিকায় লেখা ছিল ” নীলকরনিকরকরে নীল-দর্পণ অর্পণ করিলাম।”
নাটকটি ন্যাশনাল থিয়েটারে ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দের ৭ই ডিসেম্বর প্রথম অভিনীত হয়।
দীনবন্ধুর সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় নাটক।
‘Nil Darpan, or The Indigo Planting Mirror ‘ এই নামে মাইকেল মধুসূদন দত্ত এই নাটকের অনুবাদ করেছেন। এটিই প্রথম বাংলা নাটক যা ইংরেজিতে অনূদিত হয়।

২. নবীন তপস্বিনী (১৮৬৩)

অঙ্ক সংখ্যাঃ ৫ টি।
উল্লেখযোগ্য চরিত্রঃ রমণীমোহন, জলধর, বিনায়ক, মাধব, মালতী, মল্লিক্‌ জগদম্বা ।
উৎসর্গঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে।
নাটকটি ন্যাশনাল থিয়েটারে ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দের ৪ঠা জানুয়ারি প্রথম অভিনীত হয়।

৩. বিয়ে পাগলা বুড়ো (১৮৬৬)

মধুসুদনের ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ অনুকরণে রচিত।
বিষয়ঃ একটি বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে রচিত হাস্যরসাত্মক প্রহসন।
অঙ্ক সংখ্যাঃ ২টি।
প্রধাণ চরিত্রঃ নসিরাম, রাজীবলোচন, রামমণি, ভূবনমোহন ।
উৎসর্গ – শারদাপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়কে।

৪. সধবার একাদশী (১৮৬৬) প্রহসন

মধুসূদনের ‘একেই কী বলে সভ্যতা’-র অনুকরণে রচিত বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রহসন।
বিষয়ঃ পাশ্চাত্য প্রভাবপুষ্ট নবীন যুব সম্প্রদায়ের অনাচার ও তার প্রতিকারের ভাবনা নিয়ে প্রহসনটি রচিত।
অঙ্ক সংখ্যাঃ ৩টি।
মূল চরিত্রঃ অটলবিহারী, গোকুলচন্দ্র, সৌদামিনী, নিমচাঁদ, কুমুদিনী, নকুলেশ্বর।
নাটকটি ন্যাশনাল থিয়েটারে ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দের ২৮শে ডিসেম্বর প্রথমবার অভিনীত হয়।

৫. লীলাবতী (১৮৬৭)
বিষয়ঃ কোলকাতার শহরতলী নিয়ে লেখা রোমান্টিক হাস্যরস নির্ভর প্রহসন।
অঙ্ক সংখ্যাঃ ৫টি।
প্রধান চরিত্রঃ হরবিলাস, অরবিন্দ, শ্রীনাথ, লীলাবতী, ক্ষীরোদবাসিনী, রাজলক্ষ্মী, লোলিত, মোহন ।
উৎসর্গঃ গুরুচরণ দাসকে।

৬. জামাইবারিক (১৮৭২)
বিষয়ঃ ধনী সমাজে ঘর জামাই রাখার প্রবণতার মধ্যে যে নির্লজ্জতা ও স্বার্থপরতা এবং নিষ্ক্রিয় মানসিকতার অসুস্থতা বিদ্যমান তা হাসি ঠাট্টার মধ্য দিয়ে ব্যক্ত করা হয়েছে।
প্রধান চরিত্রঃ বিজয় বল্লভ, অভয়কুমার, পদ্মলোচন, কামিনী, বিন্দুবাসিনী।
অঙ্ক সংখ্যাঃ ৪টি।
উৎসর্গঃ নাটকটি উৎসর্গ করা হয় রাসবিহারী বসুকে।
নাটকটি ন্যাশনাল থিয়েটারে ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দের ১৪ই ডিসেম্বর প্রথম অভিনীত হয়।

৭. ‘কমলে কামিনী’ নাটক (১৮৭৩)
দীনবন্ধু মিত্রের শেষ নাটক ।
অঙ্ক সংখ্যাঃ ৫টি।
উল্লেখযোগ্য চরিত্রঃ রাজা, বীরভূষণ, সমরকেতু, গান্ধারী, সুশীলা, সুরবালা । সুরবালা চরিত্রে বঙ্কিমের ‘দুর্গেশনন্দিনী’ উপন্যাসের বিমলা চরিত্রের প্রভাব দেখা যায়।
উৎসর্গ করেছেন যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরকে।

৮. কুড়ে গোরুর ভিন্ন গোঠ ( অপ্রকাশিত)
ক্ষুদ্র নাটিকা।
দৃশ্যঃ ২ টি।
উল্লেখযোগ্য চরিত্রঃ ভোদা, গোমা, স্বার্থক, বলদ ।

দীনবন্ধু মিত্রের নাটকের বৈশিষ্ট্য :

দীনবন্ধু বাংলা সাহিত্যের বাস্তবতার অগ্রদূত এবং তিনি বোধহয় বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রধান বাস্তববাদী লেখক। তখনকার মত এখনো বিভিন্ন রঙ্গমঞ্চে দীনবন্ধুর নীলদর্পণ ও সধবার একাদশী অভিনীত হয়। বিশেষ করে নীলদর্পণের নাট্যকার হিসাবে তার খ্যাতি চূড়ান্ত। দীনবন্ধুর শিল্পে মানুষের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য তার বস্তু চেতনা, এই বস্তুচেতনার উৎস কিন্তু পুথির জগত বা চিন্তার জগৎ নয় প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাজাত। সব ধরণের নাট্য সৃষ্টিতে দীনবন্ধু সফল ট্রাজেডিটি কমেডি প্রহসন প্রতিটি সৃজনরূপেই দীনবন্ধুর প্রতিভা দীপ্ত।

উচ্চশ্রেণির চরিত্রে দীনবন্ধু সফল না হলেও সাধারণ অতি সামান্য চরিত্রের অঙ্কনে তিনি অত্যন্ত সফল, তার তোরাপ, আদুরী ইত্যাদি বাংলা সাহিত্যে অতুলনীয়। দীনবন্ধুর নাট্যরচনায় প্রেরণা দান করেছে বাঙালির শাশ্বত জীবনবোধ ও সমকালের বিক্ষুদ্ধ গণজীবন। সমসাময়িক বিক্ষুব্ধ গণজীবনের সঙ্গে একতা অনুভব করেছিলেন বলেই “নির্যাতিত জীবনের সহানুভূতিশীল বাণীকার” রূপে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

Important SAQ question :

1) দীনবন্ধু মিত্রের জন্ম সাল কত ?

উঃ ১৮৩০

2) দীনবন্ধু মিত্রের নবীন তপস্বিনী নাটকটি কাকে উৎসর্গ করেন ?

উঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

3) নীলদর্পণের ইংরেজি অনুবাদের নাম কী ? কার নামে প্রকাশিত হয় ? প্রকাশকের কী শাস্তি হয়েছিল ?

উঃ ‘‘Nil Darpan, or The Indigo Planting Mirror ‘’ মাইকেল মধুসূদন দত্ত অনূবাদ করলেও পাদ্রী লঙ সাহেবের নামে প্রকাশিত হয়। লঙ সাহেবের ১ মাসের কারাদণ্ড ও ১০০০ টাকা জরিমানা হয়। আদালতের জরিমানার টাকা দেন কালিপ্রসন্ন সিংহ ।

4) নীলদর্পণ নাটকটি কোথায় কবে প্রথম অভিনয় হয় ?

উঃ ন্যাশনাল থিয়েটারে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে ৭ই ডিসেম্বর প্রথম অভিনীত হয়।

5) নিমচাঁদ দীনবন্ধু মিত্রের কোন নাটকের একটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র ?

উঃ সধবার একাদশী ।

6) নীলদর্পণ নাটকটি কাকে উৎসর্গ করেন ?

উঃ ভুমিকায় উৎসর্গ স্থলে লেখা ছিল “নীলকরনিকরকরে নীল-দর্পণ অর্পণ করিলাম।”

7) মধুসূদনের ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ অনুকরণে দীনবন্ধু মিত্র কোন নাটকটি রচনা করেছেন ?

উঃ ‘বিয়ে পাগলা বুড়ো।’

8) ‘সধবার একাদশী’’ নাটকে মোট কটি অঙ্ক রয়েছে ?

উঃ ৩টি ।

9) ‘কমলে কামিনী নাটক’ এর প্রকাশকাল কত ?

উঃ ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দ ।

10) জামাই বারিক নাটকটি কাকে উৎসর্গ করেন ?

উঃ রাসবিহারী বসুকে ।

11) দীনবন্ধু মিত্রের দুটি গদ্য স্কেচ জাতীয় রচনার নাম কী ?

উঃ ‘পোড়া মহেশ্বর’ ও ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’।

12) দীনবন্ধু মিত্রের কাব্য-কবিতাগুলির নাম কী ?

উঃ দীনবন্ধু মিত্রের কাব্য-কবিতাগুলির নাম হল- ‘সুরধনী কাব্য’ , ‘দ্বাদশ কবিতা’ ও ‘নানা কবিতা’ ।

The post বাংলা নাট্য সাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্রের অবদান । বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস appeared first on Prerona Academy.

]]>
https://preronaacademy.com/bangla-sahitye-dinabandhu-mitrer-obodan/feed/ 0